রোজার দিনে সময় পার করার কার্যকরী ১০ টি উপায় ২০২৫
পাঠক, আপনি কি একজন মুসলমান এবং মাহে রমজান মাসে রোজা রেখেছেন কিন্তু কোন ভাবেই আপনার সময় পার হচ্ছে না? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এমন অনেক মুসলমান ভাই ও বোনেরা রয়েছেন যারা রোজা থাকার কারণে কোন খাবার খেতে পারে না।
যদিও এটি আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে একটি বড় রকমের ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। তো আপনি তো দেখবেন মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে কারণ এটি আমাদের প্রাপ্তবয়স্কদের উপরে ফরজ করা হয়েছে।
রোজার দিনে সময় পার করার কার্যকরী ১০ টি উপায়
তো আপনি যদি এই সময় টুকু এমন ভাবে যদি কাটিয়ে দিতে পারেন যে আপনার কোন কিছু মনেই হবে না তাহলে আপনাকে অবশ্যই টেকনিক অবলম্বন করতে হবে। কিংবা এমন কিছু করতে হবে যে যে কাজের মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে আপনি বুঝতেও পারবেন না। যদিও পেটে খিদা থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা তারপরও এই আর্টিকেলে কিছু উপায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। চলুন বাড়তি কথা না বলে আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
কোরআন তেলাওয়াত করা
যত ধরনের নফল এবাদত রয়েছে তার মধ্যে কিন্তু অন্যতম হচ্ছে কোরআন তেলাওয়াত করা। আর রমজান মাস হচ্ছে এমন একটি মাস যে মাসে এবাদত করলে অন্য মাসের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি নেকি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন আর যদি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে পারেন তাহলে চেষ্টা করবেন যে রমজান মাসে একটি খতম যাতে দিতে পারেন। কোরআন শরীফ যেহেতু ৩০ পারা আর রোজা যদি ৩০ টি হয় তাহলে আপনি যদি প্রতিদিন ১ পারা করে পড়েন তাহলে ৩০ দিনে ৩০ পারা কোরআন খতম হয়ে যাবে।
আপনি যদি কোরআন শরীফ পড়তে না পারেন তাহলে আপনার জন্য দুর্ভাগ্য। আপনি একজন মুসলমান হয়ে কেন কোরআন শরীফ পড়তে পারেন না? আপনার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হল কোরআন শরীফ সহি এবং সুন্দরভাবে তেলাওয়াত শিখে নেওয়া। এটা একজন মুসলমান হিসাবে আপনার ওপরে একদম ফরজ। যেটি হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ এবং আল্লাহ তা'আলা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর উপরের নাযিল করেছে আপনি যদি সেটাই পড়তে না পারেন তাহলে আল্লাহর বার্তা আপনি কিভাবে বুঝবেন।
কোরআন শরীফ হলো সমগ্র মানবজাতির জন্য হেদায়েত শুরু এবং গাইড বুক। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি কোন মেশিন কিনেন কিংবা যেকোনো কিছু ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে সেটির ব্যবহার বিধি জেনে নিতে হবে। আর আপনি যদি সেটির ব্যবহারবিধির সঠিকভাবে না জানেন তাহলে সেই যন্ত্রটি আপনি কিন্তু খুব ভালোভাবে চালাতে পার। তাই এই দুনিয়াতে যদি আপনি সফলতা অর্জন করতে চান এবং পরকালে স্থায়ী সুখের জায়গা লাভ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইসলাম অনুসারে পরিপূর্ণ জীবন পরিচালনা করতে হবে।
আর আপনি যখন ইসলাম অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই কোরআন শরীফ পড়া জানতে হবে এবং অনুসারে আমল করতে হবে। আপনি যখন যেকোন ইবাদত করতে যাবেন তখনই কিন্তু আপনাকে কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করতে হবে। আর আপনি যদি কোরআন শরীফ সহীহ ও শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করতে না পারেন তাহলে কিন্তু আপনার এবাদত কবুল হবে না। আর কোরআন শরীফের আয়াতগুলো যদি আপনি ভুল উচ্চারণ করেন তাহলে এর অর্থ কিন্তু ভুল হয়ে যাবে। এমন অনেক উচ্চারণ রয়েছে যে সামান্য তম আলাদা হয়ে গেলে এর অর্থ পরিপূর্ণ উল্টো হয়ে যায়। তাই বুঝতে পারছেন এবাদত করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সহিহ ভাবে কোরআন তেলাওয়াত শিখে নিতে হবে।
