নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে সমঝোতা ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন কোন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হয়েছিল না। কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনের তাগিতে বাংলাদেশ একটি নতুন দল পেতে যাচ্ছে। এ দলটি আগের সকল নতুন দলের থেকে আলাদা রকম কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে বলে জনগণ আশা করছি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য আপনাদের সামনে দেওয়া হবে যেগুলো আপনাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। আপনারা যেভাবে বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে গুরুত্ব প্রদান করেছেন আপনাদের বাংলাদেশের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ দল হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

অনেকেই মনে করছে যেহেতু বাংলাদেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে তাই নতুন রাজনৈতিক দল সম্পর্কে না জানলে হবে কিম্বা একে আহামরি গুরুত্ব প্রদান করার কিছু নেই। কিন্তু আপনি যদি এরকমটি মনে করে থাকেন তাহলে আপনি বড় রকমের ভুলের মধ্যে রয়েছেন।

কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো আন্দোলন এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সম্মুখীন হয়েছে ততবারই কিন্তু ছাত্ররা বাংলাদেশকে সুরক্ষিত ভাবে রাখার চেষ্টার জন্য সর্বোচ্চ করেছে। আর যেহেতু নতুন দলের পিছনে নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগ গ্রহণকারী নেতাকর্মী রয়েছে তাই এটি বাংলাদেশের অবশ্যই একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের পরিণত হবে।

এই দলের রয়েছে নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক কাঠামো। তবে এই নতুন দল সম্পর্কে বাংলাদেশের যারা উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বা উচ্চপদস্থ নেতৃবৃন্দ রয়েছে তাদের কোন বিরোধ দেখা দেয়নি। অর্থাৎ তারা কিন্তু এই নতুন দলকে খুব সহজভাবে গ্রহণ করে নেবে বলে জানিয়েছে।

তবে এই নতুন দলের আহ্বায়ক পদে রয়েছে নাহিদ ইসলাম। তবে আহবায়কের পদ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা না থাকলেও কিন্তু সদস্য সচিব পদ নিয়ে বেশ কিছু মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। তবে এই মতবিরোধের মধ্যেই কিন্তু একজনের নাম চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়েছে আর সেটি হলো আখতার হোসেন।

আর এই দলটিতে মূলত দুইটি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে যেটি সাংগঠনিক কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। আপনি বাংলাদেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলে এই পদটি না দেখলেও দেখতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসের এই নতুন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এবং সিনিয়র জন্য সদস্য সচিব দুইটি নতুন পদের সংযুক্ত করা হয়েছে।

আর এর আগে কিন্তু সারজিস আলম পদত্যাগ করেছিল কিন্তু তিনি কিন্তু আবার রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তাই এই দলের মুখ্য সংগঠক এবং মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব নিতে পারেন সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ। তারা দুজনই কিন্তু খুবই ট্যালেন্টেড এবং খুব একটিভ পারসন।

তাদের গতিবিধি এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অসাধারণ। এছাড়া তাদের দুজনের রয়েছে অস্বাভাবিক রকমের উপস্থিত বুদ্ধি যেটা তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার ধরনের দেখেই বোঝা যায়। তারা কিন্তু এই রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও কিন্তু অন্যান্য পেশার সাথে জড়িত।

যেরকম ভাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ একজন অনলাইন শিক্ষক, তিনি অনলাইনে ছাত্রদের পড়িয়ে থাকেন। আর যেহেতু তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনায় করছে তাই ধরে নেওয়া যায় তারা এই সমস্ত পদের কাজগুলো খুব ঠান্ডা মাথায় সমাধান করতে পারবেন এবং পরিবেশ পরিস্থিতি অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন।

এছাড়াও নতুন দলের কিন্তু অন্যান্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। মূলত কেন্দ্রীয় কাজগুলো এরা না করলেও অন্যান্য কাজগুলো মূলত এদের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে থাকে। তাই অন্যান্য পথ যদি ভুল মানুষের মাধ্যমে গতিশীল হয় তাহলে আবার দুর্নীতির দেখা দেবে।

