না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো? 24 ঘন্টা না ঘুমানোর উপায়
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে একটি চমকপ্রদ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমাদের কাছে
অনেকেই জানতে চেয়েছেন না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো? তো এই বিষয়ে বিভিন্ন টেকনিক
সম্পর্কে আপনাদের জানানো হবে যেগুলো জানলে আপনি বুঝতে পারবেন। আর আপনার মনের
মধ্যে যে প্রশ্নটি উঁকি দিচ্ছে অর্থাৎ না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো তার উত্তর জানতে
পারবেন।
যেহেতু এই প্রশ্নটি জীবন সম্পর্কিত তাই আপনার উচিত পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
মনোযোগ সহকারে পড়া। আপনি যদি তাড়াহুড়া করে পড়ে ভুল তথ্য গ্রহণ করেন তাহলে
মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবেন। তাই এখন যদি আপনার হাতে সময় না থাকে তাহলে
ফ্রি সময়ে পড়বেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক না ঘুমিয়ে কিভাবে
ঘুমাবো সেই টেকনিক সম্পর্কে।
মানুষ কতদিন না ঘুমিয়ে বাঁচতে পারে
আসলে ঘুম মানুষের একটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বা চাহিদা। আপনি যদি সঠিকভাবে না
ঘুমান তাহলে আপনার মস্তিষ্ক আর পরিপূর্ণভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে না।
আর পূর্ণাঙ্গ ঘুম না হলে দেহ ও মনের সঠিক চালিকাশক্তি কাজ করতে পারেনা। তাই আপনি
যদি সুস্থ সবল এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বয়স
অনুসারে পর্যাপ্ত ঘুম পারতে হবে।
সাধারণভাবে মানুষ কত দিন না ঘুমিয়ে বাঁচতে পারে এটি প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্য
আলাদা আলাদা হতে পারে। দেখা যাচ্ছে আপনার শরীরের যদি ইমিউনিটি সিস্টেম বা
পরিস্থিতির সাপেক্ষে তাল মিলিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটি যদি না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি
সামান্য পাঁচ থেকে সাত দিন না ঘুমালে মারা যেতে পারেন। কিন্তু একজন সুস্থ সবল এবং
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি একটানা ১১ দিন পর্যন্ত না ঘুমিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
রাতে কিভাবে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া যায়
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার বেশ কয়েকটি মারাত্মক টেকনিক রয়েছে যেগুলো আপনি
অনুসরণ করলে খুব সহজেই ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন। বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে রাত্রে
অনেকেই টেলিভিশন কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আপনি যদি এগুলো দেখে থাকেন তাহলে
আপনারও ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের রাত্রে খাওয়া দাওয়ার পরে হাটাহাটি করে না। আর
হাটাহাটি না করার কারণে খাবার ভালোভাবে হজম হয় না যার ফলেও ঘুমের সমস্যা দেখা
দিতে পারে। আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এসব
বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার কয়েকটি ধাপ
রয়েছে।
রাত্রের খাবার সন্ধ্যা রাতের পর পরই খেয়ে নেবেন। খাবার পরে পরিবারের সাথে আধা
ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা সময় কাটাবেন। এরপরে ঘুমানোর নিয়তে বিছানায় যাওয়ার পরে
কোন প্রকার ইলেকট্রিক ডিভাইস অর্থাৎ টিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল এ ধরনের
জিনিসগুলো প্রয়োজন বাদে বিনোদনের জন্য কখনোই দেখবেন না।
আপনি যদি এগুলো দেখে থাকেন তাহলে এগুলো দেখা বন্ধ করার মিনিমাম ৩০ মিনিট থেকে ১
