চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যাওয়ার নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু কিভাবে যেতে হয়। এছাড়া এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়ে যাবেন যেটি আপনাকে যাত্রাপথে অনেক সাহায্য করবে।
চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যাওয়ার নিয়ম
বাংলাদেশের বর্তমান ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম এবং কিভাবে আপনি যাত্রা পথে সচেতনতা অবলম্বন করবেন সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে। তাই আপনি যদি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো নজরে রাখতে হবে। বাড়তি কথা না বলে চলুন মূল আলোচনা বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

চামটিয়া কোথায়

চামটিয়া হল একটি গ্রাম। এটি হলো রাজশাহী বিভাগের, নাটোর জেলার অধিভুক্ত, লালপুর থানার গৌরীপুর ডাকঘরের আওতাধীন ২ নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম। এ গ্রামটি মোটামুটি অনেকেই জেনে থাকবেন কারণ এখানে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বসবাস করে থাকে। তাই আপনারা এই গ্রাম সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে নিতে পারেন।

একুরি সোনাবাজু কোথায়

এটা হল রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার কাছিকাটা থানার অন্তর্ভুক্ত। এটি বিশ্বরোড থেকে মানিকপুর দিয়ে সামান্য আসলেই পাওয়া যায়। যদিও বিশ্বরোডের থেকে মোটামুটি একটু ভিতরে হয় তারপরেও গ্রামটি অনেক সুন্দর এবং এখানে অনেক গুণি ব্যক্তির বসবাস করে। আপনারা চাইলে কিন্তু গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে এই গ্রামটি ঘুরে আসতে পারেন।

বনপাড়া দিয়ে চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি বনপাড়ার মাধ্যমে চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে চামটিয়ার দীঘা পাড়া জামে মসজিদের সামনে আসতে হবে। এখান থেকে গোপালপুরের বিভিন্ন বাড়ি পাওয়া যায় আপনি চাইলে ভ্যান কিংবা অটোরিকশার মাধ্যমে গোপালপুরে যেতে পারবেন। গোপালপুর হলো চামটিয়ার মানুষের জন্য শহরের মতো, এখানে বিভিন্ন জনের কর্মের সংস্থান হয়েছে এবং এটি বাজার।

এই গোপালপুরে কিন্তু একটি রেলওয়ে জংশন রয়েছে যেটা আজমনগর রেলওয়ে স্টেশন নামে পরিচিত। তাই এটি মোটামুটি আশপাশের মধ্যে একটি বিখ্যাত জায়গা। এদিকের মানুষ রাজশাহী ঢাকা যাওয়ার জন্য কিন্তু রেলপথ সব থেকে বেশি ব্যবহার করে থাকে কারণ এটি আমাদের হাতের নাগালে এবং কাছে যেহেতু রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে তাহলে আর কোন টেনশন থাকে না।

তো আপনি এই গোপালপুর আসার পরে রেল গেট পার হয়ে যাবেন। রেলগেট পার হওয়ার পরে দেখবেন হাতের বামে একটি মাজার মসজিদে রয়েছে। আর এই মাজার মসজিদের সামনে কিন্তু বাস থামায়, আপনি কিন্তু বাসের মাধ্যমে খুব সহজেই গোপালপুর থেকে বনপাড়া চলে যেতে পারবেন। আবার আপনি যদি মনে করেন যে বাসের মাধ্যমে যাবেন না তাহলে কিন্তু কোন উপায় রয়েছে।
এজন্য আপনাকে আবার একটু পিছিয়ে আসতে হবে এবং সেখানে দেখবেন সবুজ সিএনজি থামানো রয়েছে। আপনি সেই সিএমজির মাধ্যমে কিন্তু খুব সহজেই গোপালপুর থেকে বনপাড়া চলে যেতে পারবেন। এগুলো হলো যানবাহনের মাধ্যমে আর আপনার যদি কোন ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যেতে পারবেন কোন প্রকার গাড়ির অপেক্ষা না করে।

আপনি যদি বাসের মাধ্যমে যান তাহলে আপনাকে মোটামুটি ৪৫ মিনিটের মত অপেক্ষা করতে হবে কারণ ৪৫ মিনিটের মত বনপাড়া বসাতে সময় লাগে। আর আপনি যদি সবুজ সিএনজির মাধ্যমে জান সেক্ষেত্রে ৩০ মিনিট থেকে ৩৫ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে। আর মোটরসাইকেল নিয়ে গেলে মোটামুটি আরো কম সময় লাগে। সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে আপনি কত দ্রুততম স্পিডে যাচ্ছেন তারউপরে।

এই নির্দিষ্ট সময়ের পরে আপনাকে নামিয়ে দিবে বনপাড়া বাজারে। সেই বাজার থেকে আপনাকে আবার বাইপাসে যেতে হবে। বনপাড়া থেকে বাইপাস উত্তর দিকে, আপনি যদি ভ্যানে যান সেক্ষেত্রে ৫ টাকার মত ভাড়া দিতে পারে। আর আপনি যদি মনে করেন যে হেঁটে যাবেন তাহলে কিন্তু হেঁটেও জানতে পারেন হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

তো এভাবে আপনি বনপাড়া বাইপাসে যাওয়ার পরে সেখানে দেখবেন অনেক বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখান থেকে আপনি একটি লোকাল বাসে উঠবেন কখনোই খুব ভালো বাসে ওঠার চেষ্টা করবেন না। সবসময় চেষ্টা করবেন লোকাল বাসে ওঠার জন্য কারণ সেগুলোতে ভাড়া অনেক কম এবং যেহেতু আপনাকে খুব অল্প সময় বাসের মধ্যে থাকতে হবে তাই বেশি টাকা খরচ করে কি লাভ।

