বিদেশে বেস্ট ডিমান্ডটেবল দক্ষতা ২০২৫
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়তে পারেন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন যে প্রবাসে বেস্ট ডিমান্ডেবল দক্ষতা গুলোর মধ্যে কোন কোন কাজ রয়েছে। যারা বিদেশে পাড়ি জমাতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই এই তথ্যগুলো জেনে রাখা দরকার। আপনি যদি এইগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি কাজ পরিপূর্ণভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনাকে আর টেনশন করতে হবে না।
যেহেতু প্রত্যেক ব্যক্তিকেই কর্মের মাধ্যমে জীবন যাপন করতে হয় তাই জীবিকার তাগিদে অনেকেই কিন্তু বিদেশে পাড়ি জমিয়ে থাকে। তবে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন ক্যাটাগরির কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করে যান তাহলে সাধারণ কর্মী থেকে অবশ্যই অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর নির্দিষ্ট কোন কাজ শিখে গেলে তাদের কোন অভাব থাকে না।
বিদেশে বেস্ট ডিমান্ডটেবল দক্ষতা অনলাইনে
আমি যদি যেকোনো যুগের হিসাব করি তাহলে প্রতিটি যুগে একই মিল দেখা দেয়। অর্থাৎ আপনি যদি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম এবং আপনার সম্মান ও অন্যান্য বিষয়গুলো উপরের দিকে অবস্থান করবে। শুধুমাত্র এখনকার সময় বিবেচনা করে এ কথা বলছি না আগের যুগেও ঠিক একই রকম পরিস্থিতি ছিল। তাই আপনি যদি বর্তমান পরিস্থিতি এবং যোগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন তাহলে সব থেকে ভালো হয়।
আর যারা ইনকাম সম্পর্কে সব থেকে বেশি চিন্তিত তাদের উচিত যে বর্তমান পরিস্থিতি সাপেক্ষে তাল মিলিয়ে বর্তমানের কাজগুলো শিখে নেওয়া। আর বর্তমানের কাজগুলো আপনি তখনই শিখতে পারবেন যখন বর্তমানে সাথে ভবিষ্যতের কি হতে পারে তার একটি আনুমানিক ধারণা রাখতে পারবেন। ভবিষ্যতে কি হবে সেই ধারণা থেকে যদি বর্তমানে সেই কাজগুলো শিখে রাখেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার আর কোন প্রকার সমস্যা হবে না।
পৃথিবী থেকে এমন অনেক কাজ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে যেগুলো আগে অনেক পপুলার এবং জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক ডিজিটালাইজেশন এর কারণে আগের চাকরিগুলো যুগের সাথে তাল মিলাতে না পেরে হারিয়ে গিয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি বর্তমানে যে কাজটি শিখছেন কিংবা যে দক্ষতা অর্জন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন অবশ্যই দেখবেন যে ভবিষ্যতে এর চাহিদা কেমন থাকবে।
ভবিষ্যতে যদি সেগুলোর চাহিদা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে অবশ্যই সে কাজগুলো সেখান থেকে বিরত থাকবেন। কারণ ভবিষ্যতে যখন আপনার বয়স বেড়ে যাবে অর্থাৎ আপনি মোটামুটি বার্ধক্যের দিকে চলে যাবেন তখন কিন্তু আর নতুন কোন জিনিস সহজে শিখতে পারবেন না। বর্তমানে যে কোন জিনিস আপনি যুবক বয়সে যত সহজে শিখতে পারবেন একটু ৩০-৪০ বছর বয়সে কিন্তু সেগুলো আর সহজেই শিখতে পারবেন না কিংবা আয়ত্ত করতে পারবেন না।
ভাই আপনি যে কাজে শিখুন না কেন কিংবা যে দক্ষতা অর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন না কেন অবশ্যই চিন্তা করবেন যে ভবিষ্যতে এই কাজের ডিমান্ড কেমন থাকবে। যদিও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা রাখা কোনভাবেই সম্ভব নয় তারপরও একটু আনুমানিক দিকগুলো বিবেচনা করবেন এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ভবিষ্যতের প্রেডিকশন সম্পর্কে একটু ধারণা নিবেন। আর যেহেতু এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক তথ্য খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে জেনে নেওয়া যায় তাই এগুলো নিয়ে একটু গবেষণা করবেন।
কর্মের তাগিদে অনেকেই কিন্তু আমাদের দেশে বসে অনেক কাজ করে ফেলছে আবার অনেকে অধিক ইনকামের জন্য বিদেশের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। তবে অনেক মানুষ যে ভুল কাজটা করে সেটা হলো কোন প্রকার অভিজ্ঞতা থেকে বর দক্ষতা অর্জন না করেই বিদেশে একজন সাধারন কর্মী হিসেবে কাজ করে। আপনি একটি সাধারণ হিসাব করুন না কেন ধরুন আপনি একজন সাধারণ মানুষ আপনাকে দিয়ে যেকোনো কাজ করানো যায়।
