chirocyst বা কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি, খাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি এবং chirocyst খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এছাড়া আপনি যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন সেক্ষেত্রে কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি জানার পাশাপাশি এই ট্যাবলেটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং দাম সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি, chirocyst খাওয়ার নিয়ম, কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর দাম
আর যেহেতু এটি একটি স্বাস্থ্য বিষয় আর্টিকেল তাই আপনার উচিত মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়া। আপনি যদি তাড়াহুড়া করে পড়েন সেক্ষেত্রে chirocyst খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে না জানার কারণে এবং কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি ভালোভাবে বুঝতে না পারার কারণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন।

কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি

আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছে কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি অর্থাৎ এই ট্যাবলেট খেলে আমাদের কি কি উপকার হয়? তো যারা এসব সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা ধৈর্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। যেহেতু এটি আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে তবে অনেকে অতিরিক্ত উপকার পাওয়ার জন্য অনিয়ন্ত্রিতভাবে সেবন করে থাকে। যেটি কোনভাবে উচিত নয় এবং চিকিৎসক কর্তৃক নিষিদ্ধ রয়েছে।

আপনি যদি ভালোভাবে এই ক্যাপসুল এর নাম অর্থাৎ কায়রো সিস্ট নামটি নিয়ে পর্যালোচনা করেন তাহলেই এর কার্যকারিতা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাবেন। এখানে সিস্ট মানে মেয়েদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমকে বোঝানো হয়েছে। বাংলাদেশে এই প্রথম মেয়েদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা বন্ধ্যাত্বের জন্য রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যাল কার্যকরী ঔষধ উৎপন্ন করে বাজারে বিপন্ন করতে পেরেছে।
যেহেতু এই ক্যাপসুলটি মেয়েদের গোপন সমস্যা নিয়ে কাজ করে থাকে তাই এর অন্যান্য কিছু কার্যকারিতা বা অপকারিতা গুলোও রয়েছে। তো এই কায়রো সিস্ট ট্যাবলেটের জেনেরিক বা গ্রুপ নেম হচ্ছে D-Chiro-inositol এবং এর পাওয়ার হচ্ছে ৫০০ মিলিগ্রাম। যেহেতু এটি মহিলাদের সিস্টের প্রতি ব্যাপকভাবে কার্যকর তাই কার্যপ্রণালী ও জটিল।

আসলে এই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকার একমাত্র কারণ হচ্ছে বংশবৃদ্ধি। সৃষ্টির আদিকাল থেকে যদি বংশবৃদ্ধি না তো তাহলে মানুষের অস্তিত্ব আজ পৃথিবীতে থাকতো না। পৃথিবীতে যখন প্রথম মানুষ এসেছিল তখন থেকেই প্রকৃতিগত কারণে বংশবৃদ্ধির পদ্ধতিগত কার্যক্রম চালু হয়ে গেছে। শুধুমাত্র মানুষের নয়, এই পৃথিবীতে যত প্রাণী রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে এই বংশবৃদ্ধির কারণে।

যেহেতু মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি এবং বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা রয়েছে তাই ভালো মন্দ মানুষ বিবেচনা করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে নিজের ভুলের কারণে ভবিষ্যতে থাকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। আবার সৃষ্টিকর্তার নির্ধারিত নিয়তির কারণে জীবনে দুর্ভোগ এবং দুর্দশা দেখা দেয়। তো যাই হোক আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ছেন নিশ্চয়ই আপনি কিংবা আপনার স্ত্রী বংশবৃদ্ধি করতে অক্ষম হচ্ছে।

মহিলাদের শরীরে বন্ধ্যাত্বের দেখা দেয় বিভিন্ন কারণে। অনেক কারণ রয়েছে যেগুলোর দায়ভার নিজের উপরেই পড়ে আবার অনেক কারণ গুলো জন্মগত। তবে মহিলাদের সন্তান ধারণের অক্ষমতা দেখা দেয় যে কারণগুলো তার মধ্যে রয়েছেঃ জরায়ুর সমস্যা, সিস্ট গুটি গুটি হয়ে যাওয়া, ডিম্বানুতে জাইগোট না হওয়া, ডিম্বাশয়ের অক্ষমতা, মাসিক ঠিক মতো না হওয়া ইত্যাদি।

আপনি যদি এই ক্যাপসুল এর উপাদান সম্পর্কে জানেন তাহলে আরো ভালো ধারণা পাবেন। আপনি যদি কায়রো সিস্ট ১টি ক্যাপসুল সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরে প্রবেশ করবে ১.৯ ক্যালরি, ≥ ০.৪৭৫ মিলিগ্রাম, ২০.৪৭৫ m সুগার ইত্যাদি।

কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি তা নিম্নরূপঃ
  • মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব দূর করে
  • অনিয়মিত মাসিক ভালো করে
  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করে
  • মুখের অতিরিক্ত ব্রণ দূর করে
  • মেয়েদের সকল ধরনের হরমোনাল সমস্যা দূর হয়
মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব দূর করে

