ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ ১০টি উপায়

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ ১০টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শিখা কিন্তু অনেকেই অনলাইন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসে ইনকাম। কিন্তু একই সময় আপনি যদি অফলাইনে ব্যয় করেন তাহলে কিন্তু এত টাকা কখনোই রোজগার করতে পারবেন না। তাই আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে।
ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ ১০টি কার্যকারী উপায়
বর্তমান বিশ্ব ধীরে ধীরে অনলাইন এর ওপরে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে তাই আপনাকে অবশ্যই নিজেকে আপডেট রাখতে হবে এবং যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে ডিজিটালাইজেশন করতে হবে। তাই অন্যদের মতো আপনিও যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান এবং এই সেক্টরে এই ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চান তাহলে সব থেকে কার্যকর উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং শেখা। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ ১০টি উপায়

আপনি যখন মোটামুটি তথ্য ও প্রযুক্তির জগতে মোটামুটি পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর কথা। ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি কাজ যেটি করতে নির্দিষ্ট কোন অফিস কিংবা জায়গার প্রয়োজন। অন্য ক্ষেত্রে যে রকম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার জন্য আপনাকে ওই নির্দিষ্ট স্থানে যেতে হয়। যেরকম যদি আপনি কোন চাকরি করেন তাহলে চাকরি করার জন্য আপনাকে কিন্তু অবশ্যই ওই নির্দিষ্ট অফিসে যেতে হবে। কখনোই বাড়িতে থেকে অফিসের অফলাইনের চাকরি করতে পারবেন না।

কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি সিস্টেম যে সিস্টেমে বিদেশের কাজগুলো আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। অর্থাৎ যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের জন্য নির্দিষ্ট কোন অফিস কিংবা জায়গা প্রয়োজন হয় না তারা পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে তাদের কাজগুলো খুব সহজে করে যেতে পারে। এজন্য তাদের শুধুমাত্র দরকার একটি ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ। এজন্য বুঝতে পারছেন যে আপনাকে ইনকাম করার জন্য কোন জায়গায় যাওয়া লাগবে না আপনি নিজের বাড়ি থেকেই মাসের লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন যদি পরিপূর্ণভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন।

প্রথম দিকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিকে আমাদের দেশের মানুষ বিশ্বাস না করলেও বর্তমানে কিন্তু প্রায় সকল মানুষই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টিকে বিশ্বাস করে। যদিও এর প্রচলন বহির্বিশ্বে অনেক আগেই হয়েছে কিন্তু আমরা যেহেতু প্রযুক্তিতে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে তাই এ সকল বিষয়গুলো আমরা অনেক পরে জানতে পারি। তবে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে যার ফলে দেশে প্রবাসীদের ভূমিকা আর ফ্রিল্যান্সারদের ভূমিকা একই। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায় গুলো যেগুলো অবলম্বন করলে আপনি ঘরে বসেই অনেক টাকা ইনকাম।

ফ্রিল্যান্সিং কি এবং আপনি যে কারণে শিখবেন

ফ্রিল্যান্সিং হলে মূলত স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি প্রক্রিয়া। আপনি যদি কোন অফিসে না গিয়ে একটি চাকরিজীবীর মতো কিংবা তার থেকে অনেক বেশি রোজগার করতে চান তাহলে আপনার জন্যই ফ্রিল্যান্সিং। কারণ এখানে পরিশ্রম অনুসারে ইনকাম করা যায়। মনে করেন আপনি একটি চাকরি করেন আপনাকে সকাল ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ডিউটি করতে হয় তারপরে বাড়ি চলে আসতে হয়, যার ফলে আপনি বেতন পান ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন আপনাকে আরো বেশি ইনকাম করতে হবে এবং যদি আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করা লাগে তা তো আপনি রাজি তাহলে কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে কোন অপশন দেওয়া হচ্ছে না।

কিন্তু আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন তাহলে আপনি যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি মনে করেন যে সারাদিনের ২৪ ঘন্টা কাজ করবেন তাহলে কিন্তু 24 ঘন্টায় আপনি কাজ করতে পারবেন। এবং যদি এই পরিমাণ কাজ করেন তাহলে ওই অনুসারী ইনকাম করতে পারবেন যেটা চাকরি থেকে কয়েকগুণ বেশি হবে। এটা মূলত মুক্ত পেশার অন্তর্ভুক্ত। তাই আপনি যদি একটি মুক্ত পেশা চান এবং যেখানে ইচ্ছা সেখানে বসে কাজ করতে চান আপনি যদি আপনার বস হতে চান তাহলে আপনার জন্যই ফ্রিল্যান্সিং।

