চামটিয়ার দীঘা কবে কাটা হয়েছিল, চামটিয়া কেন বিখ্যাত
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় একটি গ্রাম নিয়ে। গ্রাম
এত অদ্ভুত টাইপের কিভাবে হয় তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না যদি আর্টিকেলটি না
পারেন। বিভিন্ন ভিলভিলি টাইপের ঘটনা ঘটে এই গ্রামে। আপনি জানলে অবাক হবেন এটি
পৃথিবীর একমাত্র গ্রাম যেখানে একজন বিকট করতে ব্যাক্তি রয়েছে। সাধারণ মানুষের
যেরকম কন্ঠ তার থেকে আলাদা সাউন্ড এর সাইলেন্সার ফাটানো গলা তার।
আরো একজন রয়েছে যিনি একজন প্রিন্সিপাল মানুষ হলেও তার কথাবার্তা এবং চলন বলন
অভিনেতাদের কেও হার মানাবে। তার প্রথম ডায়লগ "কি হচ্চে", এছাড়া তার বিভিন্ন
স্টাইলের কথাবার্তা পৃথিবী জুড়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরকম যদি আরো
ইন্টারেস্টিং ঘটনা জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়বেন চামটিয়া গ্রাম সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নিবেন। চলুন বাড়তি কথা না বলে আলোচনা শুরু করা যাক।
চামটিয়া কোথায়
চামটিয়া হল মহাবিশ্বের পৃথিবী নামক গ্রহে বাংলাদেশ নামক দেশের রাজশাহী বিভাগের
নাটোর জেলার লালপুর থানার অন্তর্গত দুই নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের গৌরীপুর ডাকঘরের
এরিয়ার মধ্যে। ডাকঘর গৌরীপুর হলেও সবার ওঠা-বসা, বাজার সদাই এবং চলাফেরা
গোপালপুরে।
চামটিয়া কেন বিখ্যাত
চামটিয়া বেশ কয়েকটি কারণে বিখ্যাত। এই বিখ্যাত কারণগুলো যদি আপনাদের জানাতে
চায় তাহলে কয়েক বছর লেগে যাবে কারণ এত কারণ আসলে কিভাবে জানব। সামান্য একটি
ওয়েবসাইটে লিখে কি এই কথাগুলো প্রকাশ করা যাবে? যদি লিখে প্রকাশ করতে লাগি তাহলে
দিনের পরে দিন, সপ্তাহর পরে সপ্তাহ, মাসের পরে মাস, বছরের পরে বছর, যুগের পরে যুগ
কেটে যাবে। আবার অন্যদিকে এগুলি লিখতে লেগে আমার সব কিছু ফেটে যাবে।
চামটিয়াতে এমন কিছু প্রজাতির মানুষ রয়েছে যাদের কারণে পুরো বিশ্বব্যাপী আমাদের
চামটিয়া গ্রামটি পরিচিতি লাভ করেছে। এই পরিচিতি আসলে সাধারণ পরিচিতির মত নয়, এ
পরিচিতি আসলে এরকম এক ধরনের পরিচিতি যে পরিচিতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রার কোন
উন্নতি হয় না। কোন ধরনের প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়
না।
যে পরিচিতির কারণে গ্রামটিকে কেউ চিনেনা, আশেপাশের লোকজন ব্যতীত। এই গ্রামে বিশেষ
কিছু বিখ্যাত লোকজন রয়েছে, কিছু পর্যটক স্থান রয়েছে এবং স্থাপত্য রয়েছে। ধীরে
ধীরে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আপনারা মনযোগ সহকারে পড়তে থাকেন।
চামটিয়ার পর্যটক স্থান
চামটিয়া গ্রামে বেশ কিছু পর্যটক স্থান রয়েছে যেগুলো পৃথিবীতে আপনি আর দ্বিতীয়টি
পাবেন না। আর এমনই সব পর্যটক স্থান যেগুলো দ্বিতীয়টি আর কোনদিন দেখা যাবে না
কারণ এগুলো যেভাবে তৈরি হয়েছিল সেই রহস্য সবারই অজানা। এমন কিছু পর্যটক স্থান
রয়েছে এখনো বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এর অবস্থান জানতে পারেনি। জ্যোতিষবিজ্ঞানী
"কেলাবেলা পটলেম-২০০২" তিনি ফার্মের ডিম তোলার সময় মাটির নিচে একটি জীবাশ্মের
সন্ধান পান।
কিন্তু সন্ধান পাওয়ার পরে মুরগির ডাবল কুসুমে ডিম দেখে সব কিছু ভুলে যান। যদিও