এর মানে হলো আপনাকে দিয়ে এমন সব কাজ করানো হবে যেগুলো একজন সাধারণ মানুষ মোটামুটি ভাবে করতে পারে। অর্থাৎ আপনাকে দিয়ে কোন সিরিয়াস কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজ কখনোই করানো হবে না। আর আপনি যত সাধারন কাজ করবেন এবং রিক্সমুক্ত কাজ করবেন আপনার ইনকাম ততই কম হবে। আর আপনি যত রিস্ক যুক্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো করবেন আপনার ইনকাম কিন্তু ততই বেশি হবে।
তাই আপনি যদি একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে বিদেশে কিংবা বাংলাদেশে বসেই কাজ করতে থাকেন তাহলে আপনি কখনোই অতিরিক্ত বা অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তাই আপনার প্রধান উদ্দেশ্য যদি হয় অতিরিক্ত ইনকাম করা তাহলে আপনাকে অবশ্যই যে কোন একটি দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর যে কোন দক্ষতা পরিপূর্ণভাবে অর্জন করার পরে আপনি যদি ওই কাজে অভিজ্ঞ হয়ে যান তাহলে বাংলাদেশের তুলনায় বিদেশে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন ওই দক্ষতা গুলো দিয়েই।
এজন্য আপনি দেশে থাকেন কিংবা বিদেশে যান সেটা পরের হিসাব কিন্তু আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর বর্তমান যুগ যেহেতু তথ্যপ্রযুক্তির যুগ তাই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে যাতে এই সেক্টরে কোন একটা ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই অংশে আপনাদের জানানো হবে অনলাইন বা ডিজিটাল সেক্টরে এমন কি কি দক্ষতা রয়েছে যেগুলো শিখে আপনি যদি বিদেশে যান তাহলে আপনার ওই দক্ষতা গুলো দিয়ে অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে এগুলোর ডিমান্ড অনেক বেশি থাকবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ও মেশিন লার্নিং
বর্তমান সময় যেহেতু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এর প্রথম এবং ভবিষ্যতে এটি ব্যাপক পরিসরে বিস্তৃতি লাভ করবে তাই আপনি যদি এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ও মেশিন লার্নিং কোনভাবে শিখতে পারেন তাহলে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কয়েক বছর নিয়ে আপনাকে আর কোন টেনশন করতে হবে না। যেহেতু এটি একটি অনেক কঠিন এবং ডিমান্ডেবদক্ষতার অন্তর্ভুক্ত তাই আপনি যদি এটি শিখে অভিজ্ঞ হয়ে যান তাহলে দেশে এবং বিদেশে দুই জায়গাতেই কাজ করতে পারবেন।
ডেটা সাইন্স
যেকোনো তথ্য এর ওপরে ভিত্তি করে কিন্তু কোম্পানিগুলো পরিচালিত হয়ে থাকে। তাই বুঝতে পারছেন যে কোন কোম্পানির পিছনে কিন্তু এরকম ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি এই সেক্টরে একজন দক্ষ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন তাহলে অন্তত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনাকে আর অতিরিক্ত কোন প্রকার টেনশন করতে হবে না। যত এটি একটি উচ্চতর দক্ষতা তাই কঠিন হলেও আপনি চেষ্টা করবেন ডেটা সাইন্স সেক্টরে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি হয়ে ওঠা।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
বর্তমানে কিন্তু প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি ইন্টারনেট বা ডিজিটালাইজেশন এর সাথে সম্পৃক্ত না থাকে তাহলে সেটি কিন্তু কোন ভাবেই সফলতা অর্জন করতে পারছে না। এজন্য যার ব্যবসা যত বেশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেটে পপুলার সেই ব্যবসা তত বেশি সফল এবং লাভজনক হয়ে উঠেছে। আর এগুলো করা হয় সম্পূর্ণরূপে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাই আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে কাজ করতে পারবেন কিংবা ফ্রিল্যান্সিং করেও কিন্তু একটি সিকিউর ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
সাইবার সিকিউরিটি
সাইবার সিকিউরিটি হল এমন একটি কাজ নেটের মাধ্যমে যেকোনো ওয়েবসাইট কিংবা সংস্থার নিরাপত্তা প্রদান করা হয়। এজন্য মানুষের যত বেশি ওয়েবসাইট তৈরি করবে এবং নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন প্লাটফর্মে নিজেদের স্ট্যাটাস তৈরি করতে যাবে তখনই তাদের লাগবে সাইবার সিকিউরিটি অর্থাৎ তাদের সুরক্ষা। শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় এসব দক্ষতাগুলো কিন্তু পুরো বিশ্বব্যাপী একইভাবে ডিমান্ডটেবেল। তাই আপনি চাইলে কিন্তু সাইবার সিকিউরিটি শিখতে পারেন।
