siam kelabela s8 বাইকের দাম বাংলাদেশে ২০২৬ আনুমানিক
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন তাহলে siam kelabela s8 বাইকের সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আপনি যদি ভবিষ্যতের এই গাড়ি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান এবং আপনি গাড়ি সম্পর্কে একজন আগ্রহী ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য হতে পারে একটি শ্রেষ্ঠ আর্টিকেল।
যেহেতু এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলা হবে তাই আপনার উচিত কোন প্রকার তাড়াহুড়া না করে ঠান্ডা মাথায় আর্টিকেলটি পড়া। আর আপনি যদি এই বাইকটি বাংলাদেশ থেকে কিনতে চান তাহলে তো অবশ্যই আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যেহেতু মার্কেটে এরকম চ্যালেঞ্জিং অনেক বাইক রয়েছে তাই আপনি কোন ব্যক্তি কিনবেন সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
siam kelabela s8 সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
যেহেতু এটি বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে এবং আনুমানিক ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মার্কেটে এই বাইকটি দেখা যাবে তাই আশা করা যাচ্ছে। তবে বাজারে লঞ্চ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই ১০০ পার্সেন্ট সিওর এটি বলা যাচ্ছে না। যেহেতু বাংলাদেশের তৈরি হচ্ছে তাই সকল প্রকার পণ্য এবং যন্ত্রাংশ বাংলাদেশ থেকেই উৎপাদন করা হচ্ছে।
siam kelabela s8 বাইকের ডিজাইন
এই বাইকের ডিজাইন এর কথা বলতে গেলে প্রথমে যে বিষয়টির দিকে সব থেকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছে সেটা হলো এরোডাইনামিক। কারণ এই ক্যাটাগরির বাইকগুলো যদি এরোডাইনামিক না হয় তাহলে সেগুলো কখনোই তার টপ স্পিড এপ্সেপ্ট করতে পারবে না এবং দ্রুত স্পিড উঠাতে পারবে না।
যেহেতু এই বাইকগুলো রেসিং খেলার জন্যই প্রস্তুত করা হয় তাই এই বিষয়টি যদি মাথায় না রাখা হয় তাহলে সেটি কখনোই কম্পিটিশনে চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করতে পারবে না। আর ডিজাইনের মধ্যে এর বিভিন্ন কিট, উইংলেটস এবং অন্যান্য বডি পার্টস গুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে যেগুলো বাতাসের গতিকে প্রতিরোধ করতে পারে এবং গতি বজায় রাখতে পারে।
siam kelabela s8 বাইকের ইঞ্জিন
শুধুমাত্র রেসিং বাইক নয়, যেকোন বাইকের সব থেকে মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বাইকের ইঞ্জিন। আপনি একটি বাইকের যত ভালোই ডিজাইন করেন না কেন যদি বাইকের ইঞ্জিন ভালো না হয় তাহলে কখনোই সেটি মার্কেটে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবে না। আর যদি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে না পারে তাহলে সেই বাইক কখনোই একটি কম্পিটিটর বাইক হিসাবে পরিচিতি পাবেনা।
তাই এই বাইকের ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৪-স্ট্রোক, air-cooled ইঞ্জিন, যার টর্ক হবে ১৯৯ নিউটন মিটার। যদি আপনি বায়ুর সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণা রাখেন তাহলে বুঝতে পারছেন যে যে বাইকের টর্ক ১৯৯ হবে সেটি কত কম সময়ের মধ্যে স্পিড অর্জন করতে পারবে। আর এটার rpm হবে ১৫০০০।
siam kelabela s8 বাইকের পারফরমেন্স
এর পারফরম্যান্স হবে অত্যধিক এবং আরামদায়ক রাইডিং এর জন্য শ্রেষ্ঠ। বাংলাদেশে এই পর্যন্ত যত রকম এবং যত কোম্পানির বাইক রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবথেকে আরামদায়ক এবং পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবে siam kelabela s8 বাইকটি। যারা এই বাইকটি তৈরি করেছে তাদের মতামত অনুসারে এটি খুব কম নষ্ট হবে এবং চালকদের সন্তুষ্ট রাখার জন্য যথেষ্ট হবে।
আর সবথেকে ভালো বোঝা যাবে এই বাইকটি যখন বাজারে লঞ্চ হবে এবং আমরা নিজে চালাবো তখন আসলে এর আসল পারফরমেন্স বোঝা যাবে। তবে যে বাইকের ডিজাইন এত সুন্দর এবং এত শক্তিশালী ইঞ্জিন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে তাই আশা করা যাচ্ছে বাইকের পারফমেন্স তুলনামূলকভাবে ভালোই হবে।
siam kelabela s8 বাইকের রাইডিং মোড
বর্তমানে যেসব জনপ্রিয় বাইক রয়েছে সেগুলোতে রাইডিং মোড দেওয়া রয়েছে, যার ফলে চাহিদা অনুসারে রাইডাররা তাদের বাইকের রাইডিং মোড চেঞ্জ করে রাইড করতে পারে। এর মোড গুলোর মধ্যে রয়েছে racing mode, traction controls mode, normal mode, hill climb mode ইত্যাদি। যারা মনে করে তাকে রেসিং বাইকগুলো শুধুমাত্র রেসিং করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে তাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করার জন্য এই বাইকে আধুনিক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