যে দক্ষতা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে জার দক্ষতা যত বেশি সে ইনকাম করতে পারে তত বেশি। তাই আপনি যদি কোন দক্ষতাতে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে। তবে আপনি যদি কোন দক্ষতা না জেনে থাকেন তাহলে দক্ষতা অর্জনের সময় আপনাকে অবশ্যই সেই দক্ষতা গুলো শেখে নিতে হবে যেগুলোর ডিমান্ড বর্তমানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। আর এই অংশে সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হবে যেগুলো একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনাকে শেখা উচিত।

আপনি যদি অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি দক্ষতা গুলো আয়ত্ব করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন যে মোটামুটি লেভেলের একটি দক্ষতা অর্জন করব এবং সেটাতে আমি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব। আর পরবর্তীতে আমি আরো কঠিন এবং সব থেকে ডিমান্ডটেবল দক্ষতা গুলো শিখব তাহলে এই অংশটুকু আপনার জন্য। আপনি যদি অল্প সময়ে কোন দক্ষতা অর্জন করতে চান তাহলে কিন্তু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট দিয়ে শুরু করতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং, নেটওয়ার্কিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।

এর পরবর্তীতে আপনি যখন মোটামুটি লেভেলের ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা শুরু করবেন তখন চাইলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট, মেশিন লার্নিং, ডেটা সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটির মতো দক্ষতাগুলো অর্জন করে আরও কয়েক গুণ বেশি ইনকাম করতে পারবেন। যেহেতু সাধারণ দক্ষতা গুলো শিখতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মত সময় লাগতে পারে তাই আপনি কিন্তু এগুলো শিখে খুব সহজেই এগুলো থেকে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। এগুলোই ছিল কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শেখার সহজ উপায়।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা শেখার উপায়

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে যেকোনো একটি দক্ষতাতে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এখন প্রশ্ন হল আপনি এই দক্ষতা গুলো শিখবেন কোথায় থেকে। আপনি যদি যেকোন একটি পেইড কোর্স করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অনেক টাকা খরচ করা লাগতে পারে। আবার আপনি যদি কোন ব্যক্তি থেকে শিখতে চান তাহলে সে আপনাকে কখনোই শেখাবায় না কারণ আপনাকে শেখানো বাদ দিয়ে যদি ওই সময় সে ফ্রিল্যান্সিং করে তাহলে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবে।

আর বর্তমানে কিন্তু এমন অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নামে মানুষকে ঠকাচ্ছে। আপনি যদি খুব secure ভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে সব থেকে সহজ উপায় হল ইউটিউব এবং এরকম প্লাটফর্মের ফ্রি রিসোর্স ভিডিও। যেহেতু এসব ভিডিও ফ্রিতে পাওয়া যায় এবং এগুলো শেখার জন্য কোন উপকার টাকা পয়সা খরচ করার প্রয়োজন হয় না এজন্য আপনি কিন্তু খুব সহজেই এগুলো দিয়ে এন্ট্রি লেভেলের দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন শিখতে কিংবা না পারলেও মোটামুটি ধারণা অর্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শেখার এপ্লিকেশন

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং এপ্লিকেশনের সহায়তা নিতে হবে। এখানে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অ্যাপ্লিকেশন বলতে বোঝানো হচ্ছে আপনি যে দক্ষতা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ওইসব দক্ষতা দিয়ে কাজ করার জন্য যে এপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয় সেটা। এখন আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই ভিজুয়াল স্টুডিওএবং এর বিভিন্ন এক্সটেনশন, ক্রোম ব্রাউজার, বিভিন্ন প্রয়োজনের তাগিদে mdn ফাইলসহ ইত্যাদি ব্যবহারের প্রয়োজন হবে।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জন্য ভিজুয়াল স্টুডিও এবং এর বিভিন্ন এক্সটেনশন, ক্রোম ব্রাউজার, বিভিন্ন প্রয়োজনের তাগিদে mdn ফাইল, গিট হাব।

  • গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ব্যবহার করতে হবে এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ক্যানভা।

  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য গুগল সার্চ কনসোল, google adelitics, ubbersuggest, semrush, ahref, এড ম্যানেজার ইত্যাদি।

