রয়েল এনফিল্ড বাইকের ইতিহাস বাংলাদেশে ও দাম কত ২০২৫
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন রয়েল এনফিল্ড বাইক সম্পর্কে সকল
তথ্য বিস্তারিত। আমাদেরকে অনেকে জিজ্ঞেস করেছে রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে দাম কত
২০২৫ সালে। তাই আমরা আপনাদেরকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেবো। যারা এই
রয়েল এনফিল্ড বাইক বাংলাদেশ থেকে কিনতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি যথেষ্ট
হবে বলে আমি মনে করছি।
কারণ আজকের এই আর্টিকেলে রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে দাম কত ২০২৫ সালে শুধুমাত্র এই
টপিকেই কথাবার্তা বলা হবে না এছাড়া অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আপনাদের জানানো হবে।
আর তারা বাইক কিনবেন তাদেরকে অবশ্যই ওই বাইকের সকল তথ্য জেনে রাখা উচিত কারণ
পরবর্তীতে এগুলো প্রয়োজন পড়ে। আর আপনি একটি বাইক কিনবেন কিন্তু ওই বাইক
সম্পর্কে সব তথ্য জানবেন না তাহলে কেমন হয়?
রয়েল এনফিল্ড কোন দেশের কোম্পানি এবং এর উৎপত্তি কিভাবে হল?
রয়েল এনফিল্ড ঐতিহ্য এবং ইতিহাস বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে গেলে অর্থাৎ গোড়া থেকে
আজকের এই দিন পর্যন্ত যদি বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে প্রথমে যে নামটি চলে
আসে তা হল জর্জ টাউনসেন্ড। তিনি ছিলেন তার বংশের প্রথম ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা।
তিনি ১৮৫১ সালে ইংল্যান্ডে সেলাই করার সুই বানানো শুরু করেন। বংশের ধারাবাহিকতায়
তার ছেলে ব্যবসায়ী সম্পৃক্ত হন।
তিনি ঘড়ায় চড়ার গদি, কাটা চামচ এবং সাইকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বানানো শুরু
করেন এবং এতে বেশ লাভবান হতে থাকেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিক বিষয়ে এপ্লাই করতেন যার
ফলে সবাই তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হতো এবং প্রয়োজন হলে তার থেকেই এসব সামগ্রী ক্রয়
করে নিয়ে যেত। তিনিই যে দাম খুব একটা বেশি রাখতেন সেটাও নয়, তিনি দাম রাখতেন
আবারা জিনিসও দিতেন ভালো।
তার এই উন্নতি আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং সাইকেলের সামগ্রী বানানোর থেকে শুরু
করে ১৮৮৬ সালে তার কোম্পানিতে পরিপূর্ণভাবে সাইকেল বিক্রি শুরু করে দেয়। যেহেতু
আগে থেকে সাইকেলের বিভিন্ন যন্ত্রণা সব বিক্রি করতো তাই তার একটি পরিচিতি ছিল। আর
যখন সাইকেল বিক্রি শুরু করে তখন আগের ক্রেতা এবং নতুন কিছু ক্রেতা যুক্ত হয়ে
ব্যবসা রমরমা চলতে থাকে।
কিন্তু সমস্যা বাদে তখন ১৮৯১ সালে। হঠাৎ করে তাদের ব্যবসায়ী বিশাল লস দেখা দেয়
এবং অর্থনৈতিকভাবে তারা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়ে যায়। তারা কোনোভাবে বুঝতে
পারছিল না কেন এরকমটি হচ্ছে কিংবা কিভাবে এটি সমাধান করা যাবে। তখন তার মাথায়
একটি বুদ্ধি আসে এবং সেটি সে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে।
তিনি তখন তার ব্যাংকার অর্থাৎ বার্মিংহাম পেরি এবং কোং লিমিটেডের বিক্রেতা
অ্যালবার্ট এডি এবং উদ্যোক্তা বব ওয়াল্টার স্মিথকে বাইসাইকেল ব্যবসাটি
পরিপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের আহ্বান করেন। তখন
অ্যালবার্ট এডি এবং উদ্যোক্তা বব ওয়াল্টার স্মিথ যখন তাদের বুদ্ধি খাটিয়ে
ব্যবসা পুনরুদ্ধার করার একটি মাস্টার প্ল্যান করেন তখন তাদের মাথায় আরো একটি
বুদ্ধি চলে আসে।
তারা ভাবে আমরা যখন ব্যবসাটি পরিচালনা করবো তাহলে আমাদের ব্যবসার পার্টনার হিসেবে
জর্জ টাউনসেন্ড এই ছেলে কেন থাকবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই প্রতিষ্ঠানটি
পরিপূর্ণভাবে কিনে নেওয়া পরিকল্পনা করে এবং সেই পরিকল্পনা বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে
বাস্তবায়ন করে ফেলে। যদিও তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পেছনে অনেক পরিশ্রম
ছিল।
যেহেতু জর্জ টাউনসেন্ড এই ছেলে ব্যবসা-বাণিজ্য মোটামুটি ভালোভাবে বুঝতো তাই তাকে
ঘোল কাটানো এত সহজ ছিল না। যাই হোক পরবর্তীতে তারা এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রয় করে নাই
এবং নামকরণ করে এডি মেনুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড নামে। তারপরে তারা
বাইসাইকেলের নতুন ডিজাইন করে এবং সেগুলো বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়।
যার ফলে তারা বাইসাইকেলের মডেলের নাম পরিবর্তন করে এক নামে অর্থাৎ বাইসাইকেল
ইনফিল্ড নামে সাইকেল বিক্রি করতে থাকে। যার ফলে বিশ্বকাপে তাদের ব্যাপক সুনাম এবং
জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। তারা ধীরে ধীরে দেশের বাইরে অর্থাৎ পৃথিবীর অন্যান্য
অংশ এই বাইসাইকেল গুলোর রপ্তানি করতে শুরু করে যার ফলে বিশ্বব্যাপী তাদের নাম
হয়ে ওঠে।
যদি কোন সাইকেলের নাম ইনফিল্ড হয় তাহলে মনে করা হতো এটি ইংল্যান্ডের সাইকেল এবং
এডি ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড কোম্পানি সাইকেল। এই জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায়
১৮৯৬ সালে বাইসাইকেল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় যার ফলে এটি রাজকীয়
একটি ভাব তৈরি করে ফেলে।
বাইসাইকেল বিক্রির এরকম জনপ্রিয়তা দেখে তারা ওই আমলের রাজা বাদশার নাম অনুকরণ
করে বাইসাইকেল কোম্পানিটির নাম দেয় রয়েল এনফিল্ড। যদিও তারা সেই বছরই এই
কোম্পানির নামটি নিবন্ধন করতে পেরেছিল না। কিন্তু ঘটনা ঘটে ১৮ ৯৮ সালে, এই সালটি
ছিল রয়েল এনফিল্ডের জন্য শ্রেষ্ঠ সময় মূলত এই সময় থেকেই তাদের আলাদা সুনাম
ছড়িয়ে পড়ে।
১৮৯৮ সালে তারা প্রথম মোটর চালিত বাইসাইকেল নির্মাণ করে যার ফলে তারা রয়েল
এনফিল্ড কোম্পানির নিয়ম সম্মানজনকভাবে পেয়ে যায়। যদিও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে
বাজারে বিক্রি হচ্ছিল না। এরপর ১৯০১ সালে তারা প্রথম বাইসাইকেলের ফ্রেমে ইঞ্জিন
লাগিয়ে একটি সচ্ছল মোটরসাইকেল টাইপের বাইসাইকেল বাজারজাত করে তাক লাগিয়ে দেয়।
এরকম ভাবে ১৯০৬ সালে তারা এনফিল্ড অটোকার নামে নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করে। এই
প্রতিষ্ঠানটি চালু করলেও তারা সেটি আসবে দীর্ঘদিন ভাবে ধরে রাখতে পারেনি কারণ এই
কোম্পানিটি বিশাল ভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং বিক্রি কমে যায় বা হয় না
বললেই চলে। তখন তারা বিএসএ নামে একটি কোম্পানির কাছে তাদের প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি
করে দেয়।
তবে তারা বিক্রির আগে ওই প্রতিষ্ঠানের একটি ক্ষমতাশীল পদে অধিষ্ঠিত হয়। তখন এই
কোম্পানিটি রাইফেল, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং মিনি কার বিক্রি করতো। এরপর ১৯০৯
সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এনফিল্ডের একটি পরিপূর্ণ বাইক বাজারের লঞ্চ করে। এদিকে
সেই বছরই বব ওয়াকার স্মিথের বড় ছেলে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করে এবং দুজনই
ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান।
এদিকে ১৯১৪ সালে রয়েল এনফিল্ড তাদের আকর্ষণীয় মোটরবাইক বাজারে বিক্রি শুরু করে।
কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে তাদের ৭০০ সিসির মোটরসাইকেলটি
ব্যাপকভাবে বিক্রি চালু হয়ে যায় এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাবাহিনীরা এই
মোটরসাইকেলটি সব থেকে বেশি ব্যবহার করত যাতায়াতের জন্য। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল
ইউনাইটেড কিংডম, বেলজিয়াম, ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা, ফ্রান্স এবং রাশিয়ার
