জীবনে সফল হওয়ার উপদেশমূলক গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পয়েন্ট

প্রিয় পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়তে পারেন তাহলে জানতে পারবেন জীবনের সফল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দশটি পয়েন্ট সম্পর্কে। অনেকে কিন্তু এ বিষয়গুলো জানানোর ফলে জীবনের গতিপথে তারা পিছিয়ে থাকে অন্যদের তুলনায়। কিন্তু আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগেই জেনে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনি অনেক এগিয়ে থাকবেন।
জীবনে সফল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পয়েন্ট
আর যেহেতুএটি একটি জীবন সম্পর্কিত আর্টিকেল এজন্য তাড়াহুড়া না করে আপনার উচিত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকা। আর আপনার যদি হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় না থাকে এখন তাহলে অন্য কোন সময় পড়ে নিবেন। কিন্তু কখনোই তাড়াহুড়া করে পড়বেন না কারণ তাড়াহুড়া করে পড়লে আপনি কখনোই এর সারমর্ম বুঝতে পারবেন না। তাই চলুন বাড়তি কথা না বলে আমাদের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

জীবনে সফল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ১০টি পয়েন্ট

আপনি যদি আপনার জীবনে একজন সফল মানুষ হতে চান এবং আপনার জীবনের যে স্বপ্নগুলো রয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই ১০ টি বিষয়ের দিকে নজরদারি করতে হবে। যে কোন জিনিস পাওয়ার জন্য অবশ্যই সাধনা করতে হয় কারণ সাধনা ছাড়া যে কোন কঠিন জিনিস আপনি কখনোই আয়ত্ত করতে পারবেন না।তাই যারা মনে করছেন যে আমি শুধুমাত্র যেকোনো কাজ করে যাব রিলেক্সে এবং সফলতা পেয়ে যাব তারা সম্পূর্ণরূপে ভুল ধারণার মধ্যে রয়েছেন।

ইবাদত

জীবনে সফলতার যতগুলো অধ্যাপক রয়েছে এগুলোর মধ্যে সবার প্রথমে অবস্থান করছে এবাদত। আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যে নিয়ম নীতি এবং অনুসরণীয় কাজগুলো রয়েছে সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করতে হবে। আর আপনি যদি অন্য কোন ধর্মালম্বী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ধর্মের ধর্মীয় কাজগুলো খুব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন। কারণ সৃষ্টিকর্তা যদি আপনার ভাগ্যে সফলতা না লিখে থাকে তাহলে আপনি যত কিছুই করেন না কেন কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না।

তাই আপনি প্রথমে আপনার সৃষ্টিকর্তার কাছে ব্যাপকভাবে প্রার্থনা করবেন এবং পরবর্তী যে ধাপগুলো রয়েছে সেগুলো প্রতিটি খুব সুন্দরভাবে পালন করবেন এবং অনুসরণ করবেন। কারণ আপনার ভাগ্যে যদি সফলতা না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি পরিশ্রম এবং সৃষ্টিকর্তাকে রাজি খুশি করিয়ে সেটি অর্জন করে নিতে পারবেন। আর যদি সকল কিছু করার পরেও আপনি সফলতা না পান তাহলে আপনি বুঝবেন যে আপনাকে পৃথিবীতে সফলতা থেকে দেয় সৃষ্টিকর্তা কিন্তু ভর্তি জীবনে অর্থাৎ আখেরাতে আপনার জন্য রয়েছে বিশাল উপহার। আর আপনি পৃথিবীতে যত কিছুই করেন না কেন সবকিছুর ফলাফল পৃথিবীতেই আশা করবেন না।

চরিত্র

সফলতার পিছনে যদি সবথেকে কোন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থেকে থাকে সেটা হল চরিত্র। কারণ যদি কোন ব্যক্তির চরিত্র পরিপূর্ণভাবে ঠিক না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। যেকোনো মানুষ ভালো নাকি খারাপ এবং সে মানুষটা কতটুকু কার্যকর ভাবে যেকোনো কাজ সম্পাদন করতে পারে সেটা সম্পূর্ণরূপে তার চরিত্রের উপর নির্ভর করে থাকে। আবার এই পৃথিবীতে একটি মানুষ কেমন সেটা নির্ভর করে তার চরিত্রের উপরে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন হতে পারে যে চরিত্রের সাথে সফলতার সম্পর্ক কি? কিন্তু আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন যে সফলতার সাথে চরিত্রের সবথেকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যদি কোন ব্যক্তির ক্যারেক্টার খারাপ হয় তাহলে সেই ব্যক্তি যেকোনো কাজেই সফলতা অর্জন করতে পারবে না। তারপর সফলতা কিন্তু একটি ভাগ্যের ও বিষয়। তাই শুধুমাত্র পরিশ্রম করলেই হবে না আপনার ভাগ্যে যদি না থাকে তাহলে আপনি সেটি কখনোই পাবেন না।

