২০২৫ সালে ফুডপান্ডা হোম শেফ রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ
প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে
পড়তে পারেন তাহলে জানতে পারবেন ফুডপান্ডা হোম শেফ রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ কিভাবে
করতে হয়। অনেক মানুষ বিভিন্ন রকম পেশা বেছে নিচ্ছে তাই আপনিও চাইলে কিন্তু ইউনিক
এবং বেশি ইনকাম হয় এরকম পেশা বেছে নিতে পারেন আপনার চাহিদা অনুসারে।
যেহেতু এটি ইনফরমেটিভ আর্টিকেল এবং আপনার অনেক কিছু চাইলেই শিখতে পারবেন তাই
আপনার উচিত তাড়াহুড়া না করে শেখার উদ্দেশ্যে আর্টিকেলটি পড়া। যেখানে আপনার
ক্যারিয়ার নিয়ে কথাবার্তা হবে সেখানে আপনাকে অবশ্যই একটিভ এবং ফোকাস রাখতে হবে।
তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফুডপান্ডা হোম শেফ রেজিস্ট্রেশন
বাংলাদেশ কিভাবে করতে হয় সেই সম্পর্কে।
ফুডপান্ডা রাইডার এর বেতন কত টাকা
এটি সম্পূর্ণভাবে আপনার কাজের উপর নির্ভর করছে কারণ এখানে যে সিস্টেমে বেতন
হয়েছে সেটি হল আপনি যত কাজ ডেলিভারি করতে পারবেন আপনার বেতন তত টাকা হবে। এখানে
নির্দিষ্ট কোন বেতন দেওয়া হয় না। তবে সাধারণত আপনি মোটামুটি ৮ হাজার টাকা থেকে
শুরু করে মাসিক ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
ফুডপান্ডা হোম শেফ রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ
আপনারা কিন্তু অনেকেই এই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়,
রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা খরচ হয় এবং কোথায় গিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে
এই কাজটি সম্পন্ন করা যায় এরকম অনেক জানতে চেয়েছিলেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে
আর্টিকেলের এই অংশে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা এটি
থেকে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
আপনারা চাইলে অ্যাপস এর মাধ্যমে কিন্তু এই কাজটি করতে পারেন কিংবা ওয়েবসাইটে
গিয়ে কিন্তু সরাসরি এই কাজটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে পারবেন। আপনি যদি এটি ওয়েব
সাইটের মাধ্যমে করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে আপনার মোবাইলের ডাটা কানেকশন চালু
করতে হবে এবং আপনার মোবাইলে অবশ্যই এমবি রাখতে হবে।
আর আপনি যদি এমবি ব্যবহার না করেন তাহলে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে হবে কিংবা অন্যদের
থেকে হটস্পট নিতে হবে। এক কথায় আপনাকে আপনার ডিভাইসকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত
করতে হবে। এরপর আপনি যে কোন একটি ব্রাউজারে চলে যাবেন, তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত
হলে আপনারা এই ধরনের কাজগুলো গুগল ক্রোম ব্যবহার করবেন কারণ এই ব্রাউজারটি অনেক
ভালো এবং সিকিওর।
ব্রাউজারে যাওয়ার পর আপনারা সার্চবারে গিয়ে
(https://partner.foodpanda.com.bd/s/?language=en_US&countryIsoCode=BD)
লিখে সার্চ করবেন। আপনারা চাইলে এটি কপি করে আপনাদের ব্রাউজারে পেস্ট করলেই হবে
কিংবা আপনি যদি এটি কপি করতে না চান তাহলে ক্লিক করুন এই অপশনেঃ
ফুডপান্ডা হোম শেফ রেজিস্ট্রেশন করার লিঙ্ক
এই লিংকে ক্লিক করলে আপনাদের সামনে এরকম একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। আপনাদের
সুবিধার্থে স্ক্রিনশট দিয়ে আলাদাভাবে দেখানো হয়েছে যাতে আপনারা স্ক্রিনশট দেখে
দেখে আপনাদের মোবাইলের কাজগুলো করে নিতে পারেন। ছবিতে যেভাবে দেখানো হয়েছে
আপনারা ঠিক সেভাবে কাজ করবেন তাহলে খুব দ্রুত রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে।
এরপরে লেখা রয়েছে বিজনেস ওনার ফার্স্ট নেম সেখানে আপনি আপনার নামের প্রথম অংশটি
লিখবেন। মনে করুন আপনার নাম কফিল উদ্দিন, তাহলে আপনি ফাস্ট নেমের জায়গায় লিখবেন
কফিল। এরপরে দেওয়া রয়েছে বিজনেস ওনার লাস্ট নেম, সেখানে আপনি আপনার নামের শেষ
অংশ অর্থাৎ উদ্দিন লেখবেন।
