ভিভো v2 প্রাইস কত বাংলাদেশে ও স্পেসিফিকেশন ২০২৫
প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত
ধৈর্য ধরে পড়তে পারে তাহলে জানতে পারবেন ভিভো v29 সম্পর্কে সকল তথ্য। আমাদের
কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছে ভিভো v29 প্রাইস কত? আপনিও যদি ভিভো v29 প্রাইস জানতে
চান তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
যেকোনো মোবাইল বা স্মার্টফোন কেনার পরবে তো অবশ্যই ওই ফোন সম্পর্কে সকল তথ্য
আপনার জেনে রাখতে হবে কারণ যেহেতু এটি প্র্যাকটিকাল কাজে ব্যবহৃত হয় তাই অবশ্যই
ভালো কনফিগারেশন এর ফোন কেনার দরকার। আর ফোন কিনতে গেলেই দামের বিষয়টি আমাদের
সামনে চলে আসে তাই ভিভো v29 প্রাইস সহ অন্যান্য সম্পর্কেও আপনাদের ধারণা দেওয়া
হবে।
ভিভো v29 স্পেসিফিকেশন
ইন্টারন্যাশনালি ভিভো v29 এর মোট তিনটি মডেল বাজারে লঞ্চ হয়েছে, যেগুলো হল ভিভো
V29E, ভিভো V29 Pro আর ভিভো V29। তো এই আর্টিকেলে আপনাদের ভিভো V29 সম্পর্কে
জানানো হবে।
যেহেতু আমরা এই ফোনটি ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকদিন যাবত ব্যবহার করছে এবং পরিপূর্ণ
ঘাটাঘাটির পরে আপনাদের যে তথ্যগুলো দিচ্ছি সেগুলো সম্পন্ন অথেনটিক। কারণ যে কোন
ফোন যদি ব্যবহার না করা হয় তাহলে কিন্তু সেই ফোন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ
করা যায় না।
তাই যে কোন ফোনের রিভিউ দেওয়ার পূর্বে আমরা সেই ফোনটি বেশ কয়েকদিন যাবত অনেক
কয়েকজন বিভিন্নভাবে ব্যবহার করি এবং এই ফোনের রিলেবিলিটি এবং টেকসই ও অন্যান্য
বিষয় ফিচারগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। আর এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হওয়ার
পরে আমরা আপনাদের যেকোনো ফোনের রিভিউ প্রদান করি।
তাই বুঝতে পারছেন যে আমাদের ওয়েবসাইটে যে তথ্য গুলো পাবেন সেগুলো চোখ বন্ধ করে
বিশ্বাস করতে পারেন। আর একজন ইউজার হিসাবে আপনার কেমন চাহিদা সেই বিষয়টি বিবেচনা
করেই আপনি ফোন কিনবেন। তো চলুন অতিরিক্ত কথা না বলে জেনে নেওয়া যাক ভিভো V29
সম্পর্কে।
তবে এর আগের মডেল অর্থাৎ ভিভো v27 এর মতোই মোটামুটি একই স্পেসিফিকেশন পেয়ে যাবেন
এই ফোনটিতে। এর মানে আগের ফোন মডেল থেকে খুব একটা আহামরি পরিবর্তন এনেছে বিষয়টি
এরকম নয়। কিছু কিছু জায়গায় সামান্য পরিবর্তন হয়েছে আবার কিছু কিছু জায়গায়
একই রকম পারফরম্যান্স দিচ্ছে।
তবে আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আগের মডেল থেকে অনেক বেশি পার্থক্য থাকবে এবং
পারফরমেন্স অনেক বেশি হবে তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ ভিভো তারা যতগুলো মডেল বের
করেছে তার নতুন মডেল গুলো পুরাতন মডেলের থেকে সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে।
এখন বিষয়টি এরকম নয় যে আগের মডেল একরকম ছিল এবং নতুন মডেল যেটা এসেছে তার সাথে
আহামরি আকাশ পাতাল সমান পরিবর্তন বা পার্থক্য রয়েছে। আসল কথা হলো ভিভোর
নির্দিষ্ট কিছু কাস্টমার রয়েছে যারা ভিভো ছাড়া অন্য কোম্পানির মোবাইল কিনবি না।
মূলত এই কোম্পানির ফোন যারা চালায় তারা মূলত টেকসই এবং স্মুথনেস আর ডিজাইনটা
অতিরিক্ত বেশি পছন্দ করে। এছাড়াও এই ফোনের মোটামুটি ক্যামেরা আর পারফরম্যান্স
দেখে যে কেউ মোটামুটি কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
আর ভিভো মোবাইলের এই সিরিজ ের সবথেকে বেশি জনপ্রিয়তার অর্জন করেছে। মূলত ভিভো
ফোন দিয়ে সব থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল এই ভি সিরিজের জন্য। তো কি আছে এই
সিরিজের মধ্যে সেটাই জানতে চলেছেন আপনি এই আর্টিকেল থেকে। অর্থাৎ এই সেটের মোবাইল
গুলোর স্পেশালিটি কি?