সময়ের মূল্য

সময় পৃথিবীর এমন একটি জিনিস যে আপনি একটি সেকেন্ড যদি পার হয়ে যায় তা কখনোই আর ফিরিয়ে আনতে পারবেন না। অর্থাৎ সময় যদি একবার চলে যাই তাহলে তা কখনোই ফিরে আসবে না পৃথিবী থেকে কিয়ামত পর্যন্ত। তাই আপনি যদি এক সেকেন্ড সময় নষ্ট করে ফেলেন তাহলে আপনার জীবন থেকে এবং পৃথিবী থেকে এক সেকেন্ড সময় মুছে গেছে। তাই এই পৃথিবীতে যদি সব থেকে মূল্যবান কোন জিনিস থাকে সেটার মধ্যে অন্যতম হলো সময়। একটি প্রবাদ রয়েছে সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না, এই কথার অর্থ অনেকে না বুঝলেও বাস্তব জীবনে যখন তারা প্রবেশ করে তারা এ বিষয়টি হারে হারে টের পায়।

বিশেষ করে যারা দায়িত্ববান হয়ে উঠেছে কিংবা জীবনের গুরু দায়িত্ব পালন করতে এই বিষয়টি সম্পর্কে সব থেকে ভালো বুঝতে পারবে। আর আরো ভালো বুঝতে পারবে যারা সময়ের অপচয় করেছে অর্থাৎ সময়কে ঠিকমতো কাজে লাগায়নি। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনেক ভালো কাজ করতে পারতো কিংবা তাদের ভালো কাজ করার সক্ষমতা ছিল কিন্তু তারা সময় অপচয় করার কারণে নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগাতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে যখন তাদের মনে হয় তারা পার্থ কিন্তু তারা চেষ্টাই করেনি তারা তাদের মনের ধিক্কার হয়ে ওঠে।

এই পৃথিবীতে যত গুণী জ্ঞানী এবং ইতিহাস তৈরি করার মত ব্যক্তি জন্মেছিল তারা প্রত্যেকে কিন্তু সময়ের মূল্য সবথেকে বেশি দিতে পারছে। ভাই আপনিও যদি সঠিক সময়ের মূল্য সঠিকভাবে দিতে পারেন তাহলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল মানুষ। পৃথিবীর প্রত্যেকটি সফল মানুষের জীবনের সময়ের মূল্যকে তারা আলাদাভাবে দেখেছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল তাই কার্যকর ভাবে এই সময়কে কাজে লাগানো যায়।

স্বাস্থ্য

একটি মানুষের জন্য এই পৃথিবীর সব থেকে মূল্যবান জিনিস হলো তার স্বাস্থ্য। যারা স্বাস্থ্য আছে তার সুখ ও শান্তি আছে। আর আপনার জন্যই ভাল স্বাস্থ্য না থাকে তাহলে আপনার যতই সম্পদ থাকুক না কেন আপনি কোনভাবেই সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন না। একটা কথা আছে যে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল এই কথাটি পরিপূর্ণভাবে সত্য এবং বাস্তব্যকে একটি কথা। আপনার স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে আপনি কখনোই সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন না এবং আপনি জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন না।

ভালো স্বাস্থ্য না থেকে যদি আপনার কোটি টাকাও থাকে তাহলে ওই টাকাগুলো আপনি কি করবেন। যেহেতু আমরা মানুষ এবং আমাদের দেহের মধ্যে রুহ রয়েছে। আর এই রুহ আমাদের শরীরের মাধ্যমে চলাফেরা করে এবং বিভিন্ন কার্যসম্পাদন করে থাকে। মূলকথা হলো একটি মানুষের শারীরিক গঠন বা উপস্থিতি নির্ভর করে থাকে তার দেহের উপরে। তাই আপনি যদি জীবনের সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সুস্থ শরীর নিয়ে জীবন যাপন করতে হবে।

যত সফলতার জন্য ব্যাপক পরিমাণে পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা থাকতে হয় এবং বাস্তব জীবনেও প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রম এবং কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, তাই ওই সময় যদি আপনার দেহ আপনাকে সাপোর্ট না দেয় তাহলে কঠিন পরিস্থিতিরমোকাবেলা করতে পারবেন না। তাই আপনার যদি একটি সুস্থ স্বাস্থ্য না থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য সফলতা অর্জন করা অনেক দুঃসাধ্য বিষয়। তবে আমি বলছি না যে আপনাকে বডি বিল্ডার হতে হবে কিংবা অনেক মোটা স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। আমি বলছি যে আপনি যত চিকন কিংবা মোটা হন না কেন আপনাকে রোগমুক্ত জীবন যাপন করতে হবে।