ঘন্টা পরে আপনার ঘুম আসবে। ঘুম আসার জন্য এটি একটি দীর্ঘ সময়, তাই আপনি যদি
তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চান তাহলে কখনোই এই কাজগুলো করবেন না। আবার অনেকেই ঘুমানোর
পূর্বে চা কিংবা কফি পান করে থাকে, যার ফলেও কিন্তু ঘুমের সমস্যা হতে পারে তাই
ঘুমানোর পূর্বে এই ধরনের পানীয় সেবন করবেন না।
না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো
আপনি ইতিমধ্যে আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ না ঘুমিয়ে কিভাবে
ঘুমাবো এই অংশে প্রবেশ করেছেন। আসলে মানুষ হিসেবে আমাদের মাথায় কিন্তু বিভিন্ন
ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যেগুলোর উত্তর আমরা নিজেরা কখনোই জানিনা। তো এই স্মার্ট
দুনিয়ায় আপনার যেকোন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন খুব সহজেই শুধুমাত্র গুগল
ব্যবহার করে।
সত্য কথা বলতে গেলে পৃথিবীতে এমন কোন সিস্টেম নেই যেখানে আপনি না ঘুমিয়ে ঘুমানোর
উপকারিতা পাবেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের এভাবে সৃষ্টি করেছে যে ঘুম একটি নিত্য
প্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয়। তাই বয়স অনুসারে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে
ঘুমাতে হবে যদি আপনি সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে চান।
বর্তমান দুনিয়ায় এমন অনেক প্রযুক্তি রয়েছে যার ফলে মানুষ অনেক সুযোগ-সুবিধা
পাচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন টেকনোলজি বা ডিভাইস আবিষ্কৃত হয়নি যেটা দিয়ে
মানুষ না ঘুমিয়ে ঘুমানোর কাজ করতে পারে। হয়তো ভবিষ্যতে কোন এক সময় এই ধরনের
টেকনোলজি আবিষ্কৃত হয়ে যাবে বিজ্ঞানের আধুনিকায়নের কারণে।
না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো আপনার মাথায় এই প্রশ্নটি তখনই এসেছে যখন কোন
গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আপনাকে ঘুমানো যাবে না কিংবা কোন কারণে আপনি ঘুমানোর
সময় পাচ্ছেন না। আমার অনুমান যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্য আমি কয়েকটি
পরামর্শ দিতে পারি যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি এই ধরনের উদ্ভট প্রশ্নের সঠিক উত্তর
পেয়ে যাবেন।
তো এটি জানতে হলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে ঘুম মানুষের কেন প্রয়োজন? কেন
আমাদের প্রতিদিন ঘুমানো উচিত এবং না ঘুমিয়ে থাকলে আমাদের কি কি সমস্যা হতে পারে?
আর ওপরে যেহেতু আলোচনা করা হয়েছে যে ১১ দিন পর্যন্ত যদি মানুষ না ঘুমায় তাহলে
সে মারা যেতে পারে। তাই এই ধরনের অভ্যাস কখনোই আমাদের গড়ে তোলা উচিত নয়।
আপনি যদি সঠিকভাবে ঘুমান তাহলে আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থতা অর্জন
করে। আপনি সারাদিন যা পরিশ্রম করেন সেই পরিশ্রমের কারণে শরীরের ওপর যে চাপায়
রিলিফ করতে অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজন। আপনি সারাদিন যতই পরিশ্রম করেন যদি রাতে
সঠিকভাবে ঘুমান তাহলে পরের দিনে পরিপূর্ণ শক্তি সামর্থ্য নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমালে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং শক্তি সঞ্চিত হয়। আমাদের
শরীরের বিভিন্ন ধরনের টিস্যু রয়েছে যেগুলো কাজের কারণে বিভিন্ন চাপ সহ্য করে
থাকে। তো এই টিস্যুগুলো আগের অবস্থানে তখনই ফেরত যায় যখন আমরা বিশ্রাম নিয়ে
কিংবা ঘুমিয়ে থাকি। আর ঘুমালে মস্তিষ্কের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনা বিকাশ পায় যার
ফলে নতুন নতুন সমস্যা এবং সমাধানে আমাদের মস্তিষ্ক ব্যাপক কার্যকর ভূমিকা পালন
করতে পারে।
