বিটিআরসি ডাটাবেজে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত নয়। হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা হবে।

এরকম যদি হয় যে আপনি একটি মোবাইল কিনেছেন এবং মোবাইল কিনে যখন চালু করতে যাচ্ছেন তখন লেখা দিচ্ছে "বিটিআরসি ডাটাবেজে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত নয়। হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা হবে।" তাহলে তখন আপনার কাছে কেমন লাগবে? এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে আমাদের এলাকার একজনের সাথে।
বিটিআরসি ডাটাবেজে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত নয়। হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা হবে।
সে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল ফোন কিনেছে এবং মোবাইল ফোন কিনে যখন সচল করতে গিয়েছে তখন দেখছে এরকম লেখা উঠছে। তখন সে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমি ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখার পর দেখলাম যে আসলেই লেখা দিচ্ছে বিটিআরসি ডাটাবেজে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত নয়। হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা হবে। তো আপনাদের সাথে যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আপনারা কি করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে এই আর্টিকেলে।

বিটিআরসি ডাটাবেজে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত নয়। হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা হবে। কেন এরকম লেখা দেয়?

এই পৃথিবীতে অনেক রকম ব্যবসা রয়েছে যার মধ্যে পুরাতন ফোনের ব্যবসা করা অন্যতম একটি ব্যবসার মধ্যে পরিণত হয়েছে। এরকম ব্যবসাগুলোতে তুলনামূলকভাবে লাভ অনেক বেশি থাকে কারণ এই গুলোতে লসের বা ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আপনি কিভাবে ব্যবসা করবেন সে সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বর্তমানে যারা ব্যবসা করছে তাদের থেকে বিভিন্ন টিপস এবং টিক্স নিতে পারেন।

বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্ডার অর্থাৎ ভারতের থেকে এ ধরনের ভোট গুলো সব থেকে বেশি আমদানি করা হয়ে থাকে। এগুলো মূলত বিটিআরসি কর্তৃক নিবন্ধিত নই অর্থাৎ এগুলো আপনি কম দামে ক্রয় করতে পারবেন কিন্তু এই ফোন যেহেতু বিটিআরসি করতে নাই তাহলে যে কোন সময় বাংলাদেশের সার্ভার থেকে এগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে তখন আপনি আর কিছুই করতে পারবেন না।

মনে করেন এই ফোন দিয়ে আপনি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ডাটা করলো আপনার ফোনে সংগ্রহ করে রাখছেন। হঠাৎ করে কোন এক সময় আপনার মোবাইল যদি বন্ধ হয়ে যায় কিংবা আর যদি অন না হয় তাহলে আপনার আর কিছুই করার থাকবে না কারণ এটি বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ডাটা বেজে নিবন্ধিত করা নেই।
এ ধরনের মোবাইল দিয়ে আপনি সব কাজে মোটামুটি করতে পারবেন শুধুমাত্র কোন সিম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনি বিশেষ করে যেগুলো বিদেশি মোবাইল রয়েছে কিংবা আপনার যদি কেউ বিদেশ থাকে সে যদি আপনার জন্য বিদেশী কোন কোম্পানির মোবাইল নিয়ে আসে সেগুলো আর কি এই ধরনের হয়ে থাকে অর্থাৎ বাংলাদেশের বিটিআরসি কর্তৃক নিবন্ধিত থাকে না।

এ ধরনের ফোন গুলোকে মূলত আনঅফিসিয়াল ফোন বলা হয়ে থাকে। এই ফোনগুলো সব থেকে বড় অসুবিধা হলো এতে আপনি কোন প্রকার সিম ব্যবহার করতে পারবেন না এবং সিম দিয়ে কোন প্রকার ইন্টারনেট এর সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে আপনি চাইলে কিন্তু এই মোবাইল ফোন দিয়ে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা পেতে পারবেন।

তবে এই ফোনগুলো যদি কোন প্রকার চোরাই কিংবা চুরিকৃত ফোন হয়ে থাকে তাহলে রয়েছে বিরাট সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেগুলো সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরাতন মোবাইল ফোন বিক্রি হয়ে থাকে তার অনেকগুলো কিন্তু এরকম চুরি করা ফোন হয়ে থাকে। যারা চুরি করে তারা চুরি করে নিয়ে এসে মোবাইল বিক্রেতাদের কাছে কম দামে বিক্রি করে দেয় এবং মোবাইল বিক্রেতারা আপনাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে।

তাই এসব দিক থেকে আপনার অবশ্যই সব থেকে বেশি সর্তকতা অবলম্বন করবেন কারণ ওই লোক যদি তার ফোন হারানোর জন্য থানায় অভিযোগ করে থাকে এবং ফোনের সকল ইনফরমেশন দিয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ওই ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করবে এবং ওই ফোন যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই জরিমানা করবে এমনকি আপনার জেলও হতে পারে।

তো যাই হোক যে কথা বলছিলাম, সাধারণভাবে বিদেশ থেকে সাধারণত যে ধরনের মোবাইল গুলো নিয়ে আসা হয়ে থাকে এই মোবাইল গুলো বিডিআরসি ডাটাবেজে নিবন্ধিত থাকে না। যার ফলে আপনি যদি সেগুলোতে বাংলাদেশের নেটওয়ার্কের কোন সিম ব্যবহার করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে "বিটিআরসি ডাটাবেজে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত নয়। হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা হবে।" এই লেখাটি দেখাবে।