ইসলামিক জ্ঞান অর্জন
আপনি চাইলে কিন্তু বিভিন্নভাবে ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আর যেহেতু এখন তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ তাই আপনি চাইলে ঘরে বসেই ইসলামিক জ্ঞানের চর্চা করতে পারবেন। সব থেকে ভালো হয় আপনি ইসলামিক কয়েকটি বই ক্রয় করবেন এবং সিডিউল অনুসারে সেগুলো প্রতিদিন পড়ার চেষ্টা করবেন। এই রমজান মাসে সেহরি খাবার পরে নামাজ পড়ে আপনি কিন্তু চাইলেই কোরআন তেলাওয়াত এর পরে ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারেন।
এছাড়া আপনি চাইলে মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে বিভিন্ন ইসলামিক চ্যানেলের ভিডিও গুলো দেখে নিতে পারেন। ইউটিউবে এমন অনেক চ্যানেল রয়েছে যেগুলোতে ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করা হয়। দেখা যাচ্ছে একটি বই পড়তে আপনাকে প্রায় ১০ দিনের মতো পড়া লাগতে পারে। কিন্তু আপনি যদি ইউটিউবে ১০ মিনিটের একটি ভিডিও দেখে নেন তাহলে ১০ দিনের পড়া আপনি ১০ মিনিটে জেনে নিতে পারবেন।
অতিরিক্ত ইবাদত করা
রমজান মাসে যেহেতু এবাদত করলে অতিরিক্ত সাওয়াব পাওয়া যায় তাই একজন সচেতন মুমিন এবং মুসলমান হিসাবে আমি আশা করি আপনি কখনোই এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। অতিরিক্ত এবাদত বলতে এখানে নফল এবাদতের কথা বলা হয়েছে। আপনি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ তো পড়বেনই সাথে নফল ইবাদত করার চেষ্টা করবেন। যত নফল এবাদত করলেও অনেক সময় পাওয়া যায় তাই আপনি ফ্রি সময়ে অর্থাৎ এখানে যে উপায় গুলো অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে এইগুলো ব্যতীত অন্য সময় পেলে আপনি অবশ্যই এই এবাদত করার চেষ্টা করবেন।
যেহেতু রাতে তারাবি পড়া হয় তাই আপনি যদি রাতে তারাবির ব্যতীত অন্য এবাদত করতে চান তাহলে কিন্তু তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে পারেন। এছাড়া দিনের বেলায় বিভিন্ন রকম জিকির এবং অন্যান্য নফল এবাদত করতে পারেন যেগুলো দ্বারা আল্লাহর খুশি হবে। তাই এই মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট না করে ইসলামের পথে ব্যয় করুন এবং এর ফলাফল হিসাবে আল্লাহর কাছে জান্নাত লাভের জন্য দোয়া করুন।
বই পড়া
বই পড়া হলো একটি নেশা আবার অনেকের কাছে এটা পেশাই পরিণত হয়ে গেছে। পৃথিবীর যতই আপডেট হয়ে যাক না কেন কিংবা যতই তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ শুরু হয়ে যাক না কেন বই পড়ার আনন্দ আলাদা। যারা বই পড়ার মর্ম বোঝে এবং এর অনুভূতি বুঝতে পেরেছে তারা কখনোই বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে চাইবে না। আর বিশেষ করে যারা বই পড়ে অভ্যস্ত তারা কখনোই internet কিংবা এই জাতীয় কোন সোর্স থেকে বই পড়ার চেষ্টা করবেন।
তবে অনেকেই কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে বই পড়া শুরু করেছে। তবে যেভাবেই হোক না কেন আপনি যদি বই পড়েন তাহলে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। বই পড়লে আলাদা মেধা শক্তি এবং জ্ঞানের বিকাশ ঘটে যেটা শুধুমাত্র বই পড়ার দ্বারাই সম্ভব। আর আপনার যদি বই পড়ার অভ্যাস না থেকে থাকে তাহলে অভ্যাস গড়ে তুলুন।
নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করা