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিয়ের বয়স অনেকদিন হয়ে গেছে কিন্তু এখনো সন্তান ধারণ করতে পারছে না। আমাদের সমাজে যদি এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই মেয়েকে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার এবং সামাজিক নীতির কারণে অপমানজনক কথার সম্মুখীন হতে হয়। এরকম পরিস্থিতিতে একটি মেয়ের জীবনের নেমে আসে হাহাকার।
কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি
শশুর বাড়ির লোকজন যদি ভালো না হয় তাহলে তাকে জাহান্নামের শাস্তি দুনিয়াতেই ভোগ করতে হয়। তো আগে যদি কারো এ ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে তাহলে তাকে ঐভাবে জীবন যাপন করতে হয়েছে কিন্তু বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে বিভিন্ন ঔষধ আবিষ্কৃত হয়েছে যার মধ্যে কায়রো সিস্ট অন্যতম।
তো এই ধরনের বন্ধ্যাত্বের অনেক কারণ রয়েছে যেগুলো চিকিৎসকেরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারে। তো অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল সেবন এর নির্দেশনা দিয়ে থাকে যাতে তারা সন্তান ধারণ করতে পারে।

অনিয়মিত মাসিক ভালো করে

সন্তান ধারণের যতগুলো শর্ত রয়েছে তার মধ্যে নিয়মিত মাসিক অন্যতম। আর যদি কারো মসিক নিয়মিত না হয় তাহলে সে কখনোই মা হতে পারবে না। এজন্য যাদের মাসিক নিয়মিত হয় না অর্থাৎ অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই ক্যাপসুলটি অনেক ভালো কাজ করে থাকে।

chirocyst খাওয়ার নিয়ম

আমাদের আর্টিকেলের উপরে অংশ থেকে আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি। তবে এই কাজগুলো তখনই সঠিকভাবে কার্যকর হবে যখন আপনি chirocyst খাওয়ার নিয়ম পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করবেন। আপনি যদি সঠিকভাবে সেবন না করেন তাহলে কখনোই উপরের কার্যকারিতা গুলো পরিলক্ষিত করতে পারবেন না।

শুধুমাত্র এই ট্যাবলেট নয়, পৃথিবীতে যত ধরনের ঔষধ রয়েছে প্রত্যেকটি ওষুধের সেবন বিধি বা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি এগুলো পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে না পারেন তাহলে কখনোই সঠিক ফলাফল পাবেন না। আর যেহেতু এটি মেয়েদের সন্তান ধারণের ক্ষমতা প্রদান করেন তাই এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

যেহেতু এটি একটি সেনসিটিভ বিষয় তাই আপনার উচিত এই বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ হচ্ছে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করা এবং তার কথা অনুযায়ী chirocyst খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ করা। তবে এই আর্টিকেলে যে নিয়মটি অবলম্বনের কথা উল্লেখ করা হবে সেটি আপনি সাময়িক সময়ের জন্য মেনে চলতে পারবেন।
chirocyst খাওয়ার নিয়ম
তো আপনার যদি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকে অর্থাৎ আপনার যদি সন্তান না হয় সেক্ষেত্রে কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল প্রতিদিন দুইটি করে খাবার পরে সেবন করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যা যেমনঃ অনিয়মিত মাসিক, মুখের অবাঞ্ছিত লোম এবং ইত্যাদির সমস্যার জন্য প্রতিদিন একটি করে খাওয়ার পরে সেবন করলেই যথেষ্ট।

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে chirocyst খাওয়ার নিয়ম আর যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে আপনি চাইলে এইভাবে সেবন করতে পারেন তবে সবথেকে ভালো হয় একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা গ্রহণ করা।

কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল কতদিন খেতে হবে

কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল কতদিন খেতে হবে এটি একজন চিকিৎসক ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। তবে চিকিৎসকের সাধারণত এই ক্যাপসুলটি একাধারে ৬০ দিন বা দুই মাস সেবনের পরামর্শ দেয়। যদি এই সময়ের মধ্যে আপনার কাঙ্খিত সমস্যা মোটামুটি ভালো হয়ে যায় তাহলে আর পরবর্তী সময়ে খাওয়া লাগে না। আর দুই মাস খাওয়ার পরেও যদি কাঙ্খিত ফলাফল দেখা না দেয় তাহলে অন্য চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণের নির্দেশনা দেয়।

কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণ ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। তবে আপনি যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে সেবন করেন এবং chirocyst খাওয়ার নিয়ম অনুসরণ না করেন সেক্ষেত্রে অপকারিতা দেখা দিতে পারে।

কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল দাম

কায়রো সিস্ট একটি দামি ক্যাপসুল, আবার যেহেতু এটি রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যাল এর তৈরিকৃত তাই এর আলাদা মূল্য রয়েছে। আপনি হয়তো বাংলাদেশ সকল ফার্মেসিতে কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল নাও পেতে পারেন। তবে যেগুলো সব থেকে জনপ্রিয় এবং বড় ফার্মেসি রয়েছে সেগুলোতে অনায়াসে পেয়ে যাবেন। সাধারণ ক্ষেত্রে কায়রো সিস্ট ক্যাপসুলের একটির দাম ৮৫ টাকা। আর একটি বক্সে ১৪ টি ট্যাবলেট থাকে, আপনি এক বক্স কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল কিনতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে ১১৯০ টাকা।

ব্যক্তিগত মতামত

আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন কায়রো সিস্ট ক্যাপসুল এর কাজ কি, chirocyst খাওয়ার নিয়ম এবং অন্যান্য তথ্যগুলো। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন আর যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
তোমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিত্য নতুন আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। আপনি যদি নতুন নতুন আর্টিকেলগুলো সবার আগে পেতে চান তাহলে ফলো করে পাশেই থাকুন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