চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, যেভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে নাকো
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল্য আলোচ্য বিষয় হচ্ছে চিড়া খেলে কি
কোষ্ঠকাঠিন্য হয় নাকি সেই সম্পর্কে অর্থাৎ আপনি যদি চিড়া খান তাহলে আপনার
কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা হবে কিনা তা জানতে পারবেন। তাই চিড়া যদি আপনার
পছন্দের খাবার হয়ে থাকে কিংবা আপনি যদি প্রতিদিন তাই চিড়া খেয়ে থাকেন তাহলে
অবশ্যই জেনে নিবেন চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় নাকি।
যেহেতু এটি একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল এবং স্বাস্থ্য রিলেটেড বিষয় নিয়ে
আজকে কথাবার্তা বলা হবে তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
আপনি যদি ভুল বুঝেন কিংবা তাড়াহুড়া করে পরে ভুল তথ্য জানেন তাহলে কর্তৃপক্ষ
কখনোই দায়ী থাকবে নয়। তাই অবশ্যই ধীরে সুস্থ করার চেষ্টা করবেন এবং জেনে নিবেন
চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় কিনা?
চিড়া খেলে কি মোটা হয়
যে কোন খাবার খেলে আপনি চিকেন হবেন নাকি মোটা হবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে
ওই খাবারের উপাদানের উপরে। অর্থাৎ উপাদানের মধ্যে যদি মোটা হওয়ার মত প্রয়োজনীয়
উপাদান থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই মোটা হয়ে যাবেন কিংবা আপনার স্বাস্থ্যের ওজন
বেড়ে যাবে। আর ওইসব খাবারের মধ্যে যদি ওই রকমের কোন খাদ্য উপাদান না থাকে তাহলে
আপনি ওইসব খাবার খেলে কখনোই মোটা হতে পারবেন না।
তাই চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কোন ধরনের খাবার খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায়।
মানুষের মোট হওয়ার কারণ হচ্ছে অর্থাৎ মানে খাদ্যের কারণে যদি মোটা হয় তাহলে ঐসব
খাদ্যের মধ্যে প্রধান হল অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করা। অর্থাৎ আপনি যদি
ক্যালরিযুক্ত যে কোন খাবার অতিরিক্ত পরিমাণ খেতে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই মোটা
হয়ে যাবেন, আপনি না চাইলেও আপনার অজান্তেই মোটা হয়ে যাবেন। তবে এগুলো জনার
পাশাপাশি আরও জেনে নিবেন যে চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় নাকি, কারণ মোটা
হওয়ার সাথে এগুলো সম্পর্কিত।
এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমানে ফ্যাটি এসিড জাতীয় খাবার, চিনি, চর্বি,
এবং বিভিন্ন রিফাইন বা প্রসেস জাতীয় খাবার। বিশেষ করে বর্তমানে প্যাকেটের যেসব
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার রয়েছে সেগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত খাবার। আপনি
যদি এই ধরনের খাবার প্রতিনিয়ত খেতে থাকেন তাহলে মোটা হয়ে যাবেন।
আবার অনেকে কোমল পানীয় প্রচুর পরিমাণে পান করে থাকে, কিন্তু তারা হয়তো জানে না
কোমল পানীয় গুলো খাওয়া মোটা হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে থাকে। দ্বিতীয়
নাম্বারে রয়েছে তেলে ভাজা খাবার। এই ধরনের খাবার গুলো অত্যন্ত লোভনীয় খাবার।
বিশেষ করে আমাদের বাজার ঘাটে কিন্তু পেঁয়াজি, বেগুনি, ডালপুরি, পকেট পরোটা,
আলুরদম, সিঙ্গারা, মংলাই, সমুচা, বার্গার, ফিশ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি জাতীয়
খাবার খুব বেশি পরিমাণে দেখা যায়।
অধিকাংশ মানুষই কিন্তু এ ধরনের খাবার গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু এই ধরনের খাবারে
যেসব উপাদান থাকে ওইসব উপাদান আমাদের শরীরকে অত্যাধিক পরিমাণে মোটা করে ফেলে। এক
কথায় বলতে গেলে যত ধরনের ফাস্টফুড রয়েছে সেগুলো প্রত্যেককে আমাদের শরীরকে
চর্বিযুক্ত করে ফেলে। যার ফলে ধীরে ধীরে আমাদের ওজন বাড়তে থাকে।
ইতিমধ্যে আপনি জেনে ফেলেছেন যে কোন ধরনের খাবারের কারণে আমাদের শরীরের ওজন বেড়ে
যায়। এখন আপনি জানবেন যে আসলে চিড়া কোন ধরনের খাবার এর অন্তর্ভুক্ত? প্রথম থেকে
আপনি যদি জানতে চান তাহলে চিড়া হল কার্বোহাইড্রেট, প্রক্রিয়াজাত শস্য, কম
চর্বিযুক্ত এবং স্বল্প ক্যালোরিযুক্ত খাবারের অন্তর্ভুক্ত।
অর্থাৎ এতে ক্যালরি থাকলেও তা খুব সীমিত পরিবারের তাই আপনি যতই চিড়া খাবেন তাতে
আপনি কখনোই মোটা হবেন না। আশা করি জানতে পেরেছেন চিড়া খেলে কি মোটা হয় নাকি এই