নতুন কিছু শেখা বলতে এখানে আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্টের কথা বলা হয়েছে। বর্তমান বিশ্ব কিন্তু ডিজিটাল রেশন হওয়ার কারণে যেকোনো কিছু শেখা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে আগে যেটি শিখতে ঢাকা কিংবা রাজশাহীতে যেতে হতো সেই দক্ষতাকে বা স্কিল আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে এবং কম খরচে শিখে নিতে পারছেন। আপনার কাছে যদি মনে হয় যে আপনাকে নতুন কিছু শিখতে হবে এবং এই কম্পিটিটিভ দুনিয়াতে টিকে থাকতে হবে তাহলে আপনাকে অবশ্যই নতুন কিছু শিখতে হবে।
আপনি চাইলে কিন্তু আইটি সেক্টরে কিংবা অফলাইনে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করে। আইটি সেক্টরের মধ্যে রয়েছে: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্টও মেশিন লার্নিং, ডেটা সাইন্স, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সাইবারের সিকিউরিটি, নেটওয়ার্কিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি। আর আপনি যদি অফলাইনে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে চান হঠাৎ যেসব জিনিস প্র্যাকটিক্যাল আমরা চোখে দেখি সেগুলোর মধ্যে রয়েছে : শেফ, ড্রাইভার, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, টিম লিডার, সুইং ম্যানেজার ইত্যাদি।
আপনার ইচ্ছা এবং চাহিদা অনুসারে দক্ষতা গুলো সেখানে চেষ্টা করবেন। এমন অনেকে রয়েছে যারা আইটি সেক্টরে অনেক ভালো করছে যার একমাত্র কারণ হলো তাদের আইটি সেক্টরের প্রতি ইন্টারেস্ট রয়েছে। আবার অনেকে এগুলো বিশ্বাস করে না কিংবা এগুলোর উপরে ভরসা করতে পারে না তাদের উচিত অফলাইনে কোন একটা দক্ষতা শিখে নেওয়া। আপনি চাইলে এসব দক্ষতা শিকে দেশে বিভিন্ন চাকরি করতে পারেন কিংবা বিদেশে পাড়ি দিতে পারেন।
একাডেমিক পড়াশোনা থাকলে সেগুলো পড়া
আপনি যদি একজন ছাত্র হয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনি যদি হাই স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার একাডেমিক পড়াশোনা গুলো চালিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি আপনার পড়াশোনা বাদ দিয়ে অন্য কাজগুলো করে থাকেন তাহলে দিনশেষে আপনাকে একটি খারাপ রেজাল্ট গ্রহণ করতে হবে। তাই আপনি যেখানে পড়াশোনা করছেনসেখানে প্রতিদিনের পড়াশোনা প্রতিদিন করে নিতে হবে।
আপনি যদি একটি ইসলামিক দেশ তৈরি করতে চান কিন্তু আপনার দেশকে একটি ইসলামিক দেশে পরিপূর্ণভাবে রূপান্তর করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওই দেশের প্রশাসনিক অঙ্গনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেকোনো দেশের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে সেই দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা। তাই আপনি যদি আপনার দেশকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদইসলামিক কালচারের ব্যক্তি গুলোকে দায়িত্ব পালন করতে দিতে হবে।
পরিবারের সাথে সময় কাটানো
দিন শেষে কিন্তু সবার সাথে সবার বন্ধু বান্ধব থাকে না কিংবা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন থাকে না, যেটা থাকে সেটা হলো পরিবার। তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার পরিবারের পেছনে সময় দিতে হবে। আপনার সময় যতই খারাপ কাটুক না কেন কিংবা আপনার পরিস্থিতির যতই খারাপ হোক না কেন আপনার পরিবার কখনোই আপনাকে ছেড়ে যাবে না। এজন্য আপনার যদি আড্ডা দিতে হয় তাহলে পরিবারের সাথে আড্ডা দিন এবং তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