এর পরের ঘরে আপনার ইমেইল এড্রেস দিতে হবে, এখানে অবশ্যই আপনি আপনার ব্যক্তিগত
ইমেইল এড্রেস প্রদান করবেন কারণ তারা ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের
ইনফরমেশন বিভিন্ন সময় দিতে পারে যেগুলো আপনি সবসময় দেখবেন এবং তা অনুসরণ করবেন।
আবার অফিশিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট এর ক্ষেত্রে তারা কিন্তু ইমেইলে বিভিন্ন রকম
বার্তা প্রদান করে থাকে। তাই অবশ্যই যে ইমেইল এড্রেস সচল রয়েছে এবং আপনি
প্রতিনিয়ত সেটি ব্যবহার করছেন অন্যান্য কাজে অবশ্যই সেটি ব্যবহার করবেন।
অনেকে মনে করে ব্যক্তিগত ইমেইল এড্রেস যদি কোন কারনে হ্যাক হয়ে যায় তাহলে তো
সমস্যা হবে। তাদের ক্ষেত্রে আমি বলতে চাই আপনারা অবশ্যই ওই ইমেইল এড্রেস টিতে to
factor অথেন্টিকেশন চালু করে রাখবেন তাহলে কখনোই হ্যাক হবে না। এর পরের ঘরে ক্লিক
করলে আপনার সামনে দুইটি অপশন আসবে।
একটি হলো রেস্টুরেন্ট এবং আরেকটি হল শপ, আপনি এই দুইটি অপশন এর মধ্যে রেস্টুরেন্ট
লেখা সিলেক্ট করবেন। এরপরে যে বিষয়টি সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই এ বিষয়ে
আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে না হলে পরবর্তী সময়ে আপনি
অবশ্যই সমস্যার সম্মুখীন হবেন।
অনেকেই মনে করে আমি যেহেতু একটি কোম্পানির সাথে যুক্ত হতে চাচ্ছি তাই সে ক্ষেত্রে
আপনি আলাদা একটি মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করব এবং সেটির মাধ্যমে তাদের সাথে সকল
যোগাযোগ রাখব। আপনি যদি ওই সিমটি আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ব্যবহার করেন তাহলে
কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু আপনি যদি আলাদাভাবে মোবাইল ক্রয় করেন এবং সেটার মধ্যে ওই সিমটি প্রবেশ
করিয়ে রাখেন এবং সেই নাম্বারটি যদি এই খানে উল্লেখ করে রাখেন তাহলে আপনাকে
অবশ্যই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। যেহেতু আপনি এই নাম্বারটি দিয়ে ফুডপান্ডা হোম
শেফ রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ থেকে করছেন তাহলে তারা আপনার সাথে এই নাম্বারে সংযোগ
করবে।
এখন কোন জরুরী কারণে আপনার সাথে সংযোগ করলো এবং দেখল যে আপনার এই নাম্বারটি বন্ধ
রয়েছে সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার নিবন্ধনটি বাতিলও হয়ে যেতে পারে। তাই এখানে
আপনার অবশ্যই ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করবেন। এছাড়া আপনাদের যদি অন্য
কোন সমস্যা থাকে তাহলে আলাদা নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন এটা সম্পূর্ণ আপনাদের
ব্যক্তিগত বিষয়ের আওতাভুক্ত।
এ কাজটি করার পরে আপনি গেট স্টার্টেড লেখায় ক্লিক করবেন এবং ফুডপান্ডার
ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নেবেন। এবার আপনাকে বিজনেস একাউন্টের জন্য
অর্থাৎ আপনি যদি ফুড পান্ডা হোম শেফ হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে আপনাকে
একটি বিজনেস ফর্ম পূরণ করতে হবে।
সেখানে আপনি আপনার দোকানের নেম অর্থাৎ আউটলেট নেম, আউটলেট টাইপ, ক্যাটাগরি, ফাস্ট
নেম, লাস্ট নেম, কন্টাক্ট নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, মেনু অথবা আইটেম তালিকা আপলোড
করতে হবে। আইটেম তালিকা মনে হচ্ছে আপনি কি ধরনের খাবার ফুড পান্ডের মাধ্যমে
বিক্রি করতে চাচ্ছেন তার ছবি দিতে হবে।
📌আরো পড়ুন 📌 clop g cream ব্যবহারের নিয়ম, উপকারিতা ও দাম
এরপরে এমন একটি এড্রেস দিবেন যেখান থেকে আপনার তৈরি কিন্তু খাবার ফুটপাণ্ডার
রাইডার গ্রহণ করতে পারবে। অবশ্যই এই স্থানটি একটি বিশেষ কোন জায়গার
পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়ার চেষ্টা করবেন যাতে যে কেউ আপনার ওই এলাকায় প্রথমবার আসলে
যাতে জায়গাটুকু চিনতে পারে।
এই পর্যন্ত সকল কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ করার পরে আপনি সাবমিট অপশনে ক্লিক করবেন।
এরপরে ফুডপান্ডার অফিসিয়াল কার্যক্রম অনুসারে তারা আপনার জিমেইলে একটি ফরম দিবে