সম্পর্কে। এছাড়া চিড়া সম্পর্ক অন্যান্য তথ্য জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
চিড়া খেলে কি ওজন বাড়ে
যত উপরের অংশে অর্থাৎ চিড়া খেলে কি মোটা হয় এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে তাই আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে চিড়া খেলে ওজন বাড়ে না।
চিড়া খেলে কি ওজন কমে
যেহেতু চিড়াই খুব সামান্য পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি রয়েছে আবার
অন্যদিকে পুষ্টিগুণ হিসাবে আইরন ও ফাইবার রয়েছে তার চিকিৎসা বিজ্ঞানের মধ্যে
আপনি যদি চিড়া এবং মুড়ি একসাথে খান তাহলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে
যাবে। অর্থাৎ সোজা কথাই বলতে গেলে চিড়া খেলে ওজন কমে যাবে।
চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
আপনি ইতিমধ্যে আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ চিড়া খেলে কি
কোষ্ঠকাঠিন্য হয় নাকি সেই অংশে প্রবেশ করেছেন। যেহেতু এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে
চাইছে তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এর চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে যে
সকল বিষয়ের উপরে কোষ্ঠকাঠিন্য নির্ভর করে থাকে সেই সকল বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা
দেওয়া হবে।
প্রথমে দেখতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় মূলত কোন জাতীয় খাবারের কারণে অর্থাৎ কি
ধরনের উপাদানের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। আর ওইসব উপাদান যদি চিড়ার
মধ্যে থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিড়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। তাই চলুন দেখে নেওয়া
যাক কি ধরনের খাবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা হয়।
সাধারণত এটি হয় ফাইবার বা আশযুক্ত খাবার খেলে, কম পরিমাণ পানি পান করলে এবং
পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার কারণে। আপনি যদি কম পরিমাণ পানি পান করেন তাহলে
পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন না যার ফলে পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। আর এই
ধরনের খাবারের তালিকায় রয়েছে লুচি, পরোটা, পাউরুটি, মুড়ি, চিড়ি, কেক, বিস্কিট,
চানাচুর, বার্গার, নুড়ুলস, কুকিজ, মাখন ক্রিম, ডিম, মাংস, দুধ, ভাজা খাবার, চা,
কফি, পনির, স্ন্যাকস, অ্যালকহল ইত্যাদি।
একদিকে কিন্তু আপনারা দেখতে পেরেছেন যে যদি সব খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় ওইসব
খাবারের তালিকায় চিড়া রয়েছে। এবার উপাদানগতভাবে যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে আরো
শিওর হয়ে যাব যে আসলে চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় কিনা।
চিড়া যে ধরনের খাবার তা নিম্নরূপঃ
- প্রক্রিয়াজাত শস্য জাতীয় খাবার
- কম চর্বিযুক্ত খাবার
- কম ক্যালরিযুক্ত খাবার
- শুকনা জাতীয় খাবার
- পানি মুক্ত খাবার
- কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার
আর আপনারা হয়তো উপরের অংশ থেকে জেনেছেন যে এসব খাবার মূলত শুকনা, পানি মুক্ত, কম
ক্যালরিযুক্ত এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ সেসব খাবারগুলোর কারণে মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য
হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি প্রতিনিয়ত চিড়া খেতে থাকেন তাহলে ১০০% শিওর থাকেন যে
আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হবেই হবে। তবে আপনি যদি মাঝেমধ্যে কিংবা অল্প পরিমাণে খান
তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না।
তবে আপনার প্রতিদিনের রুটিনে যদি চিড়া থেকে থাকে তাহলে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন
করতে পারেন যার ফলে আপনি প্রতিদিন চিড়া খেলো আপনার কোন প্রকার কোষ্ঠকাঠিন্য হবে
না। আপনি যখন চিড়া খাবেন তার সাথে কিছু শসা এবং গাজর মিশিয়ে নিবেন। আর খাওয়া
শেষ হয়ে গেলে দুই থেকে তিন গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন।
এর পাশাপাশি প্রতিদিন কিছু শারীরিক ব্যয়াম করবেন। এছাড়া রাতে ইসবগুলের ভুষি
ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন। আপনি যদি এগুলো অনুসরণ করেন এবং চিড়া প্রতিদিন