যেকোনো ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করে থাকে। যার ইমিউনিটি সিস্টেম যত শক্তিশালী স্বাভাবিকভাবে
তার সুস্থতা তত বেশি। আর আপনার যদি এটি দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে আপনি বিভিন্ন রোগে
আক্রান্ত হবেন এবং অধিকাংশ সময়ই অসুস্থ থাকবেন। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার
ওপরেও ঘুমের প্রভাব রয়েছে।
আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের হরমোন রয়েছে যেগুলো নিঃসরণের মাধ্যমে বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ এবং অভ্যন্তরীণ কাজ নিয়ন্ত্রিত হয়। আর যদি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট
হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের জটিল এবং কঠিন রোগ দেখা দেয়। তাই হরমোনের সঠিক নিঃসরণ
নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম পারতে হবে।
আশা করি ঘুম আমাদের শরীরের জন্য কেমন প্রভাব ফেলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে
ফেলেছেন। তো এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো বা আপনি কিভাবে
ঘুমাবেন। আপনি হয়তো বিভিন্ন চ্যানেলে কিংবা বিভিন্ন পোস্টারে দেখবেন না ঘুমিয়ে
ঘুমানোর উপায় দেওয়া রয়েছে। তো প্রথম কথাই বলতে গেলে এরা পরিপূর্ণভাবে প্রতারক
চক্র এবং আপনাকে ফাঁসিয়ে টাকা ইনকামের ধান্দা করছে।
কারণ আধুনিক বিজ্ঞানের মতে তারা এখন পর্যন্ত কোন টেকনোলজি আবিষ্কার করতে পারেনি
যেটা মানুষকে এই সুবিধা প্রদান করবে। তাই এ ধরনের কথাই আপনি কখনোই বিশ্বাস করবেন
না। তবে আপনার যদি পরিমিত পরিমানে ঘুম না হয় সেক্ষেত্রে নিজের কয়েকটি পদ্ধতি
অবলম্বন করতে পারেন যার ফলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুমাতে পারবেন।
পরিবেশ
ঘুমানোর জন্য আসলে একটি নির্মল এবং স্তব্ধ পরিবেশের প্রয়োজন। আপনি যদি
কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে ঘুমানোর চেষ্টা করেন তাহলে আপনার কখনোই ঘুম আসবে না। তাই
আপনি যে স্থানে ঘুমাবেন ওই স্থানটি যাতে অন্ধকার হয়, বাইরের হাওয়া বাতাস আসা
যাবার ব্যবস্থা থাকে এবং সেখানে যেন হইচই না হয়।
বেড
আপনার ঘুমানোর বিছানা অবশ্যই নরম এবং আরামদায়ক হতে হবে। আপনি যেখানে ঘুমাবেন সেই
বিছানাটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে শক্ত
বালিশ ব্যবহারের কারণে ঘুমের সমস্যা হয় তাই বালিশ হতে হবে নরম।
খাবার
ঘুমানোর পূর্বে কখনোই ভারী খাবার এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমনঃ চা ও কফি পান করা
যাবে না। এগুলোর পরিবর্তে আপনি গরম দুধ, মধু ও খেজুর খেতে পারেন।
মেডিটেশন
ঘুম আসতে মেডিটেশন ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে একটি সমান জায়গায় বসে
জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে হবে এবং ত্যাগ করতে হবে। এরকম করলে মস্তিষ্কে একটি
সিগন্যাল যায় যেটি তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করে।
গোসল
আপনার যদি কোন কারণে ঘুম না আসে সেক্ষেত্রে ফ্রেশ হওয়ার জন্য একবার গোসল করে
নিতে পারেন।
ইলেকট্রিক ডিভাইস
ঘুমানোর পূর্বে কখনোই মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা টিভি দেখা উচিত নয়।
আপনি যদি এই অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আপনার মনের মধ্যে থাকা উদ্ভট
প্রশ্ন অর্থাৎ না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো এবং মানুষের জন্য ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এই সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো জানতে আর্টিকেলটি
শেষ পর্যন্ত পড়তে ভুলবেন না।
ঘুম না আসলে কি করতে হবে