সেনাবাহিনী অন্যতম।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিটি আরও ৮ টি মডেল বাজারে
নিয়ে আসে। তারা মূলত এই যুদ্ধের সময় একটি মডেল সবথেকে বেশি লঞ্চ করে এবং বাকি
সময়টুকু নতুন নতুন মডেল আবিষ্কারের পেছনে লাগিয়ে দেয় এবং ব্যাপক গবেষণা লগ্ধ
চালাই। যার ফলে তারা নতুন নতুন পোর্টফলিও রয়েল এনফিল্ড বাইক বাজারে নিয়ে আসতে
সক্ষম হয়।
১৯৩২ সালে রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিটি একটি বড় কাজ করে বসে। তারা রয়েল এনফিল্ড
বুলেট নামে একটি বাইক বাজারে লঞ্চ করে যেটি ছিল রয়েল এনফিল্ড এর সব থেকে আইকনিক
এবং ইউনিক স্টাইলিশ বাইক। এবং এই মডেলটি এমনভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে যেন রয়েল
এনফিল্ড এর নাম মানেই বুলেট, আবার অনেকেই রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিতে মূলত বুলেট
বাইকের কারনে।
আপনি কি বুঝতে পারছেন যে শুধুমাত্র একটি মডেল এর কারণে কোম্পানিকে মানুষ
আলাদাভাবে চিনতে শুরু করে। কিন্তু ১৯৩৩ সালে হঠাৎ করে বব ওয়াকার স্মিথ হঠাৎ করে
মারা যায় যার ফলে ফ্যাঙ্ক কোম্পানিটি পরিচালনার পরিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে।
তারপরে তিনি তার মতো করে বিভিন্ন মডেল বাজারে লন্স করতে থাকে।
এরপর ১৯৩৬ সালে রয়েল এনফিল্ড বুলেটের ৫০০ সিসির মোটরসাইকেল লঞ্চ করা হয়ে যেটিতে
ফোর ভালব ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। বলতে গেলে এটি খুবই শক্তিশালী এবং জনপ্রিয়
মডেল হয়ে ওঠে সমগ্র মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে। এরপরে ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সেনাবাহিনীদের যাতায়াতের জন্য রয়েল এনফিল্ড
প্রথমবারের মতো রয়েল এনফিল্ড এয়ারবোন নামে মোটরসাইকেল লঞ্চ করে যেটি প্যারাসুটের
মাধ্যমে সেনাবাহিনীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় বিমান থেকে।
১৯৪৮ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত মোটরসাইকেল ট্রায়ালের অনুষ্ঠানে রয়েল এনফিল্ড এর
দুটি ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল পারফর্ম করে এবং দুইজন রাইডারই স্বর্ণপদক লাভ করে।
এরপর থেকে রয়েল এনফিল্ড এর জনপ্রিয়তা আলাদা লেভেলে চলে যায়।
এরপরে ইন্ডিয়ার একজন ব্যক্তির যার নাম ছিল KR SUNDARAM LYER, তিনি মাদ্রাজ মোটরস
নামে মাদ্রাজে একটি বাইকের শোরুম প্রতিষ্ঠা করে। তাদের প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য
ছিল বৃটেনের বিভিন্ন মোটরসাইকেল ভারতে নিয়ে এসে বিক্রি করা অর্থাৎ ইমপোর্ট করা।
এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের সরকার যখন তাদের সীমানা রক্ষীদের জন্য মোটরসাইকেল কেনার
চিন্তা ভাবনা করে তখন তারা বৃটিশের রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিকে চুজ করে।
যার কারণে মাদ্রাজ মটরস কোম্পানিটি কোন প্রকার খরচা বাদেই রয়েল এনফিল্ড বাইক
বিক্রি করার লাইসেন্স পেয়ে যায়। ইন্ডিয়ান আর্মি মাদ্রাজ মটরস এর কাছে 350cc
রয়েল এনফিল্ড বাইকের ৮০০ টি ইউনিট অর্ডার করে, যেটি মাদ্রাজ মটরস ১৯৫৩ সালে
ইন্ডিয়ান আর্মিকে ডেলিভারি দেয়।
আর্মিদের কাছে রয়েল এনফিল্ডের এই বাইকগুলো দেখে অন্যান্য সাধারণ মানুষও এগুলোকে
ব্যাপকভাবে পছন্দ করে এবং মানুষ আস্তে আস্তে এগুলো মাদ্রাজ মোটর্সে অর্ডার করতে
থাকে। এগুলো দেখে রয়েল এনফিল্ড কোম্পানি এবং মাদ্রাজ মটরস মিলে ভারতে ইন্ডিয়ান
রয়েল এনফিল্ড নামে একটি নতুন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। এরপর থেকেই ভারতে রয়েল
এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু হয় এবং ব্যাপকভাবে বিক্রি হতে
থাকে।
কিন্তু ১৯৬৫ সালে যখন জাপানি মোটরসাইকেল এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা শুরু হয় তখন