তবে আমি বলছি না যে আপনি একদমই বন্ধু-বান্ধবের সাথে কথাবার্তা বলবেন না কিংবা তাদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে দেবেন। বিপদের সময় এমন অনেক বন্ধু বান্ধবের প্রয়োজন হয় যারা না থাকলে জীবন অনেক কঠিন হয়ে যেত। এজন্য যদি বন্ধুবান্ধব রাখতে হয় তাহলে স্বল্প পরিমানে বন্ধু-বান্ধব রাখেন যারা আপনার কঠিন পরিস্থিতিতেও আপনাকে সাহায্য করবে এবং কখনোই আপনাকে বিপদের মুখে ছেড়ে যাবে না। সাধারণত এমন অনেক বন্ধু রয়েছে যারা সুখের সময় পাশে থাকে কিন্তু বিপদের সময় ভুলে যাই, এই ধরনের স্বার্থপরদের থেকে সব সময় নিজেকে দূরে রাখবেন।
দুপুরে ঘুমানো
রমজান মাসে দুপুরে ঘুমানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার কাছে মনে হয়। আপনি যদি দুপুরে ঠিক মত প্রতিদিন ঘুমাতে পারেন তাহলে কিন্তু রাতের এবাদতগুলো খুব সুন্দর ভাবে পালন করতে পারবেন। যত রাতে তারাবি নামাজ পড়া লাগে এবং অন্যান্য নফল নামাজ যদি আপনি পড়তে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই দিনের বেলায় ঘুমিয়ে নিতে হবে। এছাড়া রোজা থাকার কারণে যেহেতু সারাদিন কোন খাওয়া দাওয়া করা যায় না তাই দুপুরে ঘুমালে আপনার সময় কিন্তু খুব সহজে পার হয়ে যাবে এবং কষ্ট কম হবে।
বিকেলে বাইরে ঘোরাফেরা করা
দুপুরে ঘুম থেকে উঠে আপনি আসরের নামাজ আদায় করবেন জামাতের সাথে এবং আসর নামাজের পরে আপনি চাইলে বিকেলে একটু ঘোরাফেরা করতে পারেন রাস্তা দিয়ে। এতে আপনার মন ফ্রেশ হবে এবং খুব সুন্দর ভাবে কিন্তু সময়টুকু পার হয়ে যাবে। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় আপনি চাইলে তসবি পাঠ করতে পারেন এতে সময়ও পার হলো আবার অন্যদিকে এবাদতও হয়ে গেল। আমরা চাইলে কিন্তু আমাদের জীবনের প্রতিটি সময়ে এবাদতের মাধ্যমে পার করতে পারি। আর এটি করতে হলে শুধুমাত্র আপনি যে কাজটি করবেন সেটা ইসলামিক পদ্ধতি অনুসারে করার চেষ্টা করবেন। তাহলে সেটি কিন্তু আপনার জন্য ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়ে যাবে।
ইফতারি তৈরিতে সাহায্য করা
আমরা কিন্তু চাইলেই আমাদের জীবনের কাজগুলোকে পরিবারের জন্য আরো সহজ করে তুলতে পারি। আপনি যদি বিকেলে একটু ঘোরাফেরা করে এসে ইফতারির জন্য যে রান্নাবান্না করতে হয় সেগুলোতে যদি সাহায্য করেন তাহলে কাজটি অনেকে এগিয়ে যাই। এক্ষেত্রে সবার সাথে সম্পর্ক বজায় থাকলো এবং ইফতারির জন্য রান্নাবারা কাজ অনেক সহজ হয়ে গেল এবং দ্রুত সময় ইফতারি প্রস্তুত হয়ে গেল। আপনি চাইলে কিন্তু এটুকু সাহায্য করতে পারেন।
আর আপনি যদি এই কাজটুকু দীর্ঘ এক মাস ধরে প্রতিদিন যাপন করতে পারেন কিংবা কাজের সাথে সাহায্য করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার একটা অভিজ্ঞতা অর্জন হয়ে গেল। পরবর্তী সময়ে আপনি এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি একাই আপনার ইফতারি প্রস্তুত করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বা হোস্টেলে পড়াশোনার জন্য থাকে তাদের কিন্তু এরকম অভিজ্ঞতা থাকলে অনেক সুবিধাজনক খায়। এজন্য কোন কাজকেই ছোট করে দেখবেন না পত্রিকা আজকের সমান ভাবে গুরুত্ব প্রদান করবেন।
ব্যক্তিগত মতামত
আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে যে উপায় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে আশা করি এইগুলো অবলম্বন করলে আপনি রোজার মাসে খুব সুন্দর সময় পার করতে পারবেন। আর ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেগুলো করলে ইসলামিক পাওয়া যাবে সেই কাজগুলো আপনি আগে প্রথমে করার চেষ্টা করবেন। রমজান মাসে যে এবাদত গুলো করলে অতিরিক্ত নেকি পাওয়া যায় সেগুলো কোনোভাবেই বাদ দেবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url