এই ফোনটি আনবক্স করলে আপনি প্রথমে দেখতে পারবেন একটি ম্যানুয়াল বই, একটি
ট্রান্সপারেন্ট ব্যাক পার্ট এবং চার্জার। এর চার্জারটি অত্যাধিক দ্রুত চার্জ করতে
পারেন কারণ এটি আসে ওয়াটের ফ্লাশ চার্জার। সব সময় মনে রাখবেন অন্যান্য
কোম্পানির ফাস্ট চার্জার হলেও ভিভো কোম্পানির চার্জার গুলো কিন্তু ফ্ল্যাশ
চার্জার।
তবে আপনি যদি দুইটি মডেল অর্থাৎ ভিভো V29 Pro আর ভিভো V29 যদি একসাথে আনবক্সিং
করেন তাহলে দুইটা ফোনের মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে আপনি বুঝতে পারবেন না। অর্থাৎ
এই দুইটি ফোনের মডেল একই রকম এবং দেখতে হুবহু একই। শুধুমাত্র বক্সের উপরে লেখা
রয়েছে প্রো ভারসন।
এছাড়া ডিজাইনের কোন পার্থক্য নেই আবার এক কথায় বলা যায় আপনি ফোনটি হাতে নিলে
কখনোই বুঝতে পারবেন না যে দুটি দুই মডেলের ফোন। আর পেছন থেকে আপনি যদি এই ফোনটির
ডিজাইন লক্ষ্য করেন তাহলে আপনার মনে হবে যে আপনার মেঝের টাইলস এই ফোনের উপরে
লাগিয়ে দিয়েছে।
কারণ এতটাই চকচকে ফকফকে আর গ্লোসি ভাব ফোনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে যেন নিজের মুখ
দেখতে আর আয়না লাগবে না। এই ফোনের ব্যাক প্যানেল আয়নার কাজ করে নেওয়া যাবে।
এজন্য যারা ডিজাইন ভালো পছন্দ করেন তারা ভিভো কোম্পানির ফোন গুলো ব্যবহার করতে
পারেন কারণ ভিভো কোম্পানির ডিজাইন এর ক্ষেত্রে একদম এক্সপার্ট এর ভূমিকা প্রদর্শন
করে।
আর এই কালারটা একটু আকাশী কালার হলেও সাদা সাদা একটু ভাব রয়েছে মনে হচ্ছে যে
হিমালয়ের মত। মনে হয় হিমালয়ের প্রকৃতির দৃশ্য থেকেই এই ফোনের ব্যাক প্যানেল
ডিজাইন করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ফোনের যে কালার রেডিয়েট রয়েছে সেটি সম্পূর্ণরূপে
হিমালয়ের মত।
আর ডিজাইনের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এর ডিসপ্লে। কারণ এর
ডিসপ্লেটি সম্পন্ন কার্ভ, যেটি ইউজারদের ব্যাপক নজর কেড়ে নেয়। অনেকে তো আবার
এরকম কার্ভ ডিসপ্লে দেখলে অনেকে প্রফেসর, র্যাম ব্যাটারির দিকে নজর দেন।
কারণ এই ডিসপ্লে তে ভিডিও দেখলে অনেক মজা লাগে এবং ভিডিও রেজুলেশন অনেক ভালো হয়
অন্যান্য সাধারণ ডিসপ্লের ওয়ালা ফোনের থেকে। আর যেহেতু ইন ডিসপ্লে
ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হয়েছে তাই পেছনের ব্যাক প্যানেল থেকে ডিজাইন আরো
আকর্ষণীয় হয়েছে।