ব্লকচেইন ডেভেলপমেন্ট
এটি একটি অত্যধিক জনপ্রিয় এবং হাই ডিমান্ডেবল দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। আপনি যদি এই সেক্টরে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন তাহলে আপনি বিদেশের কাজ কিন্তু বাড়িতে থাকাই করতে পারবেন। শুধুমাত্র এই দক্ষতা নয় অনলাইন সেক্টরে যেকোন দক্ষতায় যদি আপনি অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে পারেন তাহলে বিদেশি কোম্পানির কাজ আপনার নিজের ঘরে বসেই করতে পারবেন।
ডিজিটাল marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং নামটি শুনে হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে আসলে মার্কেটিংটা করা হবে কিন্তু সেটি ডিজিটাল মাধ্যমে। যখন আমাদের দেশে ইন্টারনেট এত পপুলার ছিল না তখন কিন্তু যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং কিংবা যেকোনো কোম্পানির মার্কেটিং বিভিন্নভাবে করা হতো। বিশেষ করে বিলবোর্ড, স্টিকার এবং বিভিন্ন সাইনবোর্ডের মাধ্যমে মার্কেটিং করা হতো। এবং এগুলো সেই সমস্ত জায়গায় করা হতো যেখানে জনসমাবেশ বেশি অর্থাৎ মানুষের ওঠাবসা বেশি হয়।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি যদি আগের নিয়মে মার্কেটিং করেন তাহলে কখনোই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে একটি সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের রূপান্তর করতে পারবেন না। এখনো কিন্তু যেখানেজন সমাবেশ বেশি সেখানেই মার্কেটিং করা হয় কিন্তু সেটা অনলাইন সিস্টেমে। বিশেষ করে এখন ফেসবুক, youtube, গুগল এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং বেশি করা হয়ে থাকে। কারণ এসব প্লাটফর্মে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রবেশ করে এবং এড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব এড মানুষের সামনে প্রদর্শন করা হয়।
আর ডিজিটাল সিস্টেমে যদি মার্কেটিং করা হয় তাহলে খরচ তুলনামূলক অনেক কম হয় এবং অনেক মানুষকে কিন্তু দেখানো যায়। তাই বর্তমান সময়ে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে আপনি যথেষ্ট পরিমাণে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আর ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু খুব দ্রুত বড় হয়ে যাচ্ছে এবং অনেক বড় বড় মার্কেটপিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে।
এগুলোই ছিল মোটামুটি ডিজিটাল সিস্টেমের বা আইটি সেক্টরের হাই ডিমান্ডেবল দক্ষতা।উপরের নাম্বারটা গুলোর মধ্যে আপনি যদি যেকোনো একটিতে এক্সপার্ট হতে পারেন এই দক্ষতার ভিত্তিতে যদি বিদেশে গমন করেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য রয়েছে বিশাল ক্যারিয়ারের নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে উপরের দেওয়া যে কোন একটি দক্ষতার উপর এক্সপার্ট হন এবং ঝুঁকিমুক্ত ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।
বিদেশে বেস্ট ডিমান্ডটেবল দক্ষতা অফলাইনে বা হাতে কলমে
আপনি যদি আইটি সেক্টরে যেতে না চান এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে যে দক্ষতাগুলো রয়েছে সেগুলো শিখতে না চান তাহলে কিন্তু আপনি অফলাইনে কিংবা হাতে কলমে যেসব কাজগুলো রয়েছে সেগুলো শিখলেও বিদেশে ডিমান্ড পেয়ে যাবেন। তা চলুন অতিরিক্ত কথা না বলে জেনে নেওয়া যাক যে প্র্যাকটিক্যাল কাজগুলো সম্পর্কে যেগুলো সচরাচ অনেক প্রবাসী করে থাকে।
বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমি সবসময় পরামর্শ দিব আপনারা সাধারণ একজন কর্মী হিসেবে যাওয়া বাদ দিয়ে যদি এই সেক্টরের কোন একটি কাজের দক্ষতা অর্জন করে যান তাহলে আপনাকে কোন প্রকার টেনশন করতে হবে না। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে দেখা যায় যারা এই ক্যাটাগরির আওতাধীন হয়ে বিদেশে যাই তারা কিন্তু অনেক সময় অনেকেই কাজের অভাবে বসে থাকে। আপনি যদি কোন কোম্পানির হয়ে প্রবাসে যান এবং ওই কোম্পানির যদি কাজ না থাকে তাহলে কিন্তু আপনাকে বসিয়ে রাখবে আপনাকে কোন বেতন দেবে না।
