কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ
এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে আপনাকে যদি
কেউ বলে যে কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ
তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় লিখতে পারবেন। বিশেষ করে পরীক্ষার প্রশ্ন হিসাবে আসে
কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ? তখন অনেক
শিক্ষার্থী কিন্তু এ বিষয়টি বুঝতে পারে না।
তো যারা এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন এবং পরীক্ষায় এই বিষয়টি লিখে ভালো
নাম্বার পেতে চাচ্ছেন তারা আমাদের আর্টিকেলের হেডিং অংশ কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে
ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ এই অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। চলুন
বাটি কথা না বলে মূল আলোচ্য বিষয় কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের
ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ জেনে নেওয়া যাক।
ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক ব্যাখ্যা
আমার অনেক শিক্ষার্থীরা বন্ধু রয়েছে যারা এ বিষয়টি বুঝতে পারে না। ডাটাটা
ট্রান্সমিশন বোঝে কিন্তু এই ডেটা ট্রান্সমিশনের মধ্যে সিনক্রোনাস এর কাজ কিংবা এই
বিষয়টি বোঝানো হচ্ছে অনেকেই বুঝতে পারে না। ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস বলতে
মূলত একটি পদ্ধতিকে বোঝানো হয়েছে, যে পদ্ধতির মাধ্যমে ডেটা টাইমিং নিয়ন্ত্রণ
করে পাঠানো হয় এবং গ্রহণ করা হয়।
এটি অবশ্য সবসময় ব্যবহার করা হয় না। যখন অনেকগুলো ডেটা অল্প সময়ের মধ্যে
নির্দিষ্ট স্থানে পাঠানোর প্রয়োজন হয় তখনই শুধুমাত্র ডেটা ট্রান্সমিশনে
সিনক্রোনাস পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে যেমনঃ ডেটা উচ্চ
গতিতে পাঠানো যায়, সঠিক সময়ে পাঠানো যায়, বেশি ডেটা গুলো ব্লক সিস্টেমে
নিয়ন্ত্রণে প্রেরণ করা যায়। এর বাস্তব উদাহরণ হল লাইভ খেলা, ভিডিও স্ট্রিমিং
ইত্যাদি।
স্বল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব ব্যাখ্যা কর
স্বল্প দূরত্বে আপনি অবশ্যই বিনা খরচে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এই কাজটি
করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে আপনি যেকোনটি ব্যবহার করে করতে পারবেন। তবে
এগুলোর মধ্যে যেসব পদ্ধতি রয়েছে কোনটি দূরত্ব কাজ করে আবার কোনটি ধীরে কাজ করে।
তো চলুন প্রথমে নাম অনুসারে এর বৈশিষ্ট্যগুলো জেনে নেওয়া যায়। এছাড়া আপনারা
নিচের অংশের দিকে কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথ
বুঝিয়ে লেখ বিষয়টি জানতে পারলে আরো বুঝতে পারবেন।
ব্লুটুথ
আমরা সেই ছোটবেলা থেকেই ব্লুটুথ এর ব্যবহার করে আসছি। মূলত বাটন মোবাইল থেকে অন্য
বাটন মোবাইলে ডেটা ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে আগে এগুলো সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হতো।
আগের যেসব ভিডিও বাটন মোবাইল ছিল সেগুলোতে মূলত ব্লুটুথ সিস্টেম ব্যবহৃত হতো।
কিন্তু যেগুলো অডিও মোবাইল ছিল সেগুলোতে অধিকাংশ থাকত না।
তবে বর্তমানে এর ব্যবহার করা হয় না বললেই চলে। কারণ বর্তমান স্মার্টফোনের যুগ
স্মার্টফোনে ব্লুটুথ থেকে আরও শক্তিশালী ডেটা স্থানান্তরের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে
ব্লুটুথ এর মাধ্যমে আপনি বিনা খরচে মোটামুটি অল্প দূরত্বের মধ্যে একটু সময়