বিভিন্ন কারণে ঘুম নাও আসতে পারে তাই আগে দেখুন যে আসলে কি কারনে আপনার ঘুম আসছে
না ওই কারণটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পান
তাহলে ওই কারণটি সলভ করার চেষ্টা করুন। ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে বিছানার নোংরা
থাকলে আবার ঘুম আসে না। ঠিক তেমনিভাবে আপনার যদি কোন ব্যক্তিগত কারণ থাকে যে
কারণে আপনার ঘুম আসছে না তাহলে সেটির সমাধান করার চেষ্টা করুন।
আর আপনি যদি কোন কারণ খুঁজে না পান তাহলে টয়লেটে গিয়ে একবার প্রসাব পায়খানা
করে আসুন। এর পরে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খাবেন এরপরে বাইরে গিয়ে কিংবা ছাদে গিয়ে
একটু হাটাহাটি করবেন। হঠাৎ খোলা পরিবেশে ১০ থেকে ২০ মিনিট থাকার পরেই আপনার ঘুমের
ভাব দেখা দিবে, তবে এই সময় কোন ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস দেখবেন না।
আবার অনেক সময় দেখা যাই যদি আপনি গোসল না করেন সেক্ষেত্রেও কিন্তু ঘুম না আসতে
পারে। তাই প্রয়োজন হলে একবার গোসল করে নেবেন তাহলে দেখবেন ফ্রেশ লাগছে এবং ঘুম
চাপাচ্ছে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কি ঘুম কম হয়
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে যার ফলে
পরোক্ষভাবে এটি ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। ভিটামিন নিয়ে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও
ফসফরাসের ঘাটতি পূরণ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হরমোন নিঃসরণ
নিয়ন্ত্রণ করে ইত্যাদি। ঘুম হয় মূলত মেলাটোনিন নামক হরমোন নিঃসরণের কারণে, আর
এই হরমোনটি উৎপাদনের সাথে ভিটামিন ডি এর প্রভাব রয়েছে। তাই আপনার শরীরে যদি
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে ঘুমের সময় কমে আসতে পারে এবং অনিদ্রা দেখা
দিতে পারে।
ব্যক্তিগত মতামত
আপনাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনার
মনের মধ্যে থাকা সেই প্রশ্নটি অর্থাৎ না ঘুমিয়ে কিভাবে ঘুমাবো এই সম্পর্কে সকল
তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। যদি এই সম্পর্কে আপনার কোন ব্যক্তিগত মতামত
থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
FAQ - সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১০ সেকেন্ডের নিচে ঘুমানোর উপায়
ঘুম একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, ঘুমানোর জন্য আমাদের মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের হরমোন
নিঃসরণ হতে হয়। আর এটি হতে বিভিন্ন সময় আলাদা আলাদা সময় লাগতে পারে। তবে ১০
সেকেন্ডের মধ্যে কখনোই একদম ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব নয় যদি আপনি কোন ধরনের ঔষধ
ব্যবহার না করেন।
না ঘুমালে কি মানুষ মারা যায়
হ্যাঁ অবশ্যই, ১১ দিন না ঘুমালে মানুষ মারা যাবে।
24 ঘন্টা না ঘুমানোর উপায়
আপনি যদি ২৪ ঘন্টা না ঘুমাতে চান সেক্ষেত্রে ক্যাফেইনযুক্ত খাবার চা অথবা কফি
বেশি পরিমাণে পান করবেন এবং যেখানে মানুষের কথাবার্তা বেশি হয় ঐরকম স্থানে থাকার
চেষ্টা করবেন। তাহলেই ২৪ ঘন্টা না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতে পারবেন।
কি খেলে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে
বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে যেমনঃ কলা, মধু, ওটস,
বাদাম, চেরি ফল ইত্যাদি।
চা খেলে কি ঘুম কম হয়
তা যেহেতু একটি ক্যাফেইনযুক্ত খাবার তাই চা খেলে ঘুম কম হয়।
৪ ঘন্টা ঘুম কি যথেষ্ট
৪ ঘণ্টা ঘুম কখনোই একটা সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষের জন্য যথেষ্ট হতে পারে না। বয়স
অনুসারে আমাদের কমপক্ষে প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url