অন্যান্য কোম্পানির মতো রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিতেও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল।
কারণ জাপানি মোটরসাইকেল গুলো কম দামে বিক্রি করতে এবং ভালো সার্ভিস দিত, সেই
তুলনায় রয়েল এনফিল্ডের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি এবং যন্ত্রাংশের দাম বেশি ছিল।
এরকম ভাবে চলতে থাকলে ২০০০ সালের পরে ভারতের রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিটি " দি রয়েল
এনফিল্ড কোম্পানি নামে" নামকরণ করে এবং নতুন নতুন মডেল বাজারে নিয়ে আসতে থাকে।
তখনও রয়েল এনফিল্ড মার্কেট ততটা ভালো নয়। তখন তারা বিভিন্ন ইউনিক ডিজাইন কাজে
লাগিয়ে মার্কেট পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে।
যার ফলে রয়েল এনফিল্ড বাইকের ঐতিহ্য আবার ফিরে আসে। ২০০৫ সালে রয়েল এনফিল্ড
কোম্পানিটি ইন্ডিয়ার মার্কেটে ২৫ হাজার পিস বাইক বিক্রি করেছিল যেটি ২০১০ সালে
দ্বিগুণ হয়ে পঞ্চাশ হাজারে পরিণত হয়। যেহেতু তারা হায়ার সিসি বাদ দিয়ে সাধারণ
মানুষদের জন্য মিডিল ক্লাস বাইক বিক্রি এবং ডিজাইন করেছিল তাই ইন্ডিয়াতে
প্রতিবছরই এরকম ভাবে বিক্রির হার বেড়েই চলছিল।
এভাবে চলতে থাকলে ২০২০ সালে অর্থাৎ করোনার সময় ২৫১-৫০০ সিসির মোটরসাইকেল বিক্রির
তালিকায় রয়েল এনফিল প্রথম। সেই বছর রয়েল এনফিল্ড কোম্পানিটি ৩ লক্ষ ১১ লক্ষ
৩৮৮ টি বাইক বিক্রি করে যেখানে কেটিএম বাজাজ কোম্পানির বাইক বিক্রি হয়েছিল মাত্র
৯ হাজার ৮৭০ টি। এর আগে থেকেই বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ড এর একটি ফ্যান বেজ তৈরি
হতে থাকে এবং বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ডের বিভিন্ন বাইক মানুষদের মন কেড়ে নেয়।
যদিও বাংলাদেশে সিসি লিমিটেশনের কারণে রয়েল এনফিল্ড বাইক গুলো বাংলাদেশ ইমপোর্ট
করা সম্ভব ছিল না যার ফলে বাংলাদেশের মানুষজন শুধুমাত্র ইন্ডিয়ার মানুষদের
চালানো দেখতো এবং ইন্ডিয়া গিয়ে রয়েল এনফিল্ড বাইক গুলো চালিয়ে আসতো। কিন্তু
বাংলাদেশে বাইকের সিসি লিমিটেশন বেড়ে গেলে ২০২৪ সালে ইফাদ মটরস রয়েল এনফিল্ড
বাইক গুলো বাংলাদেশ ইমপোর্ট করার সিদ্ধান্ত নেই এবং এডভান্স পেমেন্ট গ্রহণ শুরু
করে।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েল এনফিল্ড কেনার জন্য ইফাদ মটরসে রয়েল এনফিল্ড
বিভিন্ন মডেলের বাইকের বুকিং দেয়। যার ফলে ইফাদ মটরস ২০২৫ সালে রয়েল এনফিল্ডের
ক্লাসিক ৩৫০, বুলেট ৩৫০, এবং এডভেঞ্চার ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল বাংলাদেশে ডেলিভারি
শুরু করে।
রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে দাম কত ২০২৫
বাংলাদেশে মোটামুটি চারটি মডেলের রয়েল এনফিল্ড করা হয়েছে। নিচে এই বাইকগুলোর
নাম ও দাম উল্লেখ করা হলোঃ
- রয়েল এনফিল্ড বুলেট, যার দাম বাংলাদেশি টাকায় ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
- রয়েল এনফিল্ড মিটিওর, যার দাম বাংলাদেশি টাকায় ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।
- রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক, যার দাম বাংলাদেশি টাকায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
- রয়েল এনফিল্ড হান্টার, যার দাম বাংলাদেশি টাকায় ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
লেখকের মতামত
বাংলাদেশের রয়েল এনফিল্ড বাইক এর দাম কত টাকা এবং রয়েল এনফিল্ড এর উৎপত্তি
কিভাবে হয়েছিল ও বাংলাদেশে কিভাবে এসেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি যদি
এছাড়া অন্যান্য কোন আর্টিকেল করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের হোম পেজ ভিজিট
করতে পারেন। সেখানে ক্যাটাগরি অনুসারে বিভিন্ন পোস্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url