তবে শুধুমাত্র এই ফোনের ডিজাইন বা রূপ দেখলে হবে না রুপের পাশাপাশি গুণ ও থাকতে
হবে। তো চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক এই ফোনের গুণ সম্পর্কে। তো এই ফোনে যে
ব্যাটারিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ৬৫০০ এম্পিয়ারের বড় একটি ব্যাটারি জেটি
থেকে আপনি অনেক ভালো ব্যাকআপ পেয়ে যাবেন।
এখানে তিনটার মত ক্যামেরা রয়েছে প্রথমটি ৫০ মেগাপিক্সেল এবং অন্যগুলো মাইক্রো
এক্সেল এর কাজ গুলো করে থাকে। আর ক্যামেরার নিচে একটি রিং লাইট রয়েছে যেটি মূলত
রিং লাইটের মত কাজ করে থাকে। অনেক এটিকে ফ্লাশ মনে করতে পারেন কিন্তু এটি মোটেও
ফ্ল্যাশলাইট নয়।
এই এরিং লাইটের সাহায্যে আপনি ভিডিওর কালার পরিবর্তন করতে পারবেন। এই লাইটের
কালার যেরকম দেওয়া হবে ভিডিওর কালার সেরকমই হবে। আপনি যদি বিশেষ করে রাত্রে
ভিডিও করে থাকেন তাহলে এই লাইটের কার্যকারিতা সম্পর্কে সব থেকে বেশি ভালো জানতে
পারবেন। আর দিনে যেহেতু এই লাইটটা খুব একটা কার্যকর হবে না কারণ ওর কারণে এই
লাইটের কার্যকারিতা প্রদর্শিত হতে পারবে না।
আর এই ফোনের গায়ে যেহেতু লেখা রয়েছে মাস্টার অফ প্রটেইট তাই বুঝতে পারছেন এর
ক্যামেরা অত্যাধিক ভালো হবে। বিশেষ করে রাত্রে যদি ছবি তোলা হয় তাহলে এর সেন্সর
গুলো অনেক ভালো কাজ করে যার ফলে রাত্রেও কিন্তু দিনের মতো ছবি উঠানো যায়।
আর যেহেতু এটি একটি সিরিজের ফোন তাই এর সেলফি ক্যামেরা কিন্তু অনেক ভালো। সেলফি
ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের অত্যধিক শক্তিশালী
ক্যামেরা। যেটির মাধ্যমে আপনি সেলফি তোলা সহ ব্লগিংয়ের জন্য সেলফি ভিডিও তৈরি
করতে পারবেন।
এর প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ৮২০০ যেটা অত্যধিক শক্তিশালী
করে চলেছে এই ফোনটিকে। আর ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপ ড্রাগন 778g, যার
ফলে কিন্তু আপনি এটি দিয়ে বিভিন্ন রকম অনলাইন গেম স্ট্রিমিং করতে পারবেন কোন
সমস্যা ছাড়াই।
ভিভো v29 প্রাইস কত
র্যাম রয়েছে ১২gb এবং এক্সটেন্ডেড র্যাম রয়েছে 12gb আরো ২৫৬ জিবির rom
রয়েছে। বাংলাদেশে এর অফিসিয়াল প্রাইস ৫৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। তবে আপনি যদি র্যাম ও
রম কম নেন তাহলে কিন্তু মোটামুটি ৪৩ হাজার টাকা দিয়ে ৮ জিবি রেম এবং ১২৮ জিবি রম
এর ভেরিয়েন্ট নিতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url