alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম ও এর ds কি চুষে খাওয়া যায়

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে alben ds এর সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। alben ds সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত হয় alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম এবং alben ds কি চুষে খাওয়া যায় কিনা এই সম্পর্কে। তাই এগুলো সহ অন্যান্য তথ্যগুলো আপনাদের সামনে খুব সহজভাবে উপস্থাপন করা হবে।
alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম এবং alben ds কি চুষে খাওয়া যায়
যেহেতু এটি একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল তাই আপনাদের উচিত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়া। আপনি যদি তাড়াহুড়া করে পড়ে আসল তথ্যগুলো বুঝতে না পারেন সেক্ষেত্রে alben ds এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলোর সম্মুখীন হতে পারেন। তাই কখনোই তাড়াহুড়া করে পড়বেন না। বাড়তি কথা না বলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চিকিৎসকের নির্দেশিত alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

আর্টিকেল সূচিপত্রঃ

alben ds কাজ কি

alben ds সম্পর্কের সবচেয়ে জিজ্ঞেসতো প্রশ্ন হচ্ছে এটি। অনেকে জানেই না alben ds কাজ কি। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আর্টিকেল এই অংশে alben ds কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে যাতে আপনারা বিভ্রান্তিতে না ভোগেন এবং এই ট্যাবলেটটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারেন। আর এগুলো জনার পাশাপাশি অবশ্যই জেনে নেবেন alben ds কি চুষে খাওয়া যায় কিনা এই সম্পর্কে কারণ এই বিষয়ে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে।

alben ds এর জেনেরিক নাম হচ্ছে অ্যালবেনডাজল। এটি মূলত আমাদের শরীরের কৃমিকে প্রতিহত করে। আপনি যখন এই ট্যাবলেট টি সেবন করবেন তখন এই ট্যাবলেটটি আপনার পেটে যাবার পরপরই কার্যকারিতা শুরু করে দেয়। প্রথমে এটি বিভিন্ন ধরনের পরজীবী যেমন গোল কৃমি, চ্যাপ্টা কৃমি সহ অন্যান্য সকল ধরনের ক্ষতি কারক পরজীবীকে নজরদারি করতে শুরু করে।
এরপরে ট্যাবলেটটি পরজীবী গুলোর শক্তি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। আর পর্যাপ্ত শক্তি না পাওয়ার কারণে পরজবী গুলো ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তাদের বিপাকীয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে শরীরে ধীরে ধীরে সকল ধরনের পরজীবী এবং কৃমি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে আপনি জানলে অবাক হবেন alben ds ট্যাবলেটটি শুধুমাত্র পরজীবী গুলোকেই নয় বরং এদের লার্ভা এবং ডিম গুলোকেও নষ্ট করে ফেলে।

alben ds কাজ কি তা নিম্নরূপঃ
  • এন্টারোবিয়াসিসঃ পিনওয়ার্ম সংক্রমণ
  • ট্রাইচুরিয়াসিসঃ হুকওয়ার্ম সংক্রমণ
  • স্ট্রংগাইলোয়ডিয়াসিসঃ থ্রেডওয়ার্ম সংক্রমণ
  • হাইডাটিড ডিজিজঃ এক ধরনের কৃমি সংক্রমণ যা যকৃত, ফুসফুস বা অন্যান্য অঙ্গে হতে পারে।
  • জিয়ারডিয়াসিসঃ একটি পরজীবী সংক্রমণ যা পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং ওজন কমার কারণ হতে পারে।
এ ধরনের সকল কৃমির সংক্রমণ থেকে আপনি যদি মুক্ত থাকতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই ট্যাবলেটটি সেবন করতে হবে।

alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম

উপরের অংশটুকু পড়ে আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন alben 10 ml syrup একটি কৃমিনাশক সিরাপ। তবে আপনি যদি এই সিরাপ খেয়ে আপনার কৃমি নাশ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসক নির্দেশিত alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এজন্য সেবনের পূর্বে এটি আপনার জানা অত্যধিক জরুরী।