তো সেরকম ভাবে আপনি একটি লোকাল বাস দেখে নিবেন এবং সেখানে বলবেন যে আমি মানিকপুর যাব। তো এরপরে যদি বাসে মানুষভরে যায় তাহলে বাসটি রওনা দেবে এবং একটু সময় পরে আপনাকে মানিকপুর বাজারে নামিয়ে দিবে। তো এই মানিকপুর বাজারের নামার পরে আপনি দেখবেন সেখানে অনেক অটোভ্যান থেকে আছে সেখানে গিয়ে আপনি বলবেন আমি একুরি সোনাবাজু যাব।

এ কথা বললে কিন্তু তারা আপনাকে আপনার কালকে তো স্থানে নিয়ে চলে যাবে। আর আপনি যদি এই তথ্যগুলো মনে রাখতে পারেন সে ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন কারণ গুগল ম্যাপ অনুসারে আপনি খুব সহজে কিন্তু চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু চলে আসতে পারবেন।

ধানাইদহ দিয়ে চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যাওয়ার নিয়ম

ধানাইদহ দিয়ে চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যার জন্য আপনাকে একইভাবে প্রথমে গোপালপুর আসতে হবে। গোপালপুর আসার পরে আপনাকে রেলগেট পার হতে হবে এবং রেলগেট পার হওয়ার পরে হাতের ডান পাশে দেখবেন অনেকগুলো ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে। আপনি যদি শুধুমাত্র তাদের দিকে তাকান তাহলে কিন্তু আপনাকে বলবে চাঁদপুর, ধানাইদহ।

এত তারা যদি এই কথা বলে তাহলে দেখবেন যে কোন গাড়িতে মানুষ বেশি কারণ কোন গাড়িতে যদি পরিপূর্ণভাবে মানুষ না ওঠে তাহলে কিন্তু তারা কখনোই রওনা দেয় না। শুধু শুধু গাড়িতে উঠে বসে থাকার কোন মানে হয় না এজন্য যে গাড়িতে মানুষ বেশি আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন সেই গাড়িতে ওঠার জন্য তাহলে দ্রুত যেতে পারবেন।

এরপর আপনি প্রথমে তাদের জিজ্ঞেস করবেন যে ধানাইদহের ভাড়া কত টাকা? তারা যদি বলে যে ভাড়া ৪০ টাকা তাহলে তাদের গাড়িতে উঠবেন। এর থেকে যদি বেশি ভাড়া চায় তাহলে কখনোই তাদের গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করবেন না কারণ আপনাকে কিন্তু ভাড়া বেশি চায়। আর গাড়ির সামনের অংশে কথার ড্রাইভার এর পাশে বসার চেষ্টা করবেন কারণ এখানে ঝাকি একেবারেই লাগেনা।
আর যদি তারা সরাসরি ধানাইদহ না যায় তাহলে তাদের সাথে প্রথমে আপনি চাঁদপুর আসবেন। চাঁদপুর আসতে ভাড়া লাগতে পারে আপনার ৩০ টাকা। তো চাঁদপুর বাজারে নামার পরে আপনি একটু সামনের দিকে হেঁটে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে ধানাইদহের গাড়িতে উঠবেন। সেখানে আপনি ট্যাক্সি না পেলে আটোরিক্সা পেয়ে যাবেন।

তোর চাঁদপুর থেকে ধানাইদহের ভাড়া লাগতে পারে ১০ টাকা। তো ধানাইদহ আসার পরে আপনি উত্তর দিকে দুই মিনিট হাঁটবেন তাহলে কয়েন বাজার পেয়ে যাবেন। এখানে এসে বলবেন আমি নগর যাব, এখানে ভাড়া লাগবে ১৫ টাকা। এবার নগর এসে জোনাইলের গাড়িয়ে উঠবেন, ভাড়া লাগবে ১৫ টাকা। জোনাইল আসার পরে আপনাকে রাজ্জাক মৌড় আসতে, সেখান ভাড়া ৩০ টাকা।

এই রাজ্জাক মৌড় থেকে আবার একইভাবে আপনি মানিকপুর যাবেন এবং মানিকপুর থেকে একুরি সোনাবাজু যেতে পারবেন। তবে যেহেতু ধানাইদহ দিয়ে চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যার জন্য অনেক পথ অতিক্রম করতে হয় এবং বারবার গাড়ি থেকে উঠানামা করতে হয় এটা একটু বেশি ঝামেলা দায়ক।

বনপাড়া দিয়ে একুরি সোনাবাজু যাওয়া ভালো হবে নাকি ধানাইদহ দিয়ে?

আপনি যদি বিভিন্ন যানবাহনে করেন যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই বনপাড়া দিয়ে যেতে হবে। কারণ এইবার দিয়ে গেলে আপনার ভাড়া কম লাগবে, আপনার সময় কম লাগবে এবং গাড়িতে ওঠেনামা কম করা লাগবে। কিন্তু আপনি যদি মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যেতে চান এবং আপনার মোটরসাইকেলের যদি লাইসেন্স না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ধানাইদহ যেতে পারেন।

শেষ কথা

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি চামটিয়া থেকে একুরি সোনাবাজু যাওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন। যদি আপনার আশেপাশে কেউ এ সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকে তাহলে তাদেরকে কিন্তু এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিতে পারেন। কারণ এই আর্টিকেলে যেভাবে তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেই অনুসারে কিন্তু একজন ব্যক্তি খুব সহজেই একুরি সোনাবাজু যেতে পারবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