  • ভিডিও এডিটিং এর জন্য এডোবি প্রিমিয়ার প্রো, capcut, final cut pro ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান অর্থাৎ ক্লায়েন্টেড থেকে কাজ পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে হবে। মার্কেট প্লেসে বলতে এমন একটি বিষয়কে বোঝায় মনে করুন আপনি কোন সবজি আবাদ করেছেন এবং সেগুলো বিক্রি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বাজারে নিয়ে যেতে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যদি কোন দক্ষতা দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি এগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তাহলে আপনি কিন্তু খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমন ফাইবার, upwork, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি। তবে আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন অর্থাৎ নতুন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনার উচিত ফাইবার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা কারণ এটাতে খুব সহজে কাজ পাওয়া যায় এবং নতুনদের জন্য সবথেকে সেরা একটি প্ল্যাটফর্ম। আর পরবর্তীতে আপনি যখন অভিজ্ঞ হয়ে যাবেন এবং বিভিন্ন বড় প্রজেক্ট এর কাজ করবেন তখন আপনি চাইলে কিন্তু upwork, ফ্রিল্যান্সার কিংবা পিপুল পার আওয়ার এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

প্রোফাইল ও পোর্টফোলিও তৈরি করা

প্রোফাইল ও পোর্টফোলিও হল আপনার জীবন বিবরণ এবং কাজের দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ। একটি ক্লায়েন্ট কেন আপনাকে কাজ দেবে অর্থাৎ আপনার মাধ্যমে কেন সে কাজ করে নেবে সেটা মূলত নির্ভর হয়ে থাকে এই প্রোফাইল এবং পোর্টফোলিয়ার উপরে। তাই আপনি যদি এগুলোকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে না রাখেন তাহলে কখনোই আপনি কাজ করতে পারবেন না। মূলত ফ্রিল্যান্সিং করার সহজ উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এজন্য আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো নজরদারিতে রাখতে হবে।

আপনি যখন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল তৈরি করবেন তখন অবশ্যই সেটি আকর্ষণীয় ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে সেখানে যেসব ছবি এবং তথ্যগুলো দেওয়া হবে সেগুলো যাতে ইনফরমেতে হয় এবং একটি ব্যক্তি দেখলে যাতে বুঝতে পারে যে এটি একটি প্রফেশনাল ব্যক্তির প্রোফাইল। আর পোর্টফোলিওর মধ্যে আপনি সেই সব দক্ষতা গুলো উল্লেখ করে ডাকবেন যেগুলোতে আপনি বিশেষ অভিজ্ঞ কিংবা আগে এসব প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে প্রথম কাজ পাবার উপায়

আপনি যদি প্রথম অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তাহলে তৎক্ষণাৎ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এই কাজ পেয়ে যাবেন না। যত মার্কেটপ্লেসগুলো এখন অনেক কম্পিটিটিভ তাই আপনাকে বিভিন্ন স্ট্যাটেজি এবং টেকনিক অবলম্বন করে কাজ পেতে হবে। আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বিভিন্ন কাজের গিগ তৈরি করবেন তখন অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে সেটিকে উপস্থাপন করবেন এবং দাম তুলনামূলক কম রাখবেন।

আর প্রথম কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কিন্তু ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা প্রথমবার কোন কাজ পাইনি কিন্তু পরবর্তী সময় থেকে তাদের আর পিছনে ফিরে তাকানো লাগেনি। আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণ ধৈর্য ধরতে হবে এবং এর লেগে থাকতে হবে। এখান থেকে প্রচুর পরিমান ইনকাম করা যায় তাই আপনাকে অবশ্যই এতটুকু কষ্ট করতেই হবে। আর আপনার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ধৈর্য এবং পরিশ্রম করার মন মানসিকতা না থাকে তাহলে এই সেক্টরে আসা উচিত নয়।

ইম্প্রেশন তৈরি করা এবং ভালো রিভিউ পাওয়ার চেষ্টা করা

আপনি যদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভালো ইম্প্রেশন তৈরি করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন। আর এই ইমপ্রেশন তৈরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এমন কিছু কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে হবে এবং কিওয়ার্ডগুলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করতে হবে যাতে ক্লায়েন্টেরা সার্ফ দিলে আপনার প্রোফাইল শো করে। যার ইম্প্রেশন যত বেশি তার কাজ পাবার সম্ভাবনা তত বেশি। জেনে নিতে হবে যে কিভাবে অপটিমাইজ পদ্ধতিতে কাজগুলো করতে হয়।