আপনি সেটিও সুন্দরভাবে ফিলাপ করে দেবেন। এখানে আরেকটি কাজ কিন্তু আপনাকে খুব
গুরুত্ব সহকারে করতে হবে সেটা হচ্ছে, ওই ফর্মে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া থাকবে
আপনি কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে পড়ে নিবেন।
আপনি এই শর্তগুলোর কার্যকারিতা এখন বুঝতে না পারলে ভবিষ্যতে আপনি যখন কাজ করবেন
ফুডপান্ডার সাথে তখন কিন্তু এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই আপনি
বুঝেন কিংবা না বুঝেন খুব গুরুত্ব সহকারে শর্ত গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। এরপরে
একটি সাদা কাগজে আপনাকে একটি স্বাক্ষর করতে হবে এবং সেটির ছবি তুলে ওই ফাইলটি
ফর্মের আওতাধীন হিসেবে আপলোড করতে হবে।
এরপরে ফুড পান্ডার অফিস থেকে আপনি যে কন্টাক্ট নাম্বার প্রদান করেছেন সেই
নাম্বারে কল করা হবে এবং আপনাকে বলা হবে আপনি কি এরকম কোন আবেদন ফুড পান্ডাতে
করেছেন কিনা। তখন আপনি বলবেন হ্যাঁ আমি এরকম একটি আবেদন করেছি। এর পরে তারা
আপনাকে আরো কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে যে রকমঃ আপনার ঠিকানা, কোথায় থেকে
ডেলিভারি দিবেন এবং অন্য কিছু তথ্য।
এর মোটামুটি সাতদিন পরে ফুড পান্ডা থেকে আপনার কাছে একটি ট্যাব পাঠানো হবে এবং
আরো কিছু কাগজপত্র দিয়ে দেওয়া হবে। আপনি যদি খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করেন এবং
শহরাঞ্চলগুলোতে ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে দেখবেন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ম্যানেজমেন্ট
অফিসারের কাছে কিংবা যেকোনো বার্গারের দোকানে কিন্তু বার্গার ওয়ালা মামার কাছে
একটি ট্যাব থাকে।
তো তারা মূলত আপনার আমার মত কাস্টমারের কাছে তাদের খাবার বিক্রি করার পাশাপাশি
কিন্তু তারা ফুড পাণ্ডাতেও খাবার ডেলিভারি করে থাকে। তো সে রকম ভাবে আপনাকেও একটি
ট্যাব দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আপনি যদি মনে করে থাকেন এটি দিয়ে অন্য কোন কাজ
করবেন তাহলে কখনোই সম্ভব না কারণ এটি দিয়ে আপনি শুধুমাত্র খাবার এর অর্ডার নিতে
পারবেন এবং ডেলিভারি দিতে পারবেন। এটির মাধ্যমে আর কোন কাজই করা যাবে না।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আসলে আমি কিভাবে জানব যে আমি ফুড পান্ডা থেকে
অর্ডার পেয়েছি এবং আমার দোকানে যে অর্ডার করবে সে কিভাবে জানবে যে আমার দোকান
থেকে সে খাবার ক্রয় করছে। এখানে আসলে ফুডপান্ডা খুব সুন্দর একটি সিস্টেম অবলম্বন
করেছে।
মনে করেন আপনি রাজশাহীর সাহেব বাজারের এরিয়ার মধ্যে রয়েছেন এবং আপনি বার্গার
বিক্রি করছেন। কোন ব্যক্তি যদি রাজশাহীর সাহেব বাজার এরিয়ার মধ্যে অবস্থান করে
ফুড পান্ডা থেকে বার্গার অর্ডার করতে চাই তাহলে তার সামনে আপনার দোকান শো করবে।
অর্থাৎ যে যে স্থানে রয়েছে তার কাছে তার নিকটস্থ দোকানগুলো শো করবে।
তো তারা যখন যে কোন জিনিস অর্ডার করবে আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে, আপনি যদি
খাবার দিতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে accept করবেন। এখন আবার আপনার মনে প্রশ্ন
জাগতে পারবে আসলে দাম কিভাবে নির্ধারণ করব? দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আপনাকে একটু
চালাকি করতে হবে।
কারণ সাধারণ মানুষের কাছে আপনি যা দামে বিক্রি করেন সেই দামেই আপনি যদি ফুড
পান্ডাতে খাবার বিক্রি করেন তাহলে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। কারণ তারা আপনার
খাবারের মধ্যে কিছু পার্সেন্টেজ বাদ দিবে এই পার্সেন্টেজ থেকেই মূলত ফুড পান্ডার
রাইডার এবং কর্তৃপক্ষের লাভ হয়।
মনে করেন আপনি যদি বার্গার ৩০ টাকায় বিক্রি করে থাকেন তাহলে সেখানে আপনি বিক্রি
করবেন ৪০ টাকা। তাহলে তাদের পার্সেন্টেজ যদি বাদও দিয়ে দেয় তাহলেও কিন্তু আপনি
আপনার আসল দাম পেয়ে যাচ্ছেন। আশা করি জানতে পেরেছেন যে ফুডপান্ডা হোম শেফ
রেজিস্ট্রেশন বাংলাদেশ থেকে কিভাবে করতে হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url