স্পাউস ভিসা কি, স্পাউস ভিসা খরচ, আমেরিকা স্পাউস ভিসা ২০২৫

আজকের এই আর্টিকেলে স্পাউস ভিসা কি, স্পাউস ভিসা খরচ এবং আমেরিকা স্পাউস ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি স্পাউস ভিসা কি, স্পাউস ভিসা খরচ এবং আমেরিকা স্পাউস ভিসা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক স্পাউস ভিসা কি, স্পাউস ভিসা খরচ এবং আমেরিকা স্পাউস ভিসা সম্পর্কে।
স্পাউস ভিসা কি - স্পাউস ভিসা খরচ। আমেরিকা স্পাউস ভিসা
অনেকেই স্পাউস ভিসা নামটি প্রথম শুনলেন। প্রথম শুনুন আর অনেকবার শুনুন না কেন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি স্পাউস ভিসা কি, স্পাউস ভিসা খরচ এবং আমেরিকা স্পাউস ভিসা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা লাভ করবেন। তাই আপনার যদি এই সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটিই আপনার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। তাই চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।

স্পাউস ভিসা কি

স্পাউস ভিসা হলো এক ধরণের ভিসা যা একজন ব্যক্তিকে তার স্বামী বা স্ত্রীর সাথে থাকার জন্য অন্য দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। স্পাউস ভিসার ধরন এবং শর্তাবলী দেশ ভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে আজকের এই আর্টিকেলে স্পাউস ভিসার সাধারণ কিছু নীতিমালা উল্লেখ করা হবে যাতে আপনি সহজেই বুঝতে পারেন এবং বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাতে পারেন।

সাধারণত স্পাউস ভিসা পেতে আপনার বিয়ের সনদপত্রের প্রমাণ লাগবে, আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ (যেমন, বেতন স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট) লাগবে, থাকার ব্যবস্থার (ঘর-বাড়ী, জায়গা-জমি) প্রমাণ লাগবে, স্বাস্থ্য বীমার কপি, ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট (কিছু ক্ষেত্রে), পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, কিছু দেশে স্পাউস ভিসার জন্য আয়ের একটি নির্দিষ্ট স্তর থাকতে হতে পারে।

উপরে যে সব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে এর তথ্যের ভিত্তিতে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন স্পাউস ভিসা কি। তাই এখন আপনার সুবিধার্থে স্পাউস ভিসা করার জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় কিংবা স্পাউস ভিসা আবেদনের জন্য যেসব নীতিমালা অবলম্বন করতে হয় সেই সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

স্পাউস ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করুন। এরপরে অনলাইনে বা ভিসা আবেদন কেন্দ্রে আবেদন ফরম পূরণ করুন। ফরম পূরণের পরে আবেদন ফি প্রদান করুন। এগুলো যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। সাক্ষাৎকারের জন্য ডাক পেলে সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করুন।

উপরের সকল কার্যক্রম যদি আপনি সঠিকভাবে পালন করে থাকেন যেমন আপনার প্রয়োজনে কাগজপত্রগুলো ঠিকঠাক থাকা, ফরম পূরণের সময় কোন ভুল না করা ইত্যাদি বিষয়ে যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনাকে স্পাউস ভিসা প্রদানের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তাই স্পাউস ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

স্পাউস ভিসা পেতে কত সময় লাগে তা নির্ভর করে দেশের উপর। অর্থাৎ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম সময়ের নীতিমালা রয়েছে। তাই কোন দেশের সাথে কোন দেশের নীতিমালার কোন সমতা নেই। তবে স্বাভাবিকভাবে আপনার কাগজপত্র ঠিক থাকলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার স্পাউস ভিসা হয়ে যাবে। কিন্তু আপনার কাগজপত্র ঠিক না থাকলে সময় স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি লাগতে পারে।

তবে আপনি যদি স্পাউস ভিসার জন্য আবেদন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা উচিত। স্পাউস ভিসা সাধারণত ১ বছরের জন্য দেওয়া হয় তাই ১ বছর পর ভিসা নবায়ন করতে হবে। স্পাউস ভিসাধারী ব্যক্তি দেশটিতে কাজ করতে পারবেন এবং স্পাউস ভিসাধারী ব্যক্তি দেশটির নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আপনার যদি স্পাউস ভিসা সম্পর্কে আরও প্রশ্ন থাকে, তাহলে একজন অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত। আশা করি আজকের আর্টিকেলের এই অংশে স্পাউস ভিসা সম্পর্কে যে তথ্যগুলো আপনাদের প্রদান করা হয়েছে সেগুলোই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে বলে আমি মনে করি। কারণ এখানে প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