তবে এই লেখাটি দেখালে আপনি কখনোই খারাপ ভাববেন না কারণ এটি একটি স্বাভাবিক এবং খুবই সাধারণ বিষয়। আপনি আপনার নিকটস্থ কোনো সার্ভিসিং সেন্টারে যাবেন এবং আপনার এই সমস্যার কথা তাদের বলবেন। তাহলে তারা খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার এই সমস্যাটি সমাধান করে দেবে অর্থাৎ কিছু টাকা প্রদান করে বিটিআরসি ডাটাবেজে আপনার হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধন করে দেবে।
আর আপনি যদি এই সম্পর্কে কিছু না জেনে থাকেন তাহলে আপনার আশেপাশে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তাহলে একটি সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন। আর অফিসিয়াল ফোন গুলোর কথা বলছিলাম সাধারণত আমাদের দেশের যে কোন কোম্পানির ফোন যদি লন্স হয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগের আওতাভুক্ত হয়ে বাজারে আসে।

কিন্তু আপনি যখন অফিসিয়াল ফোন কিংবা বিদেশ থেকে ফোন নিয়ে আসবেন সেগুলোর সাথে বাংলাদেশ যোগাযোগের কোন সম্পর্ক থাকে না। আপনি অনায়াসে ওয়াইফাই দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু আপনি মোবাইলের ইন্টারনেট দিয়ে কখনোই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না, কিংবা কারো সাথে কথা বলতে পারবেন না।

এর আগে প্রস্তাবনা হয়েছিল যে বাংলাদেশের যত ধরনের এইরকম মোবাইল রয়েছে সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হবে অর্থাৎ বাংলাদেশের নেটওয়ার্কের এ ধরনের ফোন কাজ করবে না। তবে এই প্রকল্পটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি কারণ অনেক আনঅফিসিয়াল ফোন এখনো অহরহভাবে চলছে। তবে আপনার ক্ষেত্রে যদি এই সমস্যাটি দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই উপরে দেওয়া নিয়মটি অনুসরণ করবেন।

আর অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম মোটামুটি কম হয় কারণ আপনি যদি যেকোন ফোনকে বিডিআরসির ডাটাবেজে সংযুক্ত করতে চান তাহলে আপনাকে একটি ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান করতে হয়। কিন্তু আপনি যদি আনঅফিসিয়াল ফোন ক্রয় করেন তাহলে তারা এই ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদান করে না যার ফলের দাম অনেকাংশে কমে পাওয়া যায়।

বিটিআরসি ডাটাবেজে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত নয়। হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা হবে। এরকম লেখা দিলে আপনি যা করবেন

আপনার স্মার্ট ফোনে যদি এরকম কোন লেখা দেয় তাহলে আপনি এটি মূলত কয়েকভাবে সমাধান করতে পারবেন। এর কয়েকটি পদ্ধতি গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান, অপারেটরের মাধ্যমে সমাধান, বিটিআরসি কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে সমাধান, ম্যানুয়ালি সমাধান। এগুলো আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো নিচে।

অনেক মোবাইলের ক্ষেত্রে দেখা যায় এই সমস্যাটি সমাধান স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যায় অর্থাৎ আপনি কোন কিছু না করলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে একা একাই ঠিক হয়ে যাবে। যদিও এই প্রক্রিয়াটি একটি সময় সাপেক্ষ এবং অনেক সময় লাগে এটি করতে। তাই আপনি যদি অতি দ্রুত সমস্যাটি সমাধান করতে চান তাহলে এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য উপযুক্ত নয়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সিম কোম্পানির অপারেটর যেমনঃ রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, টেলিটক, স্কিটো ইত্যাদি। আপনি চাইলে এসব অপারেটরদের সাথে কথা বলে কিংবা তাদের সাথে লাইভ কথা বলে আপনার সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে হয়তো আপনাকে কিছু টাকা প্রদান করতে হতে পারে।
আপনি যদি মোবাইলের বিভিন্ন সেটিং সম্পর্কে খুব ভালো বোঝেন তাহলে আপনি ম্যানুয়ালি এই কাজটি করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে মোবাইলের সেটিংস অপশন থেকে সিম সেটিংসে যেতে হবে এবং সেখান থেকে এই কাজগুলো করতে হবে। তবে আপনি যদি সেটিংস বিষয় একজন পারদর্শী না হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই কাজটি করতে যাবেন না কারণ সেখানে বিভিন্ন ধরনের সেটিংস থাকে। আপনি যদি ভুলে কোন সেটিং অন বা অফ করে ফেলেন তাহলে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

আর সব থেকে ভালো হয় বিটিআরসির সার্ভিসিং সেন্টারের সাথে কথা বলে। কারণ এই বিষয়গুলো যেহেতু তারা নিজস্বভাবে পরিচালনা করে থাকে তাই আপনি যদি তাদের থেকে সার্ভিস নেন তাহলে ভবিষ্যতে আর কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। তাই আপনি চেষ্টা করবেন তাদের থেকে এই সমস্যাটির সমাধান করে নেওয়া।

শেষ কথা

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে যে টেকনিকটি দেখানো হয়েছে সেই টেকনিক অনুসারে আপনি যদি আপনার ফোনের সমস্যা অর্থাৎ যদি আপনার ফোনে "বিটিআরসি ডাটাবেজে হ্যান্ডসেটটি নিবন্ধিত নয়। হ্যান্ডসেটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন করা হবে।" এই লেখাটি দেখায় তাহলে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসরণ করলেই সমাধান পেয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