সাপেক্ষভাবে ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
Shareit
আগে যেরকম বাটন মোবাইলে ব্লুটুথ এর ব্যবহার সব থেকে বেশি ছিল কিন্তু বর্তমান
যুগে স্মার্টফোনগুলোতে এই Shareit ব্যবহার করা হয়। এক কথায় বলতে গেলে এটি হল
ব্লুটুথ এর আপডেট ভার্সন। এর মাধ্যমে আপনি বড় পরিমানের ডেটাও খুব অল্প সময়ের
মধ্যে ট্রান্সফার করতে পারবেন কোন প্রকার খরচ ছাড়াই। তবে এজন্য আপনাকে অবশ্যই
আপনার ডিভাইসে Shareit এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করতে হবে।
USB
এটি হলো এক ধরনের পোর্ট, যেটি মূলত কেবলের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। আপনি যদি অনেক
পরিমাণ ডাটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ট্রান্সফার
করতে চান তাহলে বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতিটি হল ইউ এস বি
ব্যবহার করা। আপনি চাইলে কিন্তু এটি ব্যবহার করে বিনা খরচে খুব অল্প সময়ের
মধ্যে অনেক পরিমাণ ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ
কিবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডাটা ট্রান্সফার বলতে বোঝানো হচ্ছে যে কিবোর্ড এর key
প্রেস করলে সেই কমান্ড কম্পিউটারের স্ক্রিনে প্রদর্শন করা এইটুকু তো আপনারা
বুঝতে পারছেন। এখন বিষয় হচ্ছে ব্যান্ডউইথ, এই ব্যান্ডউইথ হলো এমন একটি সিস্টেম
যার মাধ্যমে ডেটা সঞ্চিত রাখা হয় এবং সার্ভারের মাধ্যমে ভিজিটরকে দেখানো হয়।
যেহেতু এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার পরীক্ষায় যদি প্রশ্ন আসে কীবোর্ড থেকে
কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ তাহলে লিখতে পারবেন তাই
এই অংশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করছি আপনি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত
পড়বেন এবং পরীক্ষায় এ সম্পর্কে একটি ভালো উত্তর লিখে ভালো ফলাফল করবেন।
এখন কথা হল, যেহেতু কি বোর্ডের key প্রেস করলে একটি অক্ষর করে কমান্ড যাই
সেক্ষেত্রে ডেটা স্থানান্তরের জন্য খুব সামান্য পরিমাণের ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন
হবে। আর কি বোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথকে bps, kbps ও
mbps এর মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। আপনি যদি একটি উন্নত মানের কিবোর্ড
যেমনঃমেকানিক্যাল কীবোর্ড, অ্যাপল কীবোর্ড ইত্যাদি যদি সর্বোচ্চ স্পিডে ব্যবহার
করেন সেক্ষেত্রে ব্যান্ডউইথ খরচ হয় মাত্র ৮০ bps।
আর আপনি যদি ইউএসবি এর মাধ্যমে বর্তমানে ব্লুটুথ কিবোর্ড গুলো ব্যবহার করেন
সেক্ষেত্রে ব্যান্ডউইথের পরিমাণ আরেকটু বেশি হতে পারে। তো আশা করি আপনারা বুঝতে
পেরেছেন এই সম্পর্কে এবং পরীক্ষায় যদি প্রশ্ন আসে কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে
ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ? তাহলে লিখতে পারবেন।
নিরাপদ ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড কম্পিউটিং উত্তম ব্যাখ্যা কর
নিরাপদ ডাটা সংরক্ষণের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় এবং
অধিকাংশ মানুষই তাদের ডেটা নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার
করছে। এটি ব্যবহার করার মূল যে কারণ সেটি হচ্ছে ক্লাউড সার্ভিস যারা প্রদান করে
তারা End-to-end encryption ব্যবহার করে যার ফলে তৃতীয় পক্ষ যদি এটির মধ্যে