তিনি এই তথ্যটি প্রকাশ করার পরে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তাই এলাকাবাসী তার
কাছে আর কোনো দাবিদাওয়া রাখেনি। তবে তাকে অনুরোধ করেছে যে সে যেন পরবর্তী সময়ে
আর এই রকম ভুল না করে। কারণ ডবল কুসুমের ডিম মুরগি পরবর্তী সময়ও পারবে যদিও কষ্ট
হয়, কিন্তু এই ধরনের জীবাশ্মের সন্ধান আর পাওয়া যাবে না।
চামটিয়ার পর্যটক স্থানগুলোর নাম নিম্নরূপঃ
- দীঘা
- একরামের মোড়
- জিয়ার দোকান
- সোহেলের দোকান
- ফরজের দোকান
- মিনার মোড়
এছাড়া আরো বেশ কিছু পর্যটক স্থান রয়েছে, কিন্তু সেগুলোর মুখোশ উন্মোচন ন করা
যাবে না কারণ সেগুলো রহস্যময় যেগুলো সারা জীবন রহস্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই থেকে
যাবে। অদ্ভুত এই পৃথিবীর বিশেষ এই জায়গা সম্পর্কের সামান্য কিছু তথ্য আপনাদের
সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর তথ্যগুলো হল পানির মধ্যে বরফ পাহাড়ের মত। আপনাদের
সামনে যতটুকু উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো পানির উপরে থাকে, আর পানির নিচে যে
বৃহত্তর বরফের পাহাড় থাকে সেই সম্পর্কে আপনাদের জানানোই হয়নি।
চামটিয়ার স্থাপত্য
চামটিয়াতে বেশ কিছু স্থাপত্য রয়েছে, যে স্থাপত্যগুলো একদিনে করে ওঠেনি। এগুলো
গড়ে ওঠার জন্য প্ল্যান পরিকল্পনা ছিল কয়েক যুগের। বিশাল এক পরিকল্পনার
বাস্তবায়ন হিসেবে গড়ে উঠেছে এই সকল অভূতপূর্ব স্থাপত্য। এগুলো সম্পর্কে পৃথিবীর
প্রায় প্রত্যেক মানুষই জানে না। যদিও কয়েকজন জানে তারা আবার তার কাছে গল্প করে
না।
চামটিয়ার স্থাপত্যগুলোর নাম
- দিঘার প্রাচীর
- মসজিদ
- ইদগাহ
- প্রিন্সিপালের বাড়ি
- ফরজের চকি
- ভাটা
- খেলার মাঠ
- মাহাবুলের পুকুরের সামনের ২ মাচা
চামটিয়ার বিখ্যাত লোকজন
চামটিয়াতে বিশেষ কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের পরিচিতি বিশ্বব্যাপী নয়, দেশব্যাপী
না হলেও এলাকাব্যাপী ব্যাপক রয়েছে। আমরা তাদের মনেপ্রাণে ভালোবাসি। আর যাদের
ভালোবাসা যায় তাদের সাথে মজা করাও যায়। তো সেই জায়গা থেকে তাদের সম্পর্কে কিছু
মন্তব্য এবং আলোচনা করা হবে।
চামটিয়ার বিখ্যাত লোকজনদের তালিকাঃ
- প্রিন্সিপাল হযরত আলী
- সাইদুল ইসলাম নান্টু
- মেজর
- ডাঃ মুক্তার হোসেন
- ডাঃ রানা
- কাউসার (নয়ন)
- অর্থি (জাপান)
- নাজমুল হক হৃদয়
- আবদুল্লাহ আল মামুন (ঢাবি)
- সাকিব (জিন)
- আসিব (কঠিন)
- আবদুল্লাহ আল শিহাব অরফে সিয়াম (ছন্দরাজ)
- ফাইফুর রহমান (ছন্দরাজ-sm))
- সজল (ধুড়া)
চামটিয়ার মানুষজন কেমন
চামটিয়া গ্রামের মানুষ অত্যন্ত বন্ধুসুলভ কিন্তু পিকনিকে গান বাজালেই তাদের
কেরাপুরা কামড়ায়। এছাড়া সবাই সবাইকে সহযোগিতা করে, যে কারো বিপদ আপদে সবাই
ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের কথা চিন্তা না করেই।
চামটিয়ার মানুষদের পেশা কি
এই অঞ্চলের মানুষদের প্রধান পেশা কৃষি। প্রধান পেশা বলতে সেই কারণে যে অধিকাংশ
মানুষই কৃষি আবাদ করে জীবন যাপন করে। এছাড়া রয়েছে ডাক্তার, প্রফেসর, শিক্ষক,
ফ্রিল্যান্সার, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, অন্যান্য চাকরিজীবী পেশার মানুষ। তবে সবাই
সবার পেশাকে নিজের মতো করে সম্মান করে এবং টাকা ইনকাম করে।
চামটিয়ার বিখ্যাত ছন্দবাজ কে?
পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের প্রতিভা আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। তার
মধ্যে আব্দুল্লাহ আল শিহাব বা সিয়াম অন্যতম। তিনি হলেন ছন্দের রাজা। তার মুখের প্রতিটি
কথাই যেন মিলানো ছন্দ। তার কথাগুলো শুনলে মনে হবে সে যেন আগে থেকেই এ কথাগুলো
সাজিয়ে রেখেছিল এবং সেই মুখস্থ করে এসে কথাগুলো বলছে।
বিষয়টি মোটেও এরকম নই, তার মাথায় সবসময়ই এগুলোই ঘুরে এবং অনবরত এই কথাগুলো সে
বলতে পারে কোন সমস্যা ছাড়াই। নিচে বেশ কিছু উদাহরণ দেওয়া হল যাতে আপনারা তার
সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারেন।
দীঘা
জুড়ে রয়েছে ৩২ বিঘা
এগুলো কিন্তু সবই দলিলে রয়েছে লেখা
দলিল খুললেই যায় সব দেখা
যদিও লেখার মধ্যে রয়েছে একটু বাকা
কারন লেখক করেছিল একটু ন্যাকা
লেখলের হাত বাকা
ওই যুগে লেখা জানা লোক পাওয়ায় কষ্ট
কারন অধিকাংশই কাজে ছিল ব্যস্ত
একরামের মোড়
আমি পুকুরে সাতার কাটি দিয়ে কলার ভুর
অনেক বড় হাতির সুর
অনেক মিষ্টি খেজুরের গুড়
কিন্তু এটা টাটকা খেতে যেতে হয় অনেক দূর
রাজিবের ভ্যাস্তির নাম নূর
কি যে কয় এসব ধুর
জিয়ার দোকান
জিয়া দিছে দুকান
মুরব্বিরা চা-বিস্কুট মুখে ঢুকান
তারা এলাকার দোষত্রুটিগুলো ধরে ধরে দেখান
এই শীতে আপনি কি ঘি খান
সোহেলের দোকান
ছোট বেলায় সোহেলের দোকানে যেতাম
মিষ্টি আর পা রুটি খেতাম
ঠিকমত টাকাও দিতাম
মাঝেমধ্যে ফ্রি দিলে তাও খেতাম
টিভিতে দেখতাম ছবি
ভালো লাগতো খুবই
দোকানদার বলতো মিষ্টি পাউরুটি আরো কি নিবি
নাকি দেখতেই থাকবে ছবি
আমি বলতাম না খেয়ে দেখব আমি ছবি
কারণ বড় হয়ে আমি হতে চাই একজন কবি
সে বলত কবি হতে চাইলে দেখতে হয় কি ছবি?
তুইতো বদমাইশ খুবই
মাইর কি খাবি
নাকি এখান থেকে যাবি
কিন্তু আমি মনে মনে ভাবি
তার থেকে নিলাম আমি সদাই
কিন্তু সে আমারে করতে চায় বিদায়
হোই, চলে গেলাম এতক্ষণ তর্ক করছিলাম হুদাই
চামটিয়ার দীঘা কবে কাটা হয়েছিল
লোকমুখে শোনা যায় তারা জন্ম থেকেই এই দীঘা দেখছে, আর যেহেতু এটি হিন্দুদের
সম্পত্তি ছিল তাই আশা করা যায় আনুমানিক ১৭০০ সালের দিকে ফরাসি ডাকাত "হিউম্যান
ভিলভিলি চ্যানাক্ক" তার সোনা-দান, জাদুর সামগ্রী ও জিনভরার বোতল রাখার জন্য এটি
খনন করেছিল।
চামটিয়ার হুইলিম
চামটিয়ার হুইলিম হল বড়াং।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url