এর জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতাদের সাথে বিশেষ মতবিনিময়ের ভিত্তিতে সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক পদে আলী আহসান জোনায়েদের নাম চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র জন্য আহ্বায়ক পদে দিলেই হবে না এছাড়া রয়েছে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব।

আর এই পদটি দেওয়া হতে পারে জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীকে। কারণ এই পদের জন্য মূলত তাকেই বিশেষভাবে সিলেকশন করা হয়েছে এবং যেহেতু তিনি ইতিপূর্বে একটি দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তাই দলের ভালো মন্দ মোটামুটি সম্পর্কে ধারণা রাখেন।

এছাড়া দলের কিন্তু আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে। এসব পদের মধ্যে রয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র, জু যুগ্ন আহবায়ক ও যুগ্ন সদস্য সচিব। যেহেতু দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ তাই এইসব পদের নাম ঘোষণার ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বন করেছে নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলটি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন সামান্তা শারমিন। যুগ্ন আহবায়ক পদে দায়িত্ব পালন করবেন যারা তাদের নাম হলোঃ সারওয়ার তুষার, তাসমিন জারা, আরিফুল ইসলাম আদীব। এরা কিন্তু অত্যন্ত মেধাবী এবং উপস্থিত বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি। আর কোন রাজনৈতিক দলে যদি এই ধরনের ব্যক্তি গুলোর পদচারণা থাকে তাহলে সেই দল এমনিতেই শক্তিশালী হয়ে যায়।

এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব পদে যারা রয়েছেন তারা হল অনিক রায়, মেহবুব আলম ও আমিক মৃ। যত এসব পদ মোটামুটি অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর জনগণকে সরকারের আরো নিকটে নিয়ে আসতে হলে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে খুবই সুশীল এবং বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিদের প্রয়োজন। যারা শুধুমাত্র জনগণের শুভ কামনার লক্ষ্যে কাজ করবে।

এখন আপনাদের মনে অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে যে আসলে এই নতুন রাজনৈতিক দল কবে নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে কিংবা কবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সঠিকভাবে পদচারণা করবে। তো সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় নতুন রাজনৈতিক এই দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে আগামী 26 ফেব্রুয়ারি।

তবে যেহেতু এই দলটি বাংলাদেশের সম্পূর্ণরূপে নতুন তাই এর ভবিষ্যৎ কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। এর মূল কারণ হলো ইসলামিক ছাত্র শিবিরের আওতাধীন যেসব পদ রয়েছে তারা তাদের আওতাধীন পদগুলোতে নিজেদের লোকজনদের অধিষ্ঠিত করতে চাইছে। যদিও এই সমস্যাটির সমাধান মোটামুটি শেষের দিকে তারপরেও ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ভবিষ্যতে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে এই রাজনৈতিক দলটির জন্য।

এছাড়া এ রাজনৈতিক দলটির ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে থাকতে পারে কেন্দ্রীয় আহবান হিসাবে আবু বাকের মজুমদার। সদস্য সচিব পদে থাকবেন জাহিদ আহসান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা আব্দুল কাদের ও সানজানা আফিফা আদিতি।

তবে এই রাজনৈতিক দলের যে গঠন এবং বিভিন্ন পদের প্রতি যতটুকু গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে সেই অনুসারে বিচার বিশ্লেষণ করলে বলা যায় যে এই দলটি মোটামুটি অনেক শক্তিশালী দল হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। তবে এই দলটি কতটুকু সফলতা অর্জন করবে তা সময় সাপেক্ষে দেখে নেওয়া যাবে।

আশা করি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পরে আপনি নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে সমঝোতা সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। এছাড়া আপনি যদি অন্য কোন আর্টিকেল সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের হোম পেজ ভিজিট করে ক্যাটাগরি অনুসারে দেখে নিতে পারেন। আজকে এই পর্যন্তই, দেখা হবে নতুন আর্টিকেলে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন, আর নিত্যনতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করবেন।