কিন্তু আপনি যদি এরকম কোন দক্ষতা শিকে প্রবাসে যান তাহলে আপনাকে কোন কোম্পানির আওতাধীন হয়ে কাজ করতে হবে না আপনি কিন্তু যে কোন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন। ওই কোম্পানি যদি আপনাকে আকামা করে দেয় এবং নিচে যেসব দক্ষতা উল্লেখ করা হবে সেগুলোর যেকোনো একটিতে এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে বিদেশের মাটিতে গিয়ে আপনি অনেক ইনকাম করতে পারবেন এবং বেকারত্ব জীবন যাপন কখনোই করা লাগবেনা।
মেডিকেল
আপনি যদি স্বাস্থ্যকর্মী রিলেটেড যেকোনো ফিল্ডে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে কিন্তু বিদেশের মাটিতে অনেক চাহিদা পেয়ে যাবেন। সমসাময়িক একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে যে অনেক দেশ কিন্তু বাংলাদেশ থেকে নার্স নিতে চাচ্ছে কারণ অন্যান্য দেশে জনসংখ্যার তুলনায় নার্স অনেক কম। ভাই আপনি যদি এই পেশাতে হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু বিদেশে আপনার অনেক ডিমান্ড রয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার
এটি একটি অনেক উত্তর দক্ষতা সম্পন্ন পেশা। আপনি চাইলে যদি এই পেশায় একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি হন তাহলে দেশে কিংবা বিদেশে যে কোন স্থানে ভালো চাহিদা সম্পন্ন কাজে যোগদান করতে পারবেন। আর বিদেশে যেহেতু কনস্ট্রাকশন এর অনেক কাজ হয়ে থাকে তাই কনস্ট্রাকশন রিলেটেড কাজের অভাব কখনোই হবে না। এজন্য অবশ্যই অনেক ভালো পড়াশোনা করতে হবে তাহলে আপনি ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন এবং একটি সুন্দর ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন।
শেফ
বিদেশে এমন অনেক রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন পদের খাবার তৈরি করা হয় যার জন্য কিন্তু প্রচুর পরিমাণ বাবুর্চি লাগে। যেহেতু এটি একটি অন্য লেভেলের কাজ এবং পরিপূর্ণ দক্ষতার ওপরে নির্ভর করে তাই আপনি যদি একজন ভালো রাধুনী হতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনাকে আর ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান নিয়ে কোন টেনশন করা লাগবে। এই পৃথিবীতে যতদিন ধরে মানুষ বেঁচে থাকবে ততদিন কিন্তু রাধুনীর চাহিদা থাকবে।
পৃথিবীর যতই আধুনিক হয়ে যাক না কেন কিংবা যতই ডিজিটালাইজমেন্ট হয়ে যাক না কেন মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন কিন্তু মানুষকে খাবার গ্রহণ করতেই হবে,কারণ মৌলিক অধিকার গুলোর মধ্যে খাবার সবার প্রথমে রয়েছে। ভাই আপনি যদি বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে সবথেকে মানে পৃথিবীর সবথেকে সিকিউর কোন ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনার জন্য হলো এই শেফ পেশা।
ইলেকট্রিশিয়ান ও টেকনিশিয়ান
বিদেশে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রিশিয়ান ও টেকনিশিয়ান এর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এই ধরনের মেকানিক কাজগুলো করতে পারেন তাহলে কিন্তু অনেক বেশি টাকা বেতনের চাকরি করতে পারবেন নিঃসন্দেহে। তবে এগুলোর জন্য অনেক বেশি দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই যারা প্রবাসে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা দেশে এই সেক্টরের দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করেন এবং সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।
ব্যক্তিগত মতামত
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন যে বিদেশে কোন কোন দক্ষতা গুলো সব থেকে বেশি ডিমান্ডটেবল। তাই আপনি যদি বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তাহলে উপরে উল্লেখ করা যেকোনো একটি দক্ষতা খুব সুন্দর ভাবে শিখবেন এবং সেটাতে এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন। তারপরে আপনি চাইলে বিদেশে যেতে পারেন কিংবা দেশে থেকেও কিন্তু অনেক টাকা রোজগার করতে পারবেন। তাই যেকোনো সাধারণ কিংবা কর্মী ভিসায় বিদেশে না গিয়ে যেকোনো একটি ক্যাটাগরিতে দক্ষতার ভিত্তিতে বিদেশে যান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url