হস্তান্তর করতে চায় তাহলে তারা করতে পারে না। যার ফলে ডেটা সর্বদা সংরক্ষিত
এবং নিরাপদে থাকে।
দ্বিতীয় যে কারণটি সেটা হচ্ছে ডেটা ব্যাকআপ এবং পুনরুদ্ধার। মনে করুন কোন
কারণে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ডিলিট হয়ে গিয়েছে কিংবা হারিয়ে গিয়েছে।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি ক্লাউড কম্পিউটিং এ আপনার সার্ভার যুক্ত করে রাখেন সে
ক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করে আপনি ক্লাউড কম্পিউটিং থেকে আপনার
ডেটা ব্যাকআপ নিতে পারবেন এবং সেগুলো পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে যেমনঃ google ড্রাইভ, আই ক্লাউড,
microsoft one drive ইত্যাদি। আমি ব্যক্তিগতভাবে গুগল ড্রাইভ সব থেকে বেশি
ব্যবহার করে থাকি। যেহেতু গুগল সব থেকে বেশি জনপ্রিয় এবং নিরাপদ তাই আমি
গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করে থাকি। আবার এখানে ফ্রিতে ১৬
জিবির মতো স্টোরেজ পাওয়া যায়, তবে আপনার প্রয়োজন হলে স্টোরেজ ক্রয় করে
ব্যবহার করতে পারবেন মাসিক বা বাৎসরিক চুক্তিতে।
ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর
ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো তিন প্রকার, যথাঃ সিম্প্লেক্স, হাফ ডুপ্লেক্স এবং ফুল
ডুপ্লেক্স। সিম্প্লেক্স মুড হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে শুধুমাত্র আপনি এটি
দিয়ে একমুখী ডেটা আপ্রবাহ করতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় টিভি, রেডিও
ইত্যাদি। হাফ ডুপ্লেক্স হলো আপনি এটির মাধ্যমে একটি সময়ে ডেটা প্রেরণ করতে
পারবেন আবার আরেকটি সময় ডেটা গ্রহণ করতে পারবেন।
কিন্তু আপনি যদি মনে করেন একই সময় আমি ডেটা গ্রহণ করব এবং একই সময় ডেটা
প্রেরণ করব তাহলে সম্ভব নয়। আপনি এটি করতে পারবেন ফুল ডুপ্লেক্স মোডে। ফুল
ডুপ্লেক্স মনের মাধ্যমে আপনি একই সময়ে ডেটা গ্রহণ করতে পারবেন এবং ডাটা প্রেরণ
করতে পারবেন। যার উদাহরণ হল টেলিফোন।
আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তর ব্যাখ্যা কর
আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তর বলতে মূলত অপটিক্যাল ফাইবার এবং স্যাটেলাইট এর
মাধ্যমেই ডেটা স্থানান্তরকে বোঝানো হয়েছে। অপটিক্যাল ফাইবার আলোর গতিতে
স্থানান্তর করতে সম্ভব। বর্তমান যুগে এর সব থেকে বেশি ব্যবহার হল বিভিন্ন কেবল
সিস্টেমে। আমরা যে ওয়াইফাই ব্যবহার করি সেটার পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরের জন্য
অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করা হয়েছে।
শেষ কথা
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের
ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ এই বিষয়টি সহ অন্যান্য কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এগুলো আপনাকে অবশ্যই উপকৃত করবে এবং একটি ভালো
রেজাল্ট এনে দেবে। অন্যান্য কোন তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কমেন্ট করে
জানাতে ভুলবেন না।
আমরা চাই দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষদের ভালো রকমের শিক্ষাগত মান উন্নত করতে
এবং দেশের প্রতিটি প্রান্তের শিক্ষার্থীদের আধুনিকতার ছোঁয়ার মাধ্যমে শিক্ষিত
করে তুলতে। আপনি যদি আমাদের সাথে একমত হন তাহলে অন্যদের সাথে এটি অবশ্যই শেয়ার
করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url