আর ক্লাইন্ট এর কাজগুলো আপনি অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং সুন্দরভাবে কাজগুলো করে দেবেন। মার্কেটপ্লেসগুলোতে একটি সিস্টেম রয়েছে যেখানে রিভিউ সিস্টেম, অর্থাৎ একটি ক্লায়েন্ট আপনার থেকে কাজ করে নেওয়ার পরে সে কতটুকু সন্তুষ্ট হয়েছে তা প্রকাশ করার জন্য রিভিউ সিস্টেম এর ব্যবহার করা হয়েছে। ক্লাইন্ট যদি আপনার সম্পর্কে খুব ভালো রিভিউ দেয় এবং আপনাকে স্টার্ক মার্ক প্রদান করে তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনার কাজ পেতে অনেক সহজ হবে এবং আপনার প্রতি ক্লাইন্টের বিশ্বস্ততা তৈরি হবে।

কমিউনিকেশন স্কিল

যেহেতু অধিকাংশ ক্লাইন্ট ইংরেজি ভাষাভাষী হয়ে থাকে এবং আন্তর্জাতিক ভাষা যেহেতু ইংরেজি তাই আপনার উচিত ইংরেজি ভাষা মোটামুটি লেভেলের শিখে ফেলা। আপনি যদি ক্লায়েন্টের সাথে পরিপূর্ণরূপে কমিউনিকেশন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই তার ভাষা সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আপনি যদি তার সাথে কমিউনিকেশন করতে না পারেন তাহলে সে আপনাকে কখনোই কাজ দিতে রাজি হবে না।

তাই এই কম্পিটিশনের সময় আপনি যদি টিকে থাকতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে আপনার ক্লাইন্টকে উপস্থাপনা করতে পারেন তাহলে কিন্তু সে আপনাকে খুব সহজেই কাজ দিতে বাধ্য হবে। তাই আপনি যদি পরিপূর্ণ ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করতে নাও পারেন তাহলে মোটামুটি কমিউনিকেশন করার মত ইংরেজি ভাষা শিখে নেবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা উত্তোলন করার নিয়ম

ফ্রিল্যান্সিং করার পরে যে আপনি টাকা উপার্জন করবেন সেগুলো উত্তোলন করার জন্য বিভিন্ন payment method রয়েছে। অনেকে মনে করে যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং করলে টাকা ডলার ইনকাম হবে তাহলে এই টাকা আমি কিভাবে উত্তোলন করব। যেহেতু আপনি খুব কষ্ট করে টাকা ইনকাম করেছেন তাই টাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে এমন পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করবেন যেগুলো অনেক বিশ্বস্ত এবং অধিকাংশ মানুষই এগুলো ব্যবহার করে। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সার টাকা উত্তোলন করার ক্ষেত্রে payoneerব্যবহার করে থাকে তাই আপনি চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হওয়ার কিছু বিশেষ টিপস

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে দীর্ঘদিন যাবত অবস্থান করতে চান এবং নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে প্রমাণ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় এর ওপরে নজরদারি রাখতে হবে। আপনি যদি মনে করেন যে কোন একটি দক্ষতা শিখবেন এবং সেটা দিয়ে সারা জীবন ফ্রিল্যান্সিং করে যাবেন তাহলে সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। যত আইটি সেক্টর প্রতিনিয়ত চেঞ্জ হচ্ছে এবং নতুন নতুন বিভিন্ন প্রযুক্তি আসছে তাই আপনাকে সেগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে আপডেট করে রাখতে হবে।

এজন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় অবতরণ করে রাখবেন সে সময় আপনি নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করবেন। তবে বিষয়টি এরকম নয় যে আপনি মাঝে মাঝে নতুন কিছু শিখবেন। আপনাকে প্রতিনিয়তন অল্প কিছু হলে নতুন বিষয় এক্সপ্লোর করতে হবে এবং সেগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন গ্রুপ এবং ওয়েবসাইটের মতামত নিতে হবে। আর আপনি যে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করছেন সেখান থেকে অনেক ভালো রিভিউ গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।

ব্যক্তিগত মতামত

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং করার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনি যদি নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং অবলম্বন করতে হবে। আশা করি এই পোস্ট আপনাদের অনেক বিষয়ে ধারণা দিয়েছে এবং আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। সর্বশেষে বলতে চাই আপনি যদি প্রকৃতপক্ষে একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং নিজেকে সবসময় আপডেট রাখতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