স্পাউস ভিসা খরচ

আমাদের আর্টিকেলের উপরের অংশ পড়ে যদি আপনি স্পাউস ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে স্পাউস ভিসা আবেদন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনার মনে অবশ্যই প্রশ্ন হয়েছে স্পাউস ভিসা খরচ কত টাকা? তাই আপনার সুবিধার্থে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে স্পাউস ভিসা খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্পাউস ভিসা খরচ কত?

স্পাউস ভিসা খরচ নির্ভর করে আপনি কোন দেশের জন্য স্পাউস ভিসার আবেদন করবেন সেই দেশের উপরে। আপনি যদি ভাল কোন দেশে অর্থাৎ যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো কিংবা ইউরোপের কোন দেশে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ বেশি হবে। আবার আপনি যদি কোন সাধারণ দেশে অর্থাৎ যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ সেরকম দেশে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ কম হবে।

কিছু দেশের স্পাউস ভিসার আনুমানিক খরচ বিভিন্ন দেশের কারেন্সি থেকে টাকায় কনভার্ট করার সময় বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা হয়েছে। সাথে যদি উল্লেখিত দেশগুলোর কারেন্সির রেট কমে যায় বা বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনারা আপনাদের সুবিধার্থে টাকায় কনভার্ট করে নেবেন। 12

কিছু দেশের স্পাউস ভিসার আনুমানিক খরচ নিম্নরূপ
  • যুক্তরাজ্য: £1,523 (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লক্ষ্য ৯ হাজার টাকা টাকা)
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: $1,200 (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ্য ৩১ হাজার টাকা)
  • কানাডা: $1,000 (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ ৯ হাজার হাজার টাকা)
  • অস্ট্রেলিয়া: AUD$1,400 (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ্য টাকা)
  • জার্মানি: €800 (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯৫ হাজার টাকা)
সাধারণত এই খরচগুলো বিভিন্ন বিষয়ের উপরে নির্ভর করে থাকে। অর্থাৎ এই খরচগুলো আবেদন ফি, ভিসা প্রসেসিং ফি, মেডিকেল পরীক্ষার খরচ, বায়োমেট্রিক ডেটা (আঙুলের ছাপ এবং ছবি) সংগ্রহের খরচ, আপনার ভ্রমণ বীমা এবং আইনি ফি এর জন্য অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। তবে এই খরচগুলো বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।

আমেরিকা স্পাউস ভিসা

অনেকে স্পাউস ভিসা নিয়ে আমেরিকা যেতে চায়। তাদের সুবিধার্থে আমার আজকের এই আর্টিকেলে আমেরিকা স্পাউস ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আমার আর্টিকেলের এই অংশটুকু যদি কেউ পড়ে তাহলে তার স্পাউস ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যাওয়ার জন্য যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় সেগুলো তার কাছে অধিকতর সহজ হয়ে যাবে।

যেহেতু আমেরিকা স্পাউস ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করতে হয় তাই আপনার সুবিধার্থে আমেরিকার জন্য স্পাউস ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে হয় সেগুলো পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা হলো। যাতে আপনি সহজে বুঝতে পারেন এবং আমেরিকা স্পাউস ভিসা নিয়ে আপনার মধ্যে কোন সংকোচ না থাকে।

আপনার সুবিধার্থে বলে রাখি আপনার সঙ্গী (যিনি আমেরিকার নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা) এবং আপনি (যিনি ভিসার জন্য আবেদন করছেন)। স্পাউস ভিসা মূলত ২ ধরনের হয়ে থাকে। একটি CR-1 ও অন্যটি IR-1 ভিসা। আপনার সঙ্গী যদি মার্কিন নাগরিক হয় তাহলে আপনার জন্য CR-1 ভিসা প্রযোজ্য হবে আর আপনার সঙ্গী যদি মার্কিন স্থায়ী বাসিন্দা হয় তাহলে আপনার জন্য IR-1 ভিসা প্রযোজ্য।