পরিশ্রম ও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন

এ পৃথিবীতে যত সফল ব্যক্তি রয়েছে তারা কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করত এবং পরিশ্রম করার মন মানসিকতা ছিল। আপনি যদি শুধুমাত্র ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেন তাহলে আপনি কখনোই সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। সফলতার প্রথম ধাপ হল পরিশ্রম করা এবং কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তা মোকাবেলা করা। আপনি যত বেশি কঠিন পরিস্থিতি সম্মুখীন হবেন আপনার সফলতার হার তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর পরিশ্রম এমন একটি জিনিস যেটা একটি সাধারণ মানুষকে অসাধারণ করে তুলতে পারে।

তাই আপনি যে স্বপ্ন দেখছেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যতোটুকু পরিশ্রম করা লাগে কিংবা যতটুকু কঠিন সময়ের মুখোমুখি হওয়া লাগে আপনি সেগুলো প্রতিহত করবেন। পৃথিবীতে এমন অনেক ইতিহাস রয়েছে, যারা ক্লাসে পড়াশোনা করত না কিংবা খুব খারাপ মানের ছাত্র ছিল তারা পরবর্তী সময়ে পরিশ্রমের মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ করে এমন অনেক বিজ্ঞানী রয়েছে যারা শুধুমাত্র এইরকম পরিশ্রমের মাধ্যমে এমন কিছু কাজ করে গিয়েছে যা পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে ততদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মাইন্ডসেট ও স্বপ্ন

মাইন্ড সেট হল এমন একটি বিষয় যদি এটি আপনার ঠিক না থাকে তাহলে আপনি কোন কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারবেন না। মাইন্ড সেট হল মনের মধ্যে একটি টার্গেট, মনে করুন আপনি কোন একটি কাজ করতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনাকে সেটি প্রথমেই টার্গেট করে নিতে হবে এবং মনের মধ্যে সেটির জন্য সাধনা লালন করতে হবে। তবে এগুলোর ফলাফল আপনি যদি খুব অল্প সময়ে পেতে চান কিংবা অল্প সময়ে দেখতে পান তাহলে কখনোই সেটি দীর্ঘস্থায়ী একটি ফলাফল আপনাকে রিটার্ন দিতে পারবে না। কারণ যত ভালো জিনিস এবং যত কঠিন জিনিস সেগুলো তৈরি হতে কিংবা বাস্তবায়ন হতে তত বেশি সময় লাগে।

এজন্য হঠাৎ করে যদি সফলতা পেয়ে যান এবং ছুটি যদি অল্প সময় হয়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই খুশির কোন বিষয় হবে না। এজন্য যেকোনো কাজ করার জন্য আপনাকে টার্গেট সেট করতে হবে এবং মনের মধ্যে সেটিকে মাইন্ড সেট হিসেবে নিয়ে নিতে হবে। যখন আপনি সেটিকে পরিপূর্ণভাবে মাইন্ড সেটে সেটআপ করতে পারবেন তখন পরিস্থিতি যত কঠিন হোক না কেন আপনি সকল পরিস্থিতির মোকাবেলা খুব সহজেই করে নিতে পারবেন। কারণ তখন আপনার মাথার মধ্যে শুধুমাত্র ওই কাজের জন্যই চিন্তা ঘোরাফেরা করবে এবং আপনার ব্রেন আপনাকে ওই কাজ করার জন্য ডিরেকশন দিতে থাকবে।

অধ্যাবসায়

অধ্যবসায় মানে শুধুমাত্র বই পড়া নয়, অধ্যবসায় মানে হলো নিজের মধ্যে নিজের স্বপ্নকে লালন করা এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান বৃদ্ধি করা। এখন পড়াশোনা এবং জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এমন অনেক মানুষ দেখবেন যারা সারাদিন পড়াশোনা করে কিন্তু তাদের যে সাধারণ জ্ঞান কিংবা ন্যূনতম সেন্স সেটা থাকে না। আর এটা তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন আপনি নিজের জ্ঞানের সাথে বাস্তব পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন কিংবা সম্মুখীন হবেন।

এজন্য আপনি যে বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে চাচ্ছেন কিংবা যে বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন ওই বিষয়টি সম্পর্কে গবেষণা করেন এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। আপনি যদি এভাবে প্রতিনিয়ত কাজটি করতে থাকেন তাহলে এটিও আপনার অধ্যবসয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আর যেহেতু আপনারা ওপরে মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন যাতে কোনভাবেই সময় নষ্ট না হয়। অর্থাৎ সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা কর।

টাকা পয়সা

আপনি যদি জীবনের সফলতার সাথে মৃত্যু পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই টাকা পয়সার মালিক হতে হবে। পৃথিবীতে যত কিছু রয়েছে তার ৯০% কাজগুলো সহজ করে দেয় টাকা পয়সা। বর্তমান যুগে এটি এমন একটি সম্পদে পরিণত হয়েছে যেটা আপনাকে অন্য একটি মানুষে রূপান্তর করে ফেলতে পারে। আর এটির মালিক আপনি তখনই হতে পারবেন যখন আপনি জীবনের প্রতিটি ধাপ খুব সতর্কতার সাথে পার করবেন তখন।