খান তাহলেও আপনার আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিবে না। তাই ভয়ে থাকার আর
দরকার নেই আপনি আপনার পছন্দের খাবার হিসেবে চিড়া খেতে পারবেন তবে উপরোক্ত নিয়ম
অনুসরণ করে। আশা করি জানতে পেরেছে যে চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় কিনা।
চিড়া খেলে কি গ্যাস হয়
চিড়া খেলে গ্যাস হবে নাকি সেটি ব্যক্তি ভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যেহেতু
প্রত্যেক ব্যক্তির খাবার তালিকা আলাদা আলাদা হয় তাই অন্যান্য খাবারের কারণেও
গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার আপনার যদি আলাদাভাবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
থেকে থাকে তাহলে চিড়া খেলে সেটার প্রবণতা আরও বেশি হতে পারে।
তবে আপনি যদি পরিমিত পরিবারে এবং চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় নাকি এই অংশের
মধ্যে এসব নিয়ম কানুন উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন তাহলে আপনার
কখনই চিড়া খেলে গ্যাস হবে না। অনেকে চিড়া সাথে অতিরিক্ত পরিমানে তেল এবং মশলা
মিশিয়ে খায় যার ফলে কিন্তু গ্যাস হতে পারে।
চিড়া খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের কিন্তু যে কোন খাবার খাওয়ার পূর্বে কয়েকবার
চিন্তা করতে হয় কারণ তাদের খাবারের সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। এমন অনেক খাবার
রয়েছে যেগুলো খেলে তৎক্ষণাৎ ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। তবে চিড়ার সাথে
ডায়াবেটিস এর কোন সম্পর্ক নাই তাই আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে নিশ্চিন্তে
চিড়া খেতে পারেন এতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।
দই চিড়া খেলে কি ওজন বাড়ে
সাধারণভাবে পৃথকভাবে যদি চিন্তা করা যায় তাহলে কিন্তু দই খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়
কারণে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। তাই আপনি যদি চিড়ার সাথে দই মিশিয়ে খান
তাহলে কিন্তু ওজন বাড়ার একতা সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সব থেকে ভালো হয় যে দই চিড়া
না খাওয়া বা খেলেও সেটা সীমিত পরিমানে।
চিড়া খেলে কি ফ্যাট বাড়ে
চিড়া খেলে আপনার ফ্যাট বাড়বে কিনা সেটি বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে
থাকে। সাধারণত চিড়া খেলে ফ্যাট বাড়ে না কারণ চিড়াতে খুব কম পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে।
তবে আপনি যদি এর সাথে ঘি, মশলা, চানাচুর এবং অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার খান
সেক্ষেত্রে ফ্যাট বেড়ে যেতে পারে। এবার আপনি যদি খালি খালি চিড়া অতিরিক্ত
পরিমাণে খান এবং কোন প্রকার শারীরিক পরিশ্রম না করেন তা হলেও কিন্তু ফ্যাট বেড়ে
যেতে পারে।
চিড়া খেলে কি মোটা হওয়া যায়
হ্যাঁ, চিনা এবং সাথে আরো কিছু খাবার মিশিয়ে খেলে আপনি কিন্তু মোটা হতে পারবেন।
তবে এই কাজটি করার পূর্বে উপরে আলোচিত চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় নাকি এই
অংশটুকু আরো একবার ভালোভাবে পড়ে নেবেন। কারণ চিড়া খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের দেখা
দেয়।
প্রতিদিন চিড়া খেলে কি হয়
পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিন চিড়া খাওয়া কিন্তু আমাদের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনতে
পারে। কারণ যেটার মধ্যে রয়েছে ফাইবার, বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, শর্করা,
কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে
এটি কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না, এবং এর সাথে কিছু সবজি মিশিয়ে খেতে
হবে।
গর্ভাবস্থায় চিড়া খেলে কি হয়
নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টির চাহিদা জোগানোর জন্য গর্ভাবস্থায় চিড়া খাওয়া যাবে। তবে
ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন অর্থাৎ ডাক্তারের থেকে
অনুমতি নিবেন।
ব্যক্তিগত মতামতঃ চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে চিড়া খেলে কি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় নাকি এবং এ বিষয়ে
বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অবশ্যই
উপকৃত হয়েছেন। চিড়া খাওয়া সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url