রেসিং বাইক গুলো মোটামুটি একই ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে এবং সেগুলোকে একটি নির্দিষ্ট কনফিগারেশনে তৈরি করা হয়, যার ফলে সেগুলো যদি আমাদের সাধারণ জীবনে ব্যবহার করার জন্য আমরা ব্যবহার করি সেক্ষেত্রে খরচ বেশি বহন করতে হয়। কিন্তু এই বাইকে যেহেতু মোড দেওয়া রয়েছে সেহেতু আপনি চাইলে মোড ব্যবহার করে নিজের ইচ্ছে মত ব্যবহার করতে পারবেন।
siam kelabela s8 বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম
এতে ব্যবহার করা হয়েছে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং অত্যাধুনিক ব্রেকিং সিস্টেম যাতে আপনি যত জোরে ব্রেক করেন না কেন ব্রেকিং প্যাড তার নিজের মত সিস্টেম কাজে লাগিয়ে প্রয়োজন অনুসারে ব্রেক কাজে লাগাবে। অর্থাৎ আপনি যত জোরে ব্রেক চাপেন না কেন কখনো আপনি বাহির থেকে পড়ে যাবেন না কিংবা ব্রেক জাম হয়ে যাবে না।
অনেক সময় দেখা যায় বালুর মধ্যে কিংবা বৃষ্টি হলে রাস্তায় ব্রেকিং করলেও কিন্তু চাকা স্লিপ কাটে। যার ফলে অনেক সময় রাইডারা পড়ে যায় এবং আঘাত পায়। কিন্তু এখানে যে ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোতে আপনি কখনোই এরকম ঘটনা দেখবেন না।
siam kelabela s8 বাইকের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম
সব থেকে অবাক করা বিষয় হলো এ বাইকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে আপনি বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা পাবেন কোন বাইকে প্রয়োগ করা হয়নি। এগুলো সাধারণত মাইক্রোবাসে সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে এই যুগে কিন্তু বাইকে খুব একটা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলাতে এবং আপডেট ও ইউনিক ডিজাইন করতে এই বাইকের ব্যবহার করা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট।
siam kelabela s8 বাইকের ওজন
রেসিং বাইকে যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে সেগুলো দিয়ে কর্নারিং করা খুব একটা সহজ হয় না এবং সেগুলো কন্ট্রোল করা কঠিন হয়ে যায়। তাই এই বাইকের শুধুমাত্র ১২৫ কেজি ওজন রাখা হয়েছে যাতে এগুলো দিয়ে খুব সহজে স্পিড উঠানো যায় এবং কর্ণারিং সময় খুব ভালোভাবে কর্ণারিং করা যায়।
siam kelabela s8 বাইকের টায়ার
টায়ার সাহেব একটু মোটা রাখা হয়েছে যাতে ভালো কন্ট্রোলিং পাওয়া যায়। এজন্য এই বাইকের সামনের চাকায় ব্যবহার করা হয়েছে ১২০/৬০০ সাইজের টায়ার এবং পিছনে ব্যবহার করা হয়েছে ১৯০/৬৫০ সাইজের টায়ার। রেস খেলায় যেভাবে দেখা যায় যে বাইক নিয়ে শুয়ে পড়ছে ঠিক সেভাবে শুয়ে পড়তে হলে এই সাইজের টায়ারের দরকার।
siam kelabela s8 বাইকের মাইলেজ
যেহেতু এখানে বিভিন্ন রকমের মোড রয়েছে তাই এই বাইকটি এক লিটার পেট্রোলে কত মাইলেজ দিবে সেটা সম্পূর্ণভাবে মোড এর উপর নির্ভর করে থাকে। আপনি যদি নরমাল মনে চালান তাহলে মাইলেজ দিবে ১২ কিলোমিটার, রেসিং মোডে ৫ কিলোমিটার। যেহেতু একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে তাই মাইলেজ কম হবে এটাই স্বাভাবিক।
siam kelabela s8 বাইকের টপ স্পিড
যেহেতু উপরের অংশে এর টর্ক, ইঞ্জিন পাওয়ার এবং মাইলেজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাই আপনি বুঝতেই পারছেন এই বাইকের টপ স্পিড অনেক বেশি হবে। এই বাইকটি শুধুমাত্র ২ সেকেন্ডে ১০০ স্পিড এবং ৩০ সেকেন্ডে এর টপ স্পিড ৩০০ ওটাতে সক্ষম। তাই পৃথিবীতে যত রকমের শক্তিশালী বাইক রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম।
siam kelabela s8 বাইকের দাম
বাংলাদেশের বাজারে যেহেতু এই ধরনের কোন প্রকার বাইক পূর্বে আসেনি এবং বাংলাদেশের রোড পারমিট ৬৫০ করা হয়েছে তাই ২০২৬ সালের মধ্যে যদি রোড পারমিট ১০০০ এর উপরে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে এই বাইকটি বাংলাদেশের বাজারে খুব ভালো সোনা অর্জন করতে পারবে। ২০২৬ সালের মধ্যে যদি বাইকটি লঞ্চ হয় তাহলে এর দাম হবে ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা।
লেখকের মতামত
যেহেতু এটি ভবিষ্যতের বিষয় এবং নির্দিষ্ট তথ্যসূত্রে আমরা এ বিষয়টি জানতে পেরেছি তাই সামনে বছর যদি বাইক বাজারে লঞ্চ হয় সেক্ষেত্রে আমরা আরো উপযুক্ত ভাবে তথ্য প্রদান করতে পারবো। আশা করি বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আপনাদের কাছে এই বাইকটি ভালো লাগবে এবং দেশীয় পণ্য হিসেবে অনেকেই এই বাইকটি ক্রয় করবে। যদিও দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি, যে দাম দিয়ে প্রাইভেট কার কেন যাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url