আবেদনের ক্ষেত্রেও দুটি পন্থা অবলম্বন করতে হয়। একটি হলো I-130 আবেদন এবং অন্যটি হলো I-485 আবেদন। এই দুইটি পদ্ধতিতে আবেদন করার জন্যও আপনাকে প্রায় একই পন্থা অবলম্বন করতে হবে। অর্থাৎ এই ২টি মাধ্যমে আবেদন করার জন্য ফর্ম পূরণ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ, আবেদন ফি প্রদান করতে হবে এবং সাক্ষাৎকারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে I-485 আবেদন আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে মেডিকেল পরীক্ষাটি অতিরিক্ত দিতে হবে।

আপনার আমেরিকার স্পাউস ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন খাতে টাকা খরচ করতে হয়। তাই আপনার জেনে রাখা উচিত আপনার স্পাউস ভিসা পড়ার জন্য আপনাকে কোন খাতে কত টাকা প্রদান করতে হবে। আমেরিকা স্পাউস ভিসা করার জন্য খরচ করতে হবে আবেদন ফি বাবদ মেডিকেল পরীক্ষার খরচ বাবদ, আইনি ফি বাবদ, ভ্রমণ বীমা বাবদ। অর্থাৎ আপনার আমেরিকা স্পাউস ভিসার জন্য মোট খরচ হবে $1,200 (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ্য ৩১ হাজার টাকা)।

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৬ থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে। তবে আপনি স্পাউস ভিসা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং আপনার প্রয়োজনে কাগজপত্রগুলো সঠিক রাখার চেষ্টা করবেন। আর একটি বিষয় আপনি কখনো কোন দালালের সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ বর্তমানে এগুলো সরকারিভাবে খুব গুরুত্ব সহকারে করা হচ্ছে। তাই এখানে কোন দালালের প্রয়োজনই নেই।

আমেরিকা স্পাউস ভিসা ২০২৪ সালে আবেদন করার ক্ষেত্রে এ সকল বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। কারন আপনি যদি ২০২৪ সালে আমেরিকা স্পাউস ভিসায় যেতে চান কিন্তু আপনি নিয়ম অনুসরণ করছেন আমেরিকা স্পাউস ভিসা ২০২৩ সালের, তাহলে তো হবে না। কারণ এই ভিসা এবং পাসপোর্ট এর ব্যাপারে সবসময় আপডেট বা বর্তমান তথ্যগুলো গ্রহণ করতে হবে।

আমেরিকা স্পাউস ভিসা ২০২৪ সালে পাওয়ার জন্য আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার বৈধ বিবাহের প্রমাণ থাকতে হবে, আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে এবং বুঝতে হবে, আপনাকে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম হতে হবে। আরেকটি সতর্কতা হলো আপনার অপরাধমূলক ইতিহাস থাকলে আমেরিকা স্পাউস ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে।

আর্টিকেল সম্পর্কিত Question And Answer

Question: আমার স্পাউস ভিসার জন্য আবেদন করার সর্বোত্তম সময় কখন?

Answer: আপনার বিয়ের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

Question: আমি কি কাজ করতে পারব?

Answer: CR-1 ও IR-1 ভিসাধারী ব্যক্তিরা কাজ করার অনুমতি পায়।

Question: আমি কি আমার সন্তানদের নিয়ে আমেরিকা স্পাউস ভিসায় যেতে পারব?

Answer: হ্যাঁ, আপনি আপনার সন্তানদের নিয়ে স্পাউস ভিসায় আমেরিকা যেতে পারবেন যদি আপনার সন্তানের বয়স 21 বছরের কম হয় এবং আপনার সন্তান যদি অবিবাহিত হয়।

শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে স্পাউস ভিসা কি, স্পাউস ভিসা খরচ, আমেরিকা স্পাউস ভিসা ২০২৪, আর্টিকেল সম্পর্কিত Question And Answer সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন যদি আপনি স্পাউস ভিসা সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন।

তো আজকে এই পর্যন্তই, আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে অন্য কোন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। ততক্ষণ নিজের খেয়াল রাখবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইটকে Follow করে পাশেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