তাই বুঝতে পারছেন যে টাকা পয়সা জীবনের একটি মৌলিক অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে আপনি যদি আপনার বাস্তব জীবনের সাথে এটির তুলনা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন। মানব জীবনের সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সে ততো বেশি গ্রহণযোগ্য এবং সম্মানের অধিকারী যার টাকা পয়সা এবং অর্থ সম্পদ বেশি। তাই আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স যত বেশি হবে মানুষ আপনাকে তত বেশি সম্মান করবে। তবে আপনার অতিরিক্ত টাকা-পয়সা থাকলে যে আপনি একটি সফল মানুষ সেটি কখনোই নয়, তবে সফলতাকে আরো কার্যকর ভাবে প্রদর্শিত করার জন্য আপনাকে অবশ্যই টাকা পয়সার মালিক হতে হবে।

ভ্রমণ ও জ্ঞান অর্জন

এই পৃথিবীতে যত মনীষী এবং চিন্তাবিদ ও অন্যান্য ক্যাটাগরির ইতিহাস তৈরিকারী ব্যক্তি ছিল তারা প্রত্যেকে কিন্তু ভ্রমণছিল এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ আপনি যত বেশি ভ্রমণ করবেন বাস্তব জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা তত বেশি স্পষ্ট হবে। আপনি যত বেশি ভ্রমণ করবেন মানব জীবন এবং তাদের জীবিকা সম্পর্কে আপনার তত বেশি জ্ঞানবৃদ্ধি পেতে থাকবে। একটি কথা রয়েছে যে জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যাও। তাই এই কথাটি তারাই বোঝা যাচ্ছে যে আসলে ভ্রমণের সাথে জ্ঞান অর্জনের ব্যাপক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

আপনি যদি মনে করেন যে ঘরের কোনায় বসে থাকবেন এবং আপনি আপনার মত কাজ করে সফলতা অর্জন করবেন তাহলে সম্পূর্ণ ভুল ধারণার মধ্যে আপনি রয়েছেন। কারণ বাস্তব পরিস্থিতি এবং পৃথিবীর নিয়ম-নীতি সম্পর্কে আপনার যদি শুক্র ধারনা না থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই একধাপ পিছিয়ে থাকবেন। আর যে যত বেশি ভ্রমণ করে তাদের উপস্থিত বুদ্ধি তত বেশি হয়। কারন সে বাস্তব জীবনের সম্মুখীন বেশি হয়েছে যার ফলে তাদের উপস্থিত বুদ্ধি কিন্তু বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন যে বেশি বেশি ভ্রমণ করার।

ব্যায়াম ও খেলাধুলা

অনেকে কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে ব্যায়াম ও খেলাধুলা ছেড়ে দেয়, যেটা মোটেও উচিত নয়। আপনি যদি একজন সুস্থ স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চান এবং রোগমুক্ত জীবন যাপন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। কারণ এটি এমন একটি পদ্ধতি যে এটি আপনার শারীরিক সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করবে এবং সফলতা অর্জনের জন্য যে পরিশ্রম করতে হয় সেটিকে অনেক সহজ করে ফেলবে। ভাই আপনি প্রতিদিন অল্প সামান্য হলেও শারীরিক পরিশ্রম করার চেষ্টা করবেন।

আবার চিকিৎসকদের মতে, আপনি যদি প্রতিদিন ব্যায়াম ও খেলাধু করেন তাহলে আপনার শরীরের মধ্যে এমন কিছু হরমোন রিলিজ হয় যেগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম কিংবা কায়িক পরিশ্রম না করেন তাহলে পরবর্তী সময়ে এই হরমোন গুলো রিলিজ করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন রকম চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ঔষধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া এরকম না করলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং গ্রুপ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দুর্বল হয়ে যায়।

ব্যক্তিগত মতামত

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেই প্রত্যেকটি বিষয় কিন্তু সফলতার সাথে ওতপ্রেতভাবে সম্পর্কিত। তাই আপনি যদি জীবনের সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরুক্ত বিষয়গুলোর দিকে নজরদারি করতে হবে। আর আপনি কোন সেক্টরে কিংবা কোন বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে চান সেজন্য আগেই মাইন্ড সেট ঠিক করে নেবেন। যখন আপনি আপনার মাইন্ড সেট ঠিক করতে পারবেন তখন আপনার জীবনে একটি টার্গেট ফিক্সড হয়ে যাবে। খুব সহজেই আপনি পরিশ্রম করতে পারবেন এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