সবথেকে ভালো হয় আপনি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করবেন এবং তার দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে সিরাপটি সেবন করবেন। কারণ ডাক্তাররা প্রথমে আপনার শারীরিক পরিস্থিতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং প্রয়োজন অনুসারে alben 10 ml syrup খাওয়ার নির্দেশনা দিবে। তবে এই আর্টিকেলে যে নিয়মটি উল্লেখ করা হবে তা অনুসরণ করে আপনি আর্জেন্ট সময়ে অনুসরণ করতে পারেন।
বা এরকম যদি হয় যে আপনি কয়েকদিন পরে ডাক্তারের কাছে যাবেন কিন্তু হঠাৎ করে আপনার মারাত্মক কৃমির র সমস্যা দেখা দিয়েছে সে ক্ষেত্রে এই নিয়মটি অনুসরণ করতে পারেন। তবে এই নিয়মে কখনোই দীর্ঘদিন যাবত সিরাপ সেবন করা যাবে না বা এই অনুসারে কাউকে নির্দেশনা দেওয়া যাবে না।

alben 10 ml syrup শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্য নির্দেশিত। এছাড়া এটি ট্যাবলেট আকারেও পাওয়া যায় তবে সেটি বড়দের জন্য। আর যেহেতু বাচ্চাদের জন্য নির্দেশিত তাই আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম থাকে তাই আপনি ভুল নির্দেশনা সেবন করালে আপনার বাচ্চা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে।

alben 10 ml syrup বা সাসপেনশনটি বাচ্চাদের জন্য বয়সের ভিত্তিতে সেবনের নীতিমালা রয়েছে। তবে এটি আপনারা বোতলের মধ্যে পাউডার আকারে পেতে পারেন, সে ক্ষেত্রে প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ঝাকিয়ে নেবেন যাতে তরল তৈরি হয়। আর মনে রাখবেন এটি তৈরি করার সর্বোচ্চ দুই দিন পর্যন্ত সেবন করতে পারবেন তারপরে বাকি অংশটুকু ফেলে দিতে হবে।

কৃমির সিরাপ শুনে আপনারা মনে করতে পারেন এটি তিক্ত স্বাদযুক্ত, কিন্তু মোটেও এমন নয়। এটি মোটামুটি এমন স্বাদের যে বাচ্চাটা খুব সহজেই কোন কান্নাকাটি ছাড়াই সেবন করতে পারবে। আপনার বাচ্চার বয়স যদি ১০ বছরের উপরে হয় সেক্ষেত্রে দিনে ১ চামচ করে ২ দিন সেবন করাতে হবে। আর বয়স যদি ১ বছরের উপরে এবং ১০ বছরের নিচে হয় সেক্ষেত্রে দিনে আধা চামচ করে ২ দিন সেবন করাতে হবে।

আর আপনার বাচ্চার বয়স যদি এক বছরের নিচে হয় সেক্ষেত্রে প্রথম অবস্থায় alben 10 ml syrup বা সাসপেনশনটি খাওয়ানো যাবে না। কারণ ওই সময় শিশুদের পরিপাকতন্ত্র খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। এজন্য কৃমির সমস্যা দেখা দিলে সর্বপ্রথম একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং তার নির্দেশনা অনুসারে চিকিৎসা পদ্ধতি প্রদান করতে হবে। আশা করি জানতে পেরেছেন alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

alben ds কি চুষে খাওয়া যায় - alben ds 400 mg খাওয়ার নিয়ম

alben ds ছোট বাচ্চাদের জন্য সিরাপ আকারে পাওয়া যায় এবং বড়দের জন্য alben ds 400 mg আকারে পাওয়া যায়। যেহেতু প্রকারের শ্রেণীবিভাগ রয়েছে সেক্ষেত্রে খাবার নিয়মের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনার অনেকেই জানতে চাইছেন alben ds 400 mg খাওয়ার নিয়ম এবং alben ds কি চুষে খাওয়া যায় কিনা এই সম্পর্কে তাই এই অংশে আপনাদের খাওয়ার নিয়মের নির্দেশনা দেওয়া হবে।

তো আপনি যদি খাবার নিয়ম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা অর্জন করতে পারেন তাহলে বুঝতে পারবেন alben ds কি চুষে খাওয়া যায় নাকি। মূলত এই ট্যাবলেটটি খাবার নিয়মই হচ্ছে চুষে খাওয়া, তবে আপনি চাইলে পানি দিয়েও খেতে পারেন। তবে ডাক্তাররা সবসময় নির্দেশনা দেয় যাতে চুষে খাওয়া হয়। কারণ চুষে খেলে ট্যাবলেটটি ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং তার সর্বোচ্চ কার্যকারিতা প্রদান করতে পারে।

প্রত্যেক তিন মাস অন্তর অন্তর alben ds ট্যাবলেট কিংবা কৃমির যেকোনো ট্যাবলেট খাওয়া অনেক ভালো। তবে এটি খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে alben ds 400 mg একটি ট্যাবলেট খাওয়ার সাত দিন পরে আবার একটি ট্যাবলেট খেতে হবে। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে alben ds 400 mg ট্যাবলেটটি সাত দিন পর পর খেতে হয়।

মনে করেন আপনার কৃমির সমস্যা দেখা দিয়েছে তাই আপনি আজকে ট্যাবলেটটি চুষে খেয়েছেন। খাওয়ার সাত দিন পরেও আপনার কৃমির সমস্যা পরিপূর্ণভাবে ভালো হয়নি সেক্ষেত্রে আপনি আরেকটি ট্যাবলেট খেতে পারবেন। আর যদি কৃমির সমস্যা পরিপূর্ণভাবে ভালো হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই। আশা করি জানতে পেরেছেন alben ds কি চুষে খাওয়া যায় কিনা।

alben ds এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রত্যেকটি ট্যাবলেট এর মত alben ds এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে এই ট্যাবলেটটি সেবন করে থাকেন তাহলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অবশ্যই দেখা দেবে। এর পার্শ্বপ্রতিকরা গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, এলার্জিক প্রতিক্রিয়া, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি। তবে আপনি চাইলে এই ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার গুলোর সম্মুখীন নাও হতে পারেন যদি বাচ্চাদের জন্য alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম এবং বড়দের ক্ষেত্রে alben ds 400 mg খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন।

alben ds এর দাম কত টাকা

alben ds এর দাম স্থান ভেদে আলাদা আলাদা হতে পারে তবে আপনি যদি আসল দাম জেনে রাখেন তাহলে কখনোই ঠকবেন না। এমন অনেক অসাধু ফার্মাসিস্ট রয়েছে যারা সাধারণ মানুষদের ঠকিয়ে অতিরিক্ত দামে ঔষধ বিক্রি করে। তাই যে কোন ঔষধ ক্রয় করার পূর্বে আপনার উচিত বিশ্বস্ত কোন ওয়েবসাইট থেকে ওই ওষুধের দাম জেনে নেওয়া।
alben 10 ml syrup বা সাসপেনশনের দাম মাাত্র ২৩ টাকা। আর alben ds 400 mg ট্যাবলেটের প্রতি পিসের দাম ৫ টাকা অর্থাৎ একপাতা alben ds 400 mg ট্যাবলেট এর দাম মাত্র ৫০ টাকা। যেহেতু এটি এস কে এফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর তৈরি কৃত ঔষধ তাই আপনি বাংলাদেশের যেকোন ফার্মেসিতেই খুব সহজে এটি পেয়ে যাবেন।

ব্যক্তিগত মতামত

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে alben 10 ml syrup খাওয়ার নিয়ম এবং alben ds কি চুষে খাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপকৃত হয়েছেন বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